জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে তার দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন তার ও বিদিশা সিদ্দিকের ছেলে শাহতা জারাব এরিক।
এরিক তার চাচা জি এম কাদেরকে ‘অবৈধ চেয়ারম্যান’ ঘোষণা দিয়ে নতুন এই কমিটি ঘোষণা করেন।
এরিক তার কমিটিতে এরশাদের স্ত্রী, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে করেছেন চেয়ারম্যান। আর এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক এবং এরশাদের আরেক ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদকে (সাদ এরশাদ) করা হয়েছে কো-চেয়ারম্যান।
আর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেন এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদের নাম।
বিদিশার ছেলে এরিক বুধবার রাজধানীর বারিধারায় এরশাদের বাড়ি প্রেসিডেন্ট পার্কে সাবেক এই সামরিক শাসকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদের অনুষ্ঠানে নতুন কমিটির ঘোষণা দেন।
এ সময় এরিকের পিঠ চাপড়ে উৎসাহ দেন বিদিশা। তিনি বলেন, “এরিকের প্রস্তাবিত নতুন কমিটি কাজ শুরু করবে। আমার দুই ছেলে সাদ ও এরিককে নিয়ে এরশাদের স্বপ্নের দেশ গড়তে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করব আমরা।”
তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না রওশন এরশাদ। তার কোনও মন্তব্যও পাওয়া যায়নি।
এরিকের এই উদ্যোগ নিয়ে কী বলছেন জাতীয় পার্টির এখনকার চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের? তার কথাঃ “কে, কী ঘোষণা দিয়েছে তা জানি না। যে কেউ যে কোনো ঘোষণা দিতে পারে।”
সাংবাদিকদের তিনি বলেন রাজনৈতিক দল করার অধিকার সবারই আছে। “তবে একজন ব্যক্তি একসাথে দুটি দল করতে পারেন না। রাজনৈতিক দল কেউ করলেই হবে না। নির্বাচন কমিশন থেকে সেই দলের নিবন্ধন নিতে হবে,” মন্তব্য চাচা জিএম কাদেরের।
তার দাবী সাদ তাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন ‘এই উদ্যোগের সঙ্গে সে নেই’। জিএম কাদের আরও বলেন রওশন এরশাদ ‘খুব অসুস্থ’, যে কারণে ‘এবার বাসায় মিলাদের ব্যবস্থাও করেননি’।
তবে অনুষ্ঠানে সাদ এরশাদ বলেন, “আমরা জঞ্জালমুক্ত থাকতে চাই। এই দিনে আমার বাবার জন্য দোয়া করতে চাই। সবার কাছে দোয়া চাই।”
আর এরিক বলেন, “আমার বাবা যখন অসুস্থ, তখন রাতে আমার বাবাকে জিম্মি করে আমার চাচা জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান পদ লিখেয়ে নিয়েছেন। জাতীয় পার্টি আজ ধ্বংসের মুখে। তিনি অবৈধভাবে চেয়ারম্যান পদটি নিয়েছে আমরা তাকে মানি না।”
বারিধারায় এরশাদের বাড়ি প্রেসিডেন্ট পার্কের অনুষ্ঠানের ব্যানারে দেখা গেলো প্রধান অতিথি রওশন এরশাদের নাম। কিন্তু তাকে দেখা যায়নি অনুষ্ঠানে। তবে উপস্থিত ছিলেন এরিকের মা বিদিশা। আর আয়োজক হিসেবে দেখা গেলো এরশাদ ট্রাস্টের নাম।
আর এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। সেখানেই ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। সাংবাদিকদের সেখানেই তিনি তার প্রতিক্রিয়া জানান।
২০১৯ সালে এরশাদের মৃত্যুর পর ছোট ভাই ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের কাউন্সিল ছাড়াই বসেন চেয়ারম্যানের আসনে। এরপর দ্বন্দ্বে জড়ান ভাবি রওশন এরশাদের সঙ্গে। রওশনের নেতৃত্বে তখন আলাদা কমিটির ঘোষণাও এসেছিল।
পরে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের পর চেয়ারম্যানের পদে থাকলেও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদটি রওশনকে ছেড়ে দিতে হয় জি এম কাদেরকে।
এরপর ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির নবম কাউন্সিলে জিএম কাদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এক সময় এরশাদের প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে বিদিশা ও জিএম কাদেরকে এক পক্ষে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এরশাদের মৃত্যুর পর উল্টে যায় চিত্র। তখন জিএম কাদেরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় বিদিশার, যা এখনও মেটেনি।
বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে তার দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন তার ও বিদিশা সিদ্দিকের ছেলে শাহতা জারাব এরিক।
এরিক তার চাচা জি এম কাদেরকে ‘অবৈধ চেয়ারম্যান’ ঘোষণা দিয়ে নতুন এই কমিটি ঘোষণা করেন।
এরিক তার কমিটিতে এরশাদের স্ত্রী, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে করেছেন চেয়ারম্যান। আর এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক এবং এরশাদের আরেক ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদকে (সাদ এরশাদ) করা হয়েছে কো-চেয়ারম্যান।
আর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেন এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদের নাম।
বিদিশার ছেলে এরিক বুধবার রাজধানীর বারিধারায় এরশাদের বাড়ি প্রেসিডেন্ট পার্কে সাবেক এই সামরিক শাসকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদের অনুষ্ঠানে নতুন কমিটির ঘোষণা দেন।
এ সময় এরিকের পিঠ চাপড়ে উৎসাহ দেন বিদিশা। তিনি বলেন, “এরিকের প্রস্তাবিত নতুন কমিটি কাজ শুরু করবে। আমার দুই ছেলে সাদ ও এরিককে নিয়ে এরশাদের স্বপ্নের দেশ গড়তে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করব আমরা।”
তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না রওশন এরশাদ। তার কোনও মন্তব্যও পাওয়া যায়নি।
এরিকের এই উদ্যোগ নিয়ে কী বলছেন জাতীয় পার্টির এখনকার চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের? তার কথাঃ “কে, কী ঘোষণা দিয়েছে তা জানি না। যে কেউ যে কোনো ঘোষণা দিতে পারে।”
সাংবাদিকদের তিনি বলেন রাজনৈতিক দল করার অধিকার সবারই আছে। “তবে একজন ব্যক্তি একসাথে দুটি দল করতে পারেন না। রাজনৈতিক দল কেউ করলেই হবে না। নির্বাচন কমিশন থেকে সেই দলের নিবন্ধন নিতে হবে,” মন্তব্য চাচা জিএম কাদেরের।
তার দাবী সাদ তাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন ‘এই উদ্যোগের সঙ্গে সে নেই’। জিএম কাদের আরও বলেন রওশন এরশাদ ‘খুব অসুস্থ’, যে কারণে ‘এবার বাসায় মিলাদের ব্যবস্থাও করেননি’।
তবে অনুষ্ঠানে সাদ এরশাদ বলেন, “আমরা জঞ্জালমুক্ত থাকতে চাই। এই দিনে আমার বাবার জন্য দোয়া করতে চাই। সবার কাছে দোয়া চাই।”
আর এরিক বলেন, “আমার বাবা যখন অসুস্থ, তখন রাতে আমার বাবাকে জিম্মি করে আমার চাচা জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান পদ লিখেয়ে নিয়েছেন। জাতীয় পার্টি আজ ধ্বংসের মুখে। তিনি অবৈধভাবে চেয়ারম্যান পদটি নিয়েছে আমরা তাকে মানি না।”
বারিধারায় এরশাদের বাড়ি প্রেসিডেন্ট পার্কের অনুষ্ঠানের ব্যানারে দেখা গেলো প্রধান অতিথি রওশন এরশাদের নাম। কিন্তু তাকে দেখা যায়নি অনুষ্ঠানে। তবে উপস্থিত ছিলেন এরিকের মা বিদিশা। আর আয়োজক হিসেবে দেখা গেলো এরশাদ ট্রাস্টের নাম।
আর এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। সেখানেই ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। সাংবাদিকদের সেখানেই তিনি তার প্রতিক্রিয়া জানান।
২০১৯ সালে এরশাদের মৃত্যুর পর ছোট ভাই ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের কাউন্সিল ছাড়াই বসেন চেয়ারম্যানের আসনে। এরপর দ্বন্দ্বে জড়ান ভাবি রওশন এরশাদের সঙ্গে। রওশনের নেতৃত্বে তখন আলাদা কমিটির ঘোষণাও এসেছিল।
পরে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের পর চেয়ারম্যানের পদে থাকলেও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদটি রওশনকে ছেড়ে দিতে হয় জি এম কাদেরকে।
এরপর ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির নবম কাউন্সিলে জিএম কাদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এক সময় এরশাদের প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে বিদিশা ও জিএম কাদেরকে এক পক্ষে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এরশাদের মৃত্যুর পর উল্টে যায় চিত্র। তখন জিএম কাদেরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় বিদিশার, যা এখনও মেটেনি।