প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাঁর জীবন রক্ষা করেন। তিনি এখন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। এর সঙ্গে রাজনীতিকে নিয়ে আসবেন না।’
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করছেন। তার চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এভারকেয়ার সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল। এখানে যে ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে, তারাও বলছেন যে, ‘আমরা পুরোপুরি ইকুইপ্ড নই তার এই অসুখগুলো সারিয়ে তুলতে।
“তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন রকম অসুখে। এই অসুখ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাকে বাইরে চিকিৎসা করাটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়, ডাক্তাররাই বলছেন, তাকে বিদেশে পাঠালে তিনি সুস্থ হবেন। এ কথা বরবার বলা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে অন্য দলগুলোও বলছে। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের নেত্রী সম্পূর্ণভাবে সেটাকে গ্রহণ করছেন না।”
৭৬ বছর বয়েসী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকারের নির্বাহী ক্ষমতায় যা করার ছিল, তা তিনি করেছেন, এখন বাকিটা ‘আইনের ব্যাপার’।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে তাকে গত বছরের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দিয়েছে সরকার। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাকে ঢাকায় তার বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে, তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
এর আগেও কয়েকবার তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার, তবে ওই শর্তের যুক্তি দেখিয়ে সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপরাসন আবার জেলে গিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদন করলে তা বিবেচনা করা হবে।
এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা আবারও বলছি, আবারও আহ্বান জানাতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন, তার জীবন রক্ষার্থে। এর সঙ্গে রাজনীতিকে নিয়ে আসবেন না।”
ফখরুল বলেন, “আসুন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে যখন আমরা স্মরণ করব, তার আর্দশকে যখন আমরা স্মরণ করব, সেইসঙ্গে আমরা সবাই আজকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমি ব্যক্তিগতভাবে শুধু নই, যারা আমরা রাজনীতি করি, আমরা স্বীকার করি, এই নেত্রীর যে অবদান, সেই অবদান বর্তমানে জীবিত কোনো রাজনৈতিক নেতার নেই।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাঁর জীবন রক্ষা করেন। তিনি এখন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। এর সঙ্গে রাজনীতিকে নিয়ে আসবেন না।’
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করছেন। তার চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এভারকেয়ার সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল। এখানে যে ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে, তারাও বলছেন যে, ‘আমরা পুরোপুরি ইকুইপ্ড নই তার এই অসুখগুলো সারিয়ে তুলতে।
“তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন রকম অসুখে। এই অসুখ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাকে বাইরে চিকিৎসা করাটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়, ডাক্তাররাই বলছেন, তাকে বিদেশে পাঠালে তিনি সুস্থ হবেন। এ কথা বরবার বলা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে অন্য দলগুলোও বলছে। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের নেত্রী সম্পূর্ণভাবে সেটাকে গ্রহণ করছেন না।”
৭৬ বছর বয়েসী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকারের নির্বাহী ক্ষমতায় যা করার ছিল, তা তিনি করেছেন, এখন বাকিটা ‘আইনের ব্যাপার’।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে তাকে গত বছরের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দিয়েছে সরকার। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাকে ঢাকায় তার বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে, তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
এর আগেও কয়েকবার তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার, তবে ওই শর্তের যুক্তি দেখিয়ে সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপরাসন আবার জেলে গিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদন করলে তা বিবেচনা করা হবে।
এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা আবারও বলছি, আবারও আহ্বান জানাতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন, তার জীবন রক্ষার্থে। এর সঙ্গে রাজনীতিকে নিয়ে আসবেন না।”
ফখরুল বলেন, “আসুন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে যখন আমরা স্মরণ করব, তার আর্দশকে যখন আমরা স্মরণ করব, সেইসঙ্গে আমরা সবাই আজকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমি ব্যক্তিগতভাবে শুধু নই, যারা আমরা রাজনীতি করি, আমরা স্বীকার করি, এই নেত্রীর যে অবদান, সেই অবদান বর্তমানে জীবিত কোনো রাজনৈতিক নেতার নেই।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক প্রমুখ।