আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাংসদ শাজাহান খান মাদারীপুরে জামায়াত-বিএনপিকে পুনর্বাসিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। সোমবার (৭ জুন) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা অভিযোগ করেন, ‘শাজাহান খান ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়াকে গালাগালি করে বক্তব্য দেন। আবার রাতেই মাদারীপুরে এসে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকে নিয়ে মিটিং করেন। তাদের পুনর্বাসন করছেন। এসব কিন্তু ভালো লক্ষণ না। আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরে, আপনি তাদের সহযোগিতা করেন না। অথচ আপনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির লোকদের সহযোগিতা করেন। সেই প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।’
রোববার (৬ জুন) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছিলেন সাংসদ শাজাহান খান-সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধারা। এই প্রসঙ্গ টেনে শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খানের নেতৃত্বে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। সেই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার। কী তাঁর পরিচয়? তিনি জাসদ ও বিএনপি করেছেন। বিএনপির এমন এক নেতা কী আওয়ামী লীগের সভাপতির পদত্যাগ চাইতে পারেন? এটা যারা আমরা আওয়ামী লীগ করি, তাদের জন্য লজ্জার।’
সাংসদ শাজাহান খানের আগের ইতিহাস টেনে জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বুকে হাত রেখে বলেন, ১৫ বছর আগে আপনাদের কী ছিল? এখন কী হয়েছেন? এখন যা হয়েছেন, তা রাজৈরন্ডমাদারীপুর মানুষের ভোটে। আপনি এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু জনগণের কোনো উন্নয়ন হয়নি। সাধারণ কর্মীদের কোনো উন্নয়ন হয়নি।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজৈরের ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মাদারীপুরের অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি শাজাহান খান নিজে, তাঁর স্ত্রী ও সন্তান।’
শাজাহান খানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান যাঁদের দিয়ে আমার পদত্যাগ চান, এটা ভালো লক্ষণ না। জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আসার মতো সৎসাহস আপনার নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনো কথা থাকলে তা আওয়ামী লীগের পরিবারের মধ্যে আলোচনা করুন। ফেসবুকে রাজাকার, আলবদরদের সন্তানদের দিয়ে আমাদের ও আওয়ামী লীগের কুৎসা রচনা করে যাচ্ছেন, এটা ভালো লক্ষণ না। আমি বলতে চাই, এসব বন্ধ করুন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন, যুবলীগের সভাপতি আতাহার হোসেন ব্যাপারী, ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিকসহ অন্যরা।
মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাংসদ শাজাহান খান মাদারীপুরে জামায়াত-বিএনপিকে পুনর্বাসিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। সোমবার (৭ জুন) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা অভিযোগ করেন, ‘শাজাহান খান ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়াকে গালাগালি করে বক্তব্য দেন। আবার রাতেই মাদারীপুরে এসে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকে নিয়ে মিটিং করেন। তাদের পুনর্বাসন করছেন। এসব কিন্তু ভালো লক্ষণ না। আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরে, আপনি তাদের সহযোগিতা করেন না। অথচ আপনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির লোকদের সহযোগিতা করেন। সেই প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।’
রোববার (৬ জুন) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছিলেন সাংসদ শাজাহান খান-সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধারা। এই প্রসঙ্গ টেনে শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খানের নেতৃত্বে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। সেই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার। কী তাঁর পরিচয়? তিনি জাসদ ও বিএনপি করেছেন। বিএনপির এমন এক নেতা কী আওয়ামী লীগের সভাপতির পদত্যাগ চাইতে পারেন? এটা যারা আমরা আওয়ামী লীগ করি, তাদের জন্য লজ্জার।’
সাংসদ শাজাহান খানের আগের ইতিহাস টেনে জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বুকে হাত রেখে বলেন, ১৫ বছর আগে আপনাদের কী ছিল? এখন কী হয়েছেন? এখন যা হয়েছেন, তা রাজৈরন্ডমাদারীপুর মানুষের ভোটে। আপনি এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু জনগণের কোনো উন্নয়ন হয়নি। সাধারণ কর্মীদের কোনো উন্নয়ন হয়নি।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজৈরের ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মাদারীপুরের অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি শাজাহান খান নিজে, তাঁর স্ত্রী ও সন্তান।’
শাজাহান খানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান যাঁদের দিয়ে আমার পদত্যাগ চান, এটা ভালো লক্ষণ না। জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আসার মতো সৎসাহস আপনার নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনো কথা থাকলে তা আওয়ামী লীগের পরিবারের মধ্যে আলোচনা করুন। ফেসবুকে রাজাকার, আলবদরদের সন্তানদের দিয়ে আমাদের ও আওয়ামী লীগের কুৎসা রচনা করে যাচ্ছেন, এটা ভালো লক্ষণ না। আমি বলতে চাই, এসব বন্ধ করুন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন, যুবলীগের সভাপতি আতাহার হোসেন ব্যাপারী, ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিকসহ অন্যরা।