নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মেশিনে ভোট দিতে অধিকাংশ নারী ও বৃদ্ধ অনভিজ্ঞ হওয়াতে ভোটগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে বলে ভোট সংশ্লিষ্টরা জানান৷
আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়৷
কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসাররা বলছেন, ভোটারদের অনেকেই ইভিএমএ অনভিজ্ঞ৷ যখন মক ভোটিং করা হয়েছিল তখন তারা অংশ নেননি৷ ভোট গ্রহনের দিন তার প্রভাব পড়ছে৷ বিশেষ করে নারী ভোটকেন্দ্রগুলোতে ইভিএমে অধিক ধীরগতি দেখা গেছে৷
সকাল ৯টায় নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১নং বাবুরাইল এলাকার ১৮ ও ১৯নং সরকারি বালক ও বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ঘন্টায় ৫০টিরও কম ভোটগ্রহণ হয়েছে৷ তবে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২২৫২ জন৷
এই কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুস সালাম সংবাদকে বলেন, ইভিএমে সবাই সমান পারদর্শী না হওয়াতে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে৷ ব্যালট ইস্যু করার পূর্বে আঙুলের ছাপ নেওয়া ও পরে ভোট দেওয়ায় সময় বেশি যাচ্ছে৷ তবে কেন্দ্রে কোনো গোলযোগ নেই৷ প্রার্থীদের এজেন্টরাও আছেন প্রতিটি ভোটকক্ষে৷
বেলা সাড়ে ১১টায় দেওভোগের শিশুবাগ বিদ্যালয়ের নারী কেন্দ্রে সাড়ে ৪শ’ ভোট গ্রহণের তথ্য জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল৷ এই কেন্দ্রে ভোটার আছেন মোট ২০৬৮ জন৷ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, যখন মক ভোটিং করা হয়েছিল তখন অনেকেই অংশগ্রহণ করেননি৷ এখন তাদের ভোটের প্রক্রিয়া বুঝিয়ে তারপর ভোট দিতে হচ্ছে৷ প্রত্যেকজনের পেছনে প্রায় ২-৩ মিনিট সময় ব্যয় হচ্ছে৷ তবে আরও দ্রুত করার চেষ্টা করছেন তারা৷
শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্রটিতে সোয়া ১১টার দিকে ভোট দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী৷ তিনিও ভোটগ্রহণে দেরি হওয়ায় কথাটি জানান৷
সাড়ে ১১টার দিকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানটুলী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একাধিক ভোটার ভোট প্রদান অত্যন্ত ধীরগতিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তবে একই ভাবে এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার উম্মে কুলসুম বলেন, অনেক ভোটার ইভিএম-এ ঠিকমতো ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া লপ্ত করতে পারেননি। এজন্য তাদের পুরো প্রক্রিয়াটি বুঝিয়ে ভোট গ্রহন করতে হচ্ছে। ফলে দেরি হচ্ছে। তবে এ দেরি পুরো ভোটগ্রহন সময় মতো শেষ করতে কোন অসুবিধা হবেনা বলে তিনি অভিমত দেন।
বেলা পৌনে ১২টায় নগরীর ১২নং ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমীর পুরুষ ভোট কেন্দ্রের ৩১৫৭ জন ভোটারের মধ্যে ৭৪০ জন ভোট দিয়েছেন৷ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে না৷ ধীরগতির ব্যাপার না৷ ভোটার আসলে ৭০ শতাংশ ভোট পড়বে৷ তবে সকালে যেমন ভোটার উপস্থিতি ছিল বেলা বাড়ার পর তা কমেছে৷
এদিকে এ কেন্দ্রে কয়েকজন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা গোলযোগের চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা৷ তবে প্রশাসনের অবস্থানের কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি৷
জানা যায়, সিটিতে এবার মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এটি তৃতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থীসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোন ধরনের সহিংসতা ছাড়াই এখন পর্যন্ত প্রচারণাসহ সব কার্যক্রম চালিয়েছেন প্রার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটাই সফল নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন। তবে ভোটের দিন বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকলেও সাধারণ ভোটারদের প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশের। নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চান তারা।
এই নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার।
রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মেশিনে ভোট দিতে অধিকাংশ নারী ও বৃদ্ধ অনভিজ্ঞ হওয়াতে ভোটগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে বলে ভোট সংশ্লিষ্টরা জানান৷
আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়৷
কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসাররা বলছেন, ভোটারদের অনেকেই ইভিএমএ অনভিজ্ঞ৷ যখন মক ভোটিং করা হয়েছিল তখন তারা অংশ নেননি৷ ভোট গ্রহনের দিন তার প্রভাব পড়ছে৷ বিশেষ করে নারী ভোটকেন্দ্রগুলোতে ইভিএমে অধিক ধীরগতি দেখা গেছে৷
সকাল ৯টায় নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১নং বাবুরাইল এলাকার ১৮ ও ১৯নং সরকারি বালক ও বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ঘন্টায় ৫০টিরও কম ভোটগ্রহণ হয়েছে৷ তবে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২২৫২ জন৷
এই কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুস সালাম সংবাদকে বলেন, ইভিএমে সবাই সমান পারদর্শী না হওয়াতে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে৷ ব্যালট ইস্যু করার পূর্বে আঙুলের ছাপ নেওয়া ও পরে ভোট দেওয়ায় সময় বেশি যাচ্ছে৷ তবে কেন্দ্রে কোনো গোলযোগ নেই৷ প্রার্থীদের এজেন্টরাও আছেন প্রতিটি ভোটকক্ষে৷
বেলা সাড়ে ১১টায় দেওভোগের শিশুবাগ বিদ্যালয়ের নারী কেন্দ্রে সাড়ে ৪শ’ ভোট গ্রহণের তথ্য জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল৷ এই কেন্দ্রে ভোটার আছেন মোট ২০৬৮ জন৷ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, যখন মক ভোটিং করা হয়েছিল তখন অনেকেই অংশগ্রহণ করেননি৷ এখন তাদের ভোটের প্রক্রিয়া বুঝিয়ে তারপর ভোট দিতে হচ্ছে৷ প্রত্যেকজনের পেছনে প্রায় ২-৩ মিনিট সময় ব্যয় হচ্ছে৷ তবে আরও দ্রুত করার চেষ্টা করছেন তারা৷
শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্রটিতে সোয়া ১১টার দিকে ভোট দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী৷ তিনিও ভোটগ্রহণে দেরি হওয়ায় কথাটি জানান৷
সাড়ে ১১টার দিকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানটুলী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একাধিক ভোটার ভোট প্রদান অত্যন্ত ধীরগতিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তবে একই ভাবে এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার উম্মে কুলসুম বলেন, অনেক ভোটার ইভিএম-এ ঠিকমতো ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া লপ্ত করতে পারেননি। এজন্য তাদের পুরো প্রক্রিয়াটি বুঝিয়ে ভোট গ্রহন করতে হচ্ছে। ফলে দেরি হচ্ছে। তবে এ দেরি পুরো ভোটগ্রহন সময় মতো শেষ করতে কোন অসুবিধা হবেনা বলে তিনি অভিমত দেন।
বেলা পৌনে ১২টায় নগরীর ১২নং ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমীর পুরুষ ভোট কেন্দ্রের ৩১৫৭ জন ভোটারের মধ্যে ৭৪০ জন ভোট দিয়েছেন৷ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে না৷ ধীরগতির ব্যাপার না৷ ভোটার আসলে ৭০ শতাংশ ভোট পড়বে৷ তবে সকালে যেমন ভোটার উপস্থিতি ছিল বেলা বাড়ার পর তা কমেছে৷
এদিকে এ কেন্দ্রে কয়েকজন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা গোলযোগের চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা৷ তবে প্রশাসনের অবস্থানের কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি৷
জানা যায়, সিটিতে এবার মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এটি তৃতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থীসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোন ধরনের সহিংসতা ছাড়াই এখন পর্যন্ত প্রচারণাসহ সব কার্যক্রম চালিয়েছেন প্রার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটাই সফল নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন। তবে ভোটের দিন বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকলেও সাধারণ ভোটারদের প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশের। নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চান তারা।
এই নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার।