alt

রাজনীতি

সংসদে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পক্ষে কথা বলে তোপে সাংসদ হারুন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর এবং মাঠে পতাকা ওড়ানো নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিলেন বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, কোনো দেশের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব দেখানো ঠিক নয়।

শনিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন হারুন। পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে সরকারি দলের তোপের মুখে পড়েন হারুন। তিনি এ বক্তব্য দেওয়ার সময় সরকারি দলের সদস্যরা তুমুল হইচই করে প্রতিবাদ জানান। পরে তাঁর এ বক্তব্যের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সাংসদ হারুন যেভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে তাঁদের চরিত্র বেরিয়ে এসেছে।

পয়েন্ট অব অর্ডারে হারুন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হচ্ছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। পাকিস্তান ক্রিকেট টিম বাংলাদেশের সঙ্গে খেলছে। বাংলাদেশ যা–ই খেলুক না কেন, পাকিস্তানের সমর্থকেরা তাদের পতাকা ওড়াচ্ছে। এটাকে কেন্দ্র করে একটা বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। মনে রাখতে হবে, তারা কিন্তু আমাদের দেশে মেহমান, অতিথি। আমাদের দেশের ক্রিকেট, আমাদের দেশের ফুটবল, আমাদের দেশের মেয়েরা সারা পৃথিবীতে খেলছে। সেখানে পতাকা ওড়ে না বাংলাদেশের?’

হারুন বলেন, ‘সেদিন একজন সদস্য দেখলাম বিভিন্নভাবে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলেছেন।’ এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা হইচই করে হারুনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। হারুন বলেন, ‘পাকিস্তান টিম তো আসার দরকার ছিল না। পাকিস্তানি টিমকে কেন খেলতে দিয়েছেন? খেলতে দিতেন না। দরকারই ছিল না। আপনি তো তাদের অনুমতি দিয়েছেন। তারা এখানে এসেছে। এটি ঠিক নয়। একটি দেশের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ ঠিক নয়। এটি আমাদের জন্য সম্মানের নয়, গৌরবের নয়।’

১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ থেকে উদ্বৃত করে হারুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ভারত বার্মার মতো অতীত থেকে মুখ ফিরিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গেও নতুন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অতীতের তিক্ততা দূর করতে কোনো প্রচেষ্টা থেকে নিবৃত্ত হইনি। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা প্রদর্শন করে উপমহাদেশে শান্তি সহযোগিতার নতুন ইতিহাস রচনা করেছি। আমরা আমাদের আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছি।’

হারুন বলেন, দেশে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্বাধীনতার পরপরই ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়েছিলেন, এটি তার ঐতিহাসিক দলিল।

এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা ব্যাপক হট্টগোল করলে হারুন স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে কথা বললাম, এখানেও যদি বাধা দেন, তাহলে আর কী বলব মাননীয় স্পিকার। আমি এমন কিছু বলিনি, আমি ওনার ভাষণ পড়ে শুনিয়েছি।’

এরপর হারুন যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির সাবেক সাংসদ আবদুল মোমিন তালুকদারের প্রসঙ্গ টানেন। কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে হারুন বলেন, সাক্ষী–আলামত ছাড়া কাউকে হত্য করা একেবারে গোনাহর কাজ। অষ্টম ও একাদশ সংসদের সদস্য আবদুল মোমিন তালুকদার, তাঁর বয়স তখন (১৯৭১ সালে) ১৮ বছর ছিল। উনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ২০১১ সালে জাতিসংঘের কনভেনশনে গিয়েছেন।

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সদস্য, আপনি এখানে কোনো বিচারের বিষয়ে কথা বলতে পারেন না। বিচার হয়েছে, আপনি বসুন।’ পরে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হারুনের বক্তব্যের জবাব দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশিদ যেভাবে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে সংসদে কথা বললেন, এতে তাঁর প্রকৃত চরিত্র বেরিয়ে এসেছে। তাঁরা যে রাজাকার, আলবদর, আলশামসের পক্ষে কথা বলছেন ও রাজনীতি করছেন, তাঁরা যে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন না, সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, জাতির জনককে হত্যার পর জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের শুধু লালন–পালনই করেননি, পাকিস্তানি ধারা বাংলাদেশে প্রবর্তন করার জন্য সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চরিত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছেন। একই ধারায় তাঁরা এখনো রাজনীতি করে যাচ্ছেন। এর প্রমাণ আজ হারুনুর রশিদ সংসদে উপস্থাপন করলেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান অপরাধ করেছে। বঙ্গবন্ধু যেহেতু শান্তিকামী মানুষের নেতা ছিলেন। তাঁর সেই অহিংস ও শান্তিকে বিকৃত করে সংসদে উপস্থাপন করার চেষ্টা হচ্ছে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, তারা মনে করেছিল যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে না। এ বিচার হওয়ায় তাদের সেই মনঃকষ্ট ফুটে উঠছে। তাঁর বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। তাদের সঙ্গে অনেক অমীমাংসিত বিষয়ের সুরাহা হয়নি। তার মানে এই নয় যে সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ সরে গেছে।

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক, জরুরি অবস্থা ও বিচারপতি নিয়োগে আংশিক ঐকমত্য,আলোচনা চল‌বে : আলী রীয়াজ

ছবি

বিএনপি চায় না ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হোক: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

তরুণ ভোটার, সীমানা, পোস্টাল ব্যালট ও আইন সংশোধনে নানা প্রস্তাব ইসির

ছবি

“বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল?” ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যাচ্ছিলেন সালাহউদ্দিন, অনুরোধে ফিরে আসেন

অনলাইন নিবন্ধনে প্রবাসীদের ভোট, সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে আর ইভিএম নয়

ছবি

ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার, সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের

ছবি

শেখ হাসিনার গুলির নির্দেশের অডিও নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনকে একপেশে বললেন জয়

ছবি

বড়লেখায় জামায়াত নেতার ‘পাকিস্তান খ্যাত’ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ছাত্রদল, আইনগত ব্যবস্থার দাবি

ছবি

আইনশৃঙ্খলা থেকে পর্যবেক্ষক পর্যন্ত দায়িত্বে চার নির্বাচন কমিশনার

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের ভূমিকা চায় গণসংহতি আন্দোলন

ছবি

শাপলা না হলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না: সারজিস

ছবি

‘শাপলা’ প্রতীক পাচ্ছে না এনসিপি, নীতিগত সিদ্ধান্ত

ছবি

সীমান্ত হত্যা মেনে নেওয়া হবে না, প্রতিবাদে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

ছবি

মঙ্গলের জন্য দেশকে দ্রুত নির্বাচনের ট্র্যাকে তুলতে হবে: বিএনপি মহাসচিব

ছবি

মেহেরপুরে পদযাত্রায় জনগণকেই ক্ষমতার উৎস বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি

কাঠগড়ায় অঝোরে কাঁদলেন পলক, দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখালো আদালত

ছবি

শফিকুরের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছেন জামায়াতের নেতারা

ছবি

‘মাননীয়’ শব্দ থেকে অটোক্রেসির জন্ম হয়: মির্জা ফখরুল

ভিন্ন মত নিয়েই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ফেসবুক পোস্টে বসুন্ধরা ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি

জি এম কাদেরের সিদ্ধান্ত মানেন না আনিসুল, হাওলাদার ও মুজিবুল হক

ছবি

‘সার্টিফিকেট’ দেওয়া পর্যবেক্ষক আর নয়, এআই রোধে কানাডার অভিজ্ঞতা চায় ইসি

সাংগঠনিক দায়িত্বে অবহেলায় ছাত্রদল থেকে অব্যাহতি ১২ নেতার

ছবি

নির্বাচনের সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগ পেতে পারে ১৫% ভোট : সানেম জরিপ

ছবি

সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশে সাত দফা দাবি উত্থাপন করবে জামায়াত

ছবি

সিইসির সঙ্গে এনডিএম ও আমজনগণ পার্টির সাক্ষাৎ, দাবিদাওয়া তুলে ধরা

ছবি

জাতীয় পার্টির মহাসচিব হলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী

ছবি

নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন, বিএনপিকে ভালোবাসতে বাধ্য করুন: ফখরুল

ছবি

সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে জামায়াত, ফেব্রুয়ারির ভোটে কোনো আপত্তি নেই: তাহের

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির অবস্থান: ছাড় দিয়ে একমত, কিছু প্রস্তাবে আপত্তি

ছবি

‘আমরাই সবচেয়ে বেশি সংস্কার করেছি, আমাদের নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে’

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের হাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন: মঈন খান

ছবি

মৌলিক সংস্কার না হলে স্বৈরাচারী কাঠামো বিরাজমান থাকবে: বদিউল মজুমদার

ছবি

চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপি কর্মীকে কারাদণ্ড, প্রতিবাদে থানা ভাঙচুর

ছবি

বিভাগীয় শহরে হাই কোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে একমত রাজনৈতিক দলগুলো

ছবি

‘তড়িঘড়ি’ টেলিকম নীতিমালা ঘোষণার সিদ্ধান্তে বিএনপির উদ্বেগ

tab

রাজনীতি

সংসদে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পক্ষে কথা বলে তোপে সাংসদ হারুন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর এবং মাঠে পতাকা ওড়ানো নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিলেন বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, কোনো দেশের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব দেখানো ঠিক নয়।

শনিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন হারুন। পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে সরকারি দলের তোপের মুখে পড়েন হারুন। তিনি এ বক্তব্য দেওয়ার সময় সরকারি দলের সদস্যরা তুমুল হইচই করে প্রতিবাদ জানান। পরে তাঁর এ বক্তব্যের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সাংসদ হারুন যেভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে তাঁদের চরিত্র বেরিয়ে এসেছে।

পয়েন্ট অব অর্ডারে হারুন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হচ্ছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। পাকিস্তান ক্রিকেট টিম বাংলাদেশের সঙ্গে খেলছে। বাংলাদেশ যা–ই খেলুক না কেন, পাকিস্তানের সমর্থকেরা তাদের পতাকা ওড়াচ্ছে। এটাকে কেন্দ্র করে একটা বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। মনে রাখতে হবে, তারা কিন্তু আমাদের দেশে মেহমান, অতিথি। আমাদের দেশের ক্রিকেট, আমাদের দেশের ফুটবল, আমাদের দেশের মেয়েরা সারা পৃথিবীতে খেলছে। সেখানে পতাকা ওড়ে না বাংলাদেশের?’

হারুন বলেন, ‘সেদিন একজন সদস্য দেখলাম বিভিন্নভাবে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলেছেন।’ এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা হইচই করে হারুনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। হারুন বলেন, ‘পাকিস্তান টিম তো আসার দরকার ছিল না। পাকিস্তানি টিমকে কেন খেলতে দিয়েছেন? খেলতে দিতেন না। দরকারই ছিল না। আপনি তো তাদের অনুমতি দিয়েছেন। তারা এখানে এসেছে। এটি ঠিক নয়। একটি দেশের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ ঠিক নয়। এটি আমাদের জন্য সম্মানের নয়, গৌরবের নয়।’

১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ থেকে উদ্বৃত করে হারুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ভারত বার্মার মতো অতীত থেকে মুখ ফিরিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গেও নতুন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অতীতের তিক্ততা দূর করতে কোনো প্রচেষ্টা থেকে নিবৃত্ত হইনি। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা প্রদর্শন করে উপমহাদেশে শান্তি সহযোগিতার নতুন ইতিহাস রচনা করেছি। আমরা আমাদের আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছি।’

হারুন বলেন, দেশে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্বাধীনতার পরপরই ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়েছিলেন, এটি তার ঐতিহাসিক দলিল।

এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা ব্যাপক হট্টগোল করলে হারুন স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে কথা বললাম, এখানেও যদি বাধা দেন, তাহলে আর কী বলব মাননীয় স্পিকার। আমি এমন কিছু বলিনি, আমি ওনার ভাষণ পড়ে শুনিয়েছি।’

এরপর হারুন যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির সাবেক সাংসদ আবদুল মোমিন তালুকদারের প্রসঙ্গ টানেন। কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে হারুন বলেন, সাক্ষী–আলামত ছাড়া কাউকে হত্য করা একেবারে গোনাহর কাজ। অষ্টম ও একাদশ সংসদের সদস্য আবদুল মোমিন তালুকদার, তাঁর বয়স তখন (১৯৭১ সালে) ১৮ বছর ছিল। উনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ২০১১ সালে জাতিসংঘের কনভেনশনে গিয়েছেন।

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সদস্য, আপনি এখানে কোনো বিচারের বিষয়ে কথা বলতে পারেন না। বিচার হয়েছে, আপনি বসুন।’ পরে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হারুনের বক্তব্যের জবাব দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশিদ যেভাবে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে সংসদে কথা বললেন, এতে তাঁর প্রকৃত চরিত্র বেরিয়ে এসেছে। তাঁরা যে রাজাকার, আলবদর, আলশামসের পক্ষে কথা বলছেন ও রাজনীতি করছেন, তাঁরা যে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন না, সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, জাতির জনককে হত্যার পর জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের শুধু লালন–পালনই করেননি, পাকিস্তানি ধারা বাংলাদেশে প্রবর্তন করার জন্য সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চরিত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছেন। একই ধারায় তাঁরা এখনো রাজনীতি করে যাচ্ছেন। এর প্রমাণ আজ হারুনুর রশিদ সংসদে উপস্থাপন করলেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান অপরাধ করেছে। বঙ্গবন্ধু যেহেতু শান্তিকামী মানুষের নেতা ছিলেন। তাঁর সেই অহিংস ও শান্তিকে বিকৃত করে সংসদে উপস্থাপন করার চেষ্টা হচ্ছে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, তারা মনে করেছিল যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে না। এ বিচার হওয়ায় তাদের সেই মনঃকষ্ট ফুটে উঠছে। তাঁর বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। তাদের সঙ্গে অনেক অমীমাংসিত বিষয়ের সুরাহা হয়নি। তার মানে এই নয় যে সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ সরে গেছে।

back to top