বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটির নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে পৃথক সময়ে তারা এই সমাবেশ করেন।
দুপুর ২টায় শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের পাশের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে এই সমাবেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, জাহিদ হাসান রোজেল, সদস্য অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, রিয়াদ মো. চৌধুরী, রুহুল আমিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মিয়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরীফ মায়াসহ বিভিন্ন উপজেলা ও থানা কমিটির কয়েকশ’ নেতা-কর্মী অংশ নেন।
নেতারা প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে সমাবেশ করতে চাইলে সদর মডেল থানা পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে পাশের সড়কের উপরই বসে পড়েন নেতা-কর্মীরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ‘স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার অধিকার রয়েছে। দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা কিছু হলেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য চলে যায়। দেশের চিকিৎসা এতই উন্নতমানের হলে মন্ত্রী-মিনিস্টাররা বিদেশে যেত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দু’টি কারণে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়া হয় না। প্রথমত, নিশ্চয়ই জেলখানায় তাকে কোনো প্রকার অপচিকিৎসা করা হয়েছে। তিনি যদি বিদেশে যান তাহলে বিদেশি চিকিৎসায় এটা ধরা পড়বে তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর বিচার হবে। আরেকটি কারণ হতে পারে। সরকার চায় এদেশ থেকে দেশনেত্রী যত দ্রুত বিদায় হবেন তত তাড়াতাড়ি এদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করা সম্ভব হবে।’
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তৈমুর আলম বলেন, ‘আইন কী সেটার ব্যাখ্যা আমরাও জানি। ক্ষমতা কখনও চিরস্থায়ী নয়। আপনাদেরও হয়তো হাইকোর্টের বারান্দায় দাঁড়াতে হবে। জামিনের জন্য আসতে হবে। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে। কিন্তু আপনাদের মতো হিংসাত্মক আচরণ আমরা করবো না।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নিজের মনগড়া সিদ্ধান্ত আপনি নিতে পারেন না। প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। কোনো আন্দলনই বিফলে যায়নি, যাবেও না।’
বক্তব্য শেষে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন তৈমুর আলম খন্দকার। দোয়ায় অংশ নেন উপস্থিত নেতা-কর্মীরা।
পরে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের পেছনে ভাষা সৈনিক সড়কে সমাবেশ করে মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সহসভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আয়শা আক্তার দিনা প্রমুখ। একই সময়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে সমাবেশ করে মহানগর বিএনপির একাংশ। এই সমাবেশে নেতৃত্ব দেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটির নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে পৃথক সময়ে তারা এই সমাবেশ করেন।
দুপুর ২টায় শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের পাশের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে এই সমাবেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, জাহিদ হাসান রোজেল, সদস্য অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, রিয়াদ মো. চৌধুরী, রুহুল আমিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মিয়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরীফ মায়াসহ বিভিন্ন উপজেলা ও থানা কমিটির কয়েকশ’ নেতা-কর্মী অংশ নেন।
নেতারা প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে সমাবেশ করতে চাইলে সদর মডেল থানা পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে পাশের সড়কের উপরই বসে পড়েন নেতা-কর্মীরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ‘স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার অধিকার রয়েছে। দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা কিছু হলেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য চলে যায়। দেশের চিকিৎসা এতই উন্নতমানের হলে মন্ত্রী-মিনিস্টাররা বিদেশে যেত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দু’টি কারণে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়া হয় না। প্রথমত, নিশ্চয়ই জেলখানায় তাকে কোনো প্রকার অপচিকিৎসা করা হয়েছে। তিনি যদি বিদেশে যান তাহলে বিদেশি চিকিৎসায় এটা ধরা পড়বে তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর বিচার হবে। আরেকটি কারণ হতে পারে। সরকার চায় এদেশ থেকে দেশনেত্রী যত দ্রুত বিদায় হবেন তত তাড়াতাড়ি এদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করা সম্ভব হবে।’
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তৈমুর আলম বলেন, ‘আইন কী সেটার ব্যাখ্যা আমরাও জানি। ক্ষমতা কখনও চিরস্থায়ী নয়। আপনাদেরও হয়তো হাইকোর্টের বারান্দায় দাঁড়াতে হবে। জামিনের জন্য আসতে হবে। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে। কিন্তু আপনাদের মতো হিংসাত্মক আচরণ আমরা করবো না।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নিজের মনগড়া সিদ্ধান্ত আপনি নিতে পারেন না। প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। কোনো আন্দলনই বিফলে যায়নি, যাবেও না।’
বক্তব্য শেষে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন তৈমুর আলম খন্দকার। দোয়ায় অংশ নেন উপস্থিত নেতা-কর্মীরা।
পরে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের পেছনে ভাষা সৈনিক সড়কে সমাবেশ করে মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সহসভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আয়শা আক্তার দিনা প্রমুখ। একই সময়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে সমাবেশ করে মহানগর বিএনপির একাংশ। এই সমাবেশে নেতৃত্ব দেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান।