alt

রাজনীতি

খালেদা জিয়া প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির শিকার : মির্জা ফখরুল

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : রোববার, ০৯ মে ২০২১

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য দলটির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে সরকার অনুমতি না দেওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া সরকারের ‘প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি’র শিকার।

রোববার বিকেলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদন নাকচ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার আলোকে খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ আগেই স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির একই ধারা অনুযায়ী, দ্বিতীয়বার তাঁকে অনুরূপ সুযোগ দিয়ে বিদেশে যেতে দেওয়ার সুযোগ নেই।

এরপরই রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়া এলো। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দেখতে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে বসুন্ধরার গেটে গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ওয়ান-ইলেভেনের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতেই সরকার এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে- এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করানোর সম্মতি না দেওয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। শুধু মানবিক কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণেও অনুমতি দেওয়া জরুরি ছিল। কারণ, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। স্বাধীনতা থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর যে অবদান তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। দুর্ভাগ্য, সরকার তাদের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি চরিতার্থ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে ধারাতে সাজা স্থগিত করেছে। ওই ধারাতে বিদেশে যেতে এবং দণ্ড মওকুফ করার সুযোগ আইনে রয়েছে। তাঁরা বলেছেন, কোনো নজির নেই। সরকার অসংখ্য নজির সৃষ্টি করেছে। তাঁরা ফাঁসির আসামিকে বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারেন, মাফ করে দিতে পারেন। কিন্তু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতার জন্য কোনো মানবতা, শিষ্ঠাচার ও মূল্যবোধ তাদের কাজ করে না। খালেদা জিয়া রাজনীতির শিকার হচ্ছেন। এখানেও পার্টির তরফ থেকে তাঁর বিদেশ চিকিৎসার আবেদন জানাই।’

সরকারের সিদ্ধান্তে বিএনপি হতাশ এবং ক্ষুব্ধ বলেও উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব। তিনি আরও বলেন, ‘একটা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাঁকে (খালেদা জিয়া) যে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। এটা ওয়ান-ইলেভেন থেকে শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তাঁকে এবং তাঁর দলের সব শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দেশে প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুরো দলকেই রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চক্রান্ত চলছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চক্রান্ত চলছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। কারণ, তিনি হচ্ছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। এই দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। ফ্যাসিস্ট সরকার, ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে লড়াই-আন্দোলন শুরু করেছেন। গত নির্বাচনের আগে মিথ্যা মামলায় তাঁকে অন্তরীণ করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত তাঁর সুচিকিৎসা করা হয়নি।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বহুবার সরকারকে বলেছি। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একাধিকবার গিয়েছি তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য। কারাগার থেকে পিজি হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হলেও তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। এবং যখন দেশ করোনা আক্রান্ত হয়েছে তখন পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছে। এটা তাঁর জন্য বেশি উপকার হয়নি।’

খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজ আমি তাঁকে দূর থেকে দেখে এসেছি। আগের থেকে ভালো মনে হলো। অক্সিজেন ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ফুসফুসে টিউব লাগানো আছে। উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখানকার চিকিৎসকরাই বলেছেন, এই চিকিৎসা তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। করোনাপরবর্তী যে জটিলতা দেখা দিচ্ছে, তাতে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কারণ তাঁর পুরানো রোগ ও বয়সের কারণে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।’

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনায় আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

ছবি

সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপির কড়া প্রতিক্রিয়া, জড়িতদের শাস্তির দাবি

ছবি

‘নৃশংসতার রাজনীতি চলতে পারে না’ — সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে দুই দলের বিবৃতি

ছবি

জাতিসংঘ কার্যালয়কে ‘সার্বভৌমত্বের হুমকি’ আখ্যা দিয়ে তিন দাবি হেফাজতে ইসলামের

ছবি

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বললেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল

ছবি

“পাগলও বোঝে কারা ক্ষমতায় যাবে,” প্রতিবাদ সভায় দুদু

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক, জরুরি অবস্থা ও বিচারপতি নিয়োগে আংশিক ঐকমত্য,আলোচনা চল‌বে : আলী রীয়াজ

ছবি

বিএনপি চায় না ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হোক: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

তরুণ ভোটার, সীমানা, পোস্টাল ব্যালট ও আইন সংশোধনে নানা প্রস্তাব ইসির

ছবি

“বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল?” ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যাচ্ছিলেন সালাহউদ্দিন, অনুরোধে ফিরে আসেন

অনলাইন নিবন্ধনে প্রবাসীদের ভোট, সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে আর ইভিএম নয়

ছবি

ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার, সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের

ছবি

শেখ হাসিনার গুলির নির্দেশের অডিও নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনকে একপেশে বললেন জয়

ছবি

বড়লেখায় জামায়াত নেতার ‘পাকিস্তান খ্যাত’ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ছাত্রদল, আইনগত ব্যবস্থার দাবি

ছবি

আইনশৃঙ্খলা থেকে পর্যবেক্ষক পর্যন্ত দায়িত্বে চার নির্বাচন কমিশনার

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের ভূমিকা চায় গণসংহতি আন্দোলন

ছবি

শাপলা না হলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না: সারজিস

ছবি

‘শাপলা’ প্রতীক পাচ্ছে না এনসিপি, নীতিগত সিদ্ধান্ত

ছবি

সীমান্ত হত্যা মেনে নেওয়া হবে না, প্রতিবাদে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

ছবি

মঙ্গলের জন্য দেশকে দ্রুত নির্বাচনের ট্র্যাকে তুলতে হবে: বিএনপি মহাসচিব

ছবি

মেহেরপুরে পদযাত্রায় জনগণকেই ক্ষমতার উৎস বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি

কাঠগড়ায় অঝোরে কাঁদলেন পলক, দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখালো আদালত

ছবি

শফিকুরের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছেন জামায়াতের নেতারা

ছবি

‘মাননীয়’ শব্দ থেকে অটোক্রেসির জন্ম হয়: মির্জা ফখরুল

ভিন্ন মত নিয়েই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ফেসবুক পোস্টে বসুন্ধরা ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি

জি এম কাদেরের সিদ্ধান্ত মানেন না আনিসুল, হাওলাদার ও মুজিবুল হক

ছবি

‘সার্টিফিকেট’ দেওয়া পর্যবেক্ষক আর নয়, এআই রোধে কানাডার অভিজ্ঞতা চায় ইসি

সাংগঠনিক দায়িত্বে অবহেলায় ছাত্রদল থেকে অব্যাহতি ১২ নেতার

ছবি

নির্বাচনের সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগ পেতে পারে ১৫% ভোট : সানেম জরিপ

ছবি

সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশে সাত দফা দাবি উত্থাপন করবে জামায়াত

ছবি

সিইসির সঙ্গে এনডিএম ও আমজনগণ পার্টির সাক্ষাৎ, দাবিদাওয়া তুলে ধরা

ছবি

জাতীয় পার্টির মহাসচিব হলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী

ছবি

নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন, বিএনপিকে ভালোবাসতে বাধ্য করুন: ফখরুল

ছবি

সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে জামায়াত, ফেব্রুয়ারির ভোটে কোনো আপত্তি নেই: তাহের

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির অবস্থান: ছাড় দিয়ে একমত, কিছু প্রস্তাবে আপত্তি

ছবি

‘আমরাই সবচেয়ে বেশি সংস্কার করেছি, আমাদের নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে’

tab

রাজনীতি

খালেদা জিয়া প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির শিকার : মির্জা ফখরুল

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

রোববার, ০৯ মে ২০২১

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য দলটির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে সরকার অনুমতি না দেওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া সরকারের ‘প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি’র শিকার।

রোববার বিকেলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদন নাকচ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার আলোকে খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ আগেই স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির একই ধারা অনুযায়ী, দ্বিতীয়বার তাঁকে অনুরূপ সুযোগ দিয়ে বিদেশে যেতে দেওয়ার সুযোগ নেই।

এরপরই রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়া এলো। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দেখতে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে বসুন্ধরার গেটে গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ওয়ান-ইলেভেনের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতেই সরকার এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে- এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করানোর সম্মতি না দেওয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। শুধু মানবিক কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণেও অনুমতি দেওয়া জরুরি ছিল। কারণ, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। স্বাধীনতা থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর যে অবদান তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। দুর্ভাগ্য, সরকার তাদের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি চরিতার্থ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে ধারাতে সাজা স্থগিত করেছে। ওই ধারাতে বিদেশে যেতে এবং দণ্ড মওকুফ করার সুযোগ আইনে রয়েছে। তাঁরা বলেছেন, কোনো নজির নেই। সরকার অসংখ্য নজির সৃষ্টি করেছে। তাঁরা ফাঁসির আসামিকে বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারেন, মাফ করে দিতে পারেন। কিন্তু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতার জন্য কোনো মানবতা, শিষ্ঠাচার ও মূল্যবোধ তাদের কাজ করে না। খালেদা জিয়া রাজনীতির শিকার হচ্ছেন। এখানেও পার্টির তরফ থেকে তাঁর বিদেশ চিকিৎসার আবেদন জানাই।’

সরকারের সিদ্ধান্তে বিএনপি হতাশ এবং ক্ষুব্ধ বলেও উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব। তিনি আরও বলেন, ‘একটা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাঁকে (খালেদা জিয়া) যে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। এটা ওয়ান-ইলেভেন থেকে শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তাঁকে এবং তাঁর দলের সব শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দেশে প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুরো দলকেই রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চক্রান্ত চলছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চক্রান্ত চলছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। কারণ, তিনি হচ্ছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। এই দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। ফ্যাসিস্ট সরকার, ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে লড়াই-আন্দোলন শুরু করেছেন। গত নির্বাচনের আগে মিথ্যা মামলায় তাঁকে অন্তরীণ করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত তাঁর সুচিকিৎসা করা হয়নি।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বহুবার সরকারকে বলেছি। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একাধিকবার গিয়েছি তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য। কারাগার থেকে পিজি হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হলেও তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। এবং যখন দেশ করোনা আক্রান্ত হয়েছে তখন পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছে। এটা তাঁর জন্য বেশি উপকার হয়নি।’

খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজ আমি তাঁকে দূর থেকে দেখে এসেছি। আগের থেকে ভালো মনে হলো। অক্সিজেন ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ফুসফুসে টিউব লাগানো আছে। উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখানকার চিকিৎসকরাই বলেছেন, এই চিকিৎসা তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। করোনাপরবর্তী যে জটিলতা দেখা দিচ্ছে, তাতে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কারণ তাঁর পুরানো রোগ ও বয়সের কারণে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।’

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনায় আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

back to top