একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাস বহাল থাকবে কি না, তা জানা যাবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।
রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর পঞ্চম দিনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি এই দিন ঠিক করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সাদাত মো. সায়েম ভূঞা ও সাদিয়া আফরিন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
রাষ্ট্রপক্ষ জজ আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখার আবেদন জানায়। অপরদিকে আসামিপক্ষ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ এবং হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার আর্জি জানায়।
গত ১৭ জুলাই শুনানি শুরু হয়। এরপর ৩১ জুলাই, ১৯ আগস্ট, ২০ আগস্ট এবং ২২ আগস্ট শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমান।
জজ আদালত এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে সবাইকে খালাস দেয় এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আবেদন খারিজ করে দেয়।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, যেভাবে মামলায় পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তা আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। সম্পূরক অভিযোগপত্র ছিল অবৈধ। তাই সাজা বহাল রাখার কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিতে আদালত মন্তব্য করে, ২১ আগস্টের হামলা ছিল দেশের ইতিহাসে একটি জঘন্য ও মর্মান্তিক ঘটনা। নিহতদের আত্মার প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে সঠিক ও স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজন ছিল, যা হয়নি। এ কারণে মামলাটি পুনরায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তদন্তের সুপারিশ করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জন
লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিম ও রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, হুজি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি হান্নানের ভাই মুহিবুল্লাহ ওরফে অভি, আব্দুল মাজেদ ভাট, আবু তাহেরসহ মোট ১৯ জন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১৯ জন
তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মুফতি শফিকুর রহমান, আব্দুল হাই, শাহাদত উল্যাহ জুয়েলসহ ১৯ জন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জন
সাবেক আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন, সিআইডির এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, আব্দুর রশীদ, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ মোট ১১ জন।
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাস বহাল থাকবে কি না, তা জানা যাবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।
রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর পঞ্চম দিনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি এই দিন ঠিক করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সাদাত মো. সায়েম ভূঞা ও সাদিয়া আফরিন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
রাষ্ট্রপক্ষ জজ আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখার আবেদন জানায়। অপরদিকে আসামিপক্ষ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ এবং হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার আর্জি জানায়।
গত ১৭ জুলাই শুনানি শুরু হয়। এরপর ৩১ জুলাই, ১৯ আগস্ট, ২০ আগস্ট এবং ২২ আগস্ট শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমান।
জজ আদালত এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে সবাইকে খালাস দেয় এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আবেদন খারিজ করে দেয়।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, যেভাবে মামলায় পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তা আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। সম্পূরক অভিযোগপত্র ছিল অবৈধ। তাই সাজা বহাল রাখার কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিতে আদালত মন্তব্য করে, ২১ আগস্টের হামলা ছিল দেশের ইতিহাসে একটি জঘন্য ও মর্মান্তিক ঘটনা। নিহতদের আত্মার প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে সঠিক ও স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজন ছিল, যা হয়নি। এ কারণে মামলাটি পুনরায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তদন্তের সুপারিশ করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জন
লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিম ও রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, হুজি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি হান্নানের ভাই মুহিবুল্লাহ ওরফে অভি, আব্দুল মাজেদ ভাট, আবু তাহেরসহ মোট ১৯ জন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১৯ জন
তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মুফতি শফিকুর রহমান, আব্দুল হাই, শাহাদত উল্যাহ জুয়েলসহ ১৯ জন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জন
সাবেক আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন, সিআইডির এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, আব্দুর রশীদ, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ মোট ১১ জন।