নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ ভোট, একটি কেন্দ্রের ছবি -সংবাদ
শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোট। রাজনীতির নানা নাটকে সবার দৃষ্টি ছিল এবার নাসিক ভোটের দিকে। তবে রোববার (১৬ জানুয়ারি) ভোটকেন্দ্রে সংঘাত-সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
সরেজমিন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের লাইন শুরু হয়। আঙুলের ছাপ নিয়ে জটিলতা এবং বয়স্কদের ইভিএম বুঝতে অসুবিধার কারণে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণে ধীরগতি সৃষ্টি হয়। আবার কয়েকটি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) অচল হয়ে পড়লে, দ্রুত তা সচল করার ব্যবস্থা নেন সংশ্লিষ্টরা।
নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আইভী-তৈমুরসহ সাতজন, ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বেশকিছু কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ শতাংশ ভোট পড়ার খবর পাওয়া যায়। ভোট শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের পঞ্চাশ শতাংশ ভোট পড়বে বলে তার ধারণার কথা জানান।
সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় নাসিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম এমন পরিস্থিতির বিষয়ে স্থানীয় অনেকের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, বেশির ভাগ কল-কারখানা খোলা থাকায় অনেক শ্রমিক ভোট দিতে আসেননি। আবার করোনা মহামারীর নেতিবাচক প্রভাবে নগর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া অনেক ভোটার আর ফিরে আসেননি। তাই ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম।
এদিকে সকালে নগরীর শিশুবাগ কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। সে সময় ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটদানে ধীরগতির খবর পাওয়ার কথা জানান তিনি। আইভী বলেন, ‘খবর পাচ্ছি স্লো ভোট হচ্ছে। ৫, ১৭, ১৮, ২০ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচুর মানুষ ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এছাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কদমতলীতে একটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিন নষ্ট হওয়ার খবর পেয়েছি। পরে তারা জানিয়েছে, ঠিক করছে।’ নিজের ভোটদান শেষে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটের পরিস্থিতি দেখতে বের হন আইভী।
সকালে মাসদাইর মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বিএনপির পদ-পদবি হারানো স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি কোথাও কোথাও ভোটারের উপস্থিতি কম দেখে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘ইভিএম-ভীতির কারণে’ হয়ত মানুষ কম। জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে, কোন গোলযোগ নেই। উৎসবমুখর ভোট হচ্ছে। কোন কোন বুথে নারী ও বয়স্কদের কারণে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে।’
শামীম ওসমানের কেন্দ্রে জিতল তৈমুর
আওয়ামী লীগের (নারায়ণগঞ্জ-৪) সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভোটকেন্দ্রে মেয়র পদে তৈমুর আলম খন্দকার প্রথম হয়েছেন। নগরীর আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে হাতি প্রতীকে তৈমুর পেয়েছেন ৬৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬২ ভোট। এই কেন্দ্রে মোট ভোট দিয়েছেন ১১৭৩ জন ভোটার। এর মধ্যে দুটি ভোট বাতিল হয়েছে। অনুপস্থিত ছিলেন ২০৮২ জন ভোটার।
আইভী-শামীমের চলমান দ্বন্দ্ব নাসিক ভোটে নৌকার বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এমন আশঙ্কা ছিল ক্ষমতাসীনদের শীর্ষ মহলে। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা নানা প্রচেষ্টায় একটা ঐকমত্যের চেষ্টা করলেও মনের মিল কতটুকু হবে তা নিয়ে স্থানীয়দের সংশয় ছিল।
রোববার বিকেলে এই কেন্দ্রে ভোট দেন শামীম ওসমান। ভোট শেষে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষভাবে’ ভোট দিতে পেরে জনগণ খুশি হয়েছে।
নিজ দলের প্রার্থী আইভীর নাম উচ্চারণ না করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব এই নির্বাচনে আমি যাকে ভোট দিয়েছি, সেই নৌকা মার্কা যেন জয়লাভ করে।’
হাতির এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় : নির্বাচনী কর্মকর্তা
সিদ্ধিরগঞ্জে হাতি প্রতীকের এজেন্ট হেলাল উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার যে অভিযোগ তৈমুর আলম খন্দকার তুলেছেন তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা। সকালে মাসদাইর মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর তৈমুর সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সিদ্দিরগঞ্জে পাওয়ার হাউজ স্কুল কেন্দ্রে হাতি প্রতীকের পুলিং এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হয়েছে।
সংবাদের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ওই কেন্দ্রের পাঁচটি বুথের মধ্যে একটি বুথে হেলাল উদ্দিন নামের একজনকে হাতি প্রতীকের এজেন্ট দেয়া হয়। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে সে ভোটকেন্দ্রে আসলে তাকে তার কক্ষে বসানো হয়েছে। জানা গেছে, প্রথমে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ছাড়াই তিনি কেন্দ্রে আসেন। তখন থাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে তিনি নিয়োগ, পরিচয়পত্র নিয়ে এসে তিনি বুথে দায়িত্ব পালন করেন।
৪টার পরও ভোট নেয়া হয়
নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা ছিল নাসিকে। ইভিএমে ত্রুটি এবং বুঝে ভোটদানে বিলম্বের কারণে অনেক কেন্দ্রে ভোটদানে ধীরগতি ছিল। ৪টার সময়ও কোন কোন কেন্দ্রে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন। তবে এই সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন ৪টার পরও তাদের ভোট দিতে দেয়া হয়েছে। কদম শরীফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কেন্দ্রে ঢুকে নিয়ম ভঙ্গ করে ভোট চাইলেন তৈমুর
নিয়ম ভঙ্গ করে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছেন মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। দুপুর আড়াইটার দিকে ৮নং ওয়ার্ডের গোদনাইলের পপুলার ধনকুন্ডা হাইস্কুল কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ‘হাতি’ স্লোগানে অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থকের মিছিল নিয়ে পপুলার ধনকুন্ডা হাইস্কুল কেন্দ্রের সামনে আসেন। বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের মিছিল দেখে স্কুলগেটে তাদের আটকান আনসার সদস্যরা। পরে অনধিক ১০ জন কর্মীকে নিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন তৈমুর। পরে তিনি কেন্দ্রের ভেতর ভোট দেয়ার জন্য সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের কাছে ভোট চান। তবে এর প্রতিবাদ করেন আওয়ামী লীগের এজেন্ট জামান মিয়া।
এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তৈমুর আলম সংবাদকে বলেন, ‘বানায়ে বানায়ে কথা বলবেন না। ভোট চাইনি, সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি।’
নাসিকে এবার মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে আরও ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ ভোট, একটি কেন্দ্রের ছবি -সংবাদ
রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোট। রাজনীতির নানা নাটকে সবার দৃষ্টি ছিল এবার নাসিক ভোটের দিকে। তবে রোববার (১৬ জানুয়ারি) ভোটকেন্দ্রে সংঘাত-সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
সরেজমিন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের লাইন শুরু হয়। আঙুলের ছাপ নিয়ে জটিলতা এবং বয়স্কদের ইভিএম বুঝতে অসুবিধার কারণে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণে ধীরগতি সৃষ্টি হয়। আবার কয়েকটি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) অচল হয়ে পড়লে, দ্রুত তা সচল করার ব্যবস্থা নেন সংশ্লিষ্টরা।
নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আইভী-তৈমুরসহ সাতজন, ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বেশকিছু কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ শতাংশ ভোট পড়ার খবর পাওয়া যায়। ভোট শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের পঞ্চাশ শতাংশ ভোট পড়বে বলে তার ধারণার কথা জানান।
সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় নাসিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম এমন পরিস্থিতির বিষয়ে স্থানীয় অনেকের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, বেশির ভাগ কল-কারখানা খোলা থাকায় অনেক শ্রমিক ভোট দিতে আসেননি। আবার করোনা মহামারীর নেতিবাচক প্রভাবে নগর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া অনেক ভোটার আর ফিরে আসেননি। তাই ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম।
এদিকে সকালে নগরীর শিশুবাগ কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। সে সময় ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটদানে ধীরগতির খবর পাওয়ার কথা জানান তিনি। আইভী বলেন, ‘খবর পাচ্ছি স্লো ভোট হচ্ছে। ৫, ১৭, ১৮, ২০ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচুর মানুষ ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এছাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কদমতলীতে একটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিন নষ্ট হওয়ার খবর পেয়েছি। পরে তারা জানিয়েছে, ঠিক করছে।’ নিজের ভোটদান শেষে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটের পরিস্থিতি দেখতে বের হন আইভী।
সকালে মাসদাইর মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বিএনপির পদ-পদবি হারানো স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি কোথাও কোথাও ভোটারের উপস্থিতি কম দেখে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘ইভিএম-ভীতির কারণে’ হয়ত মানুষ কম। জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে, কোন গোলযোগ নেই। উৎসবমুখর ভোট হচ্ছে। কোন কোন বুথে নারী ও বয়স্কদের কারণে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে।’
শামীম ওসমানের কেন্দ্রে জিতল তৈমুর
আওয়ামী লীগের (নারায়ণগঞ্জ-৪) সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভোটকেন্দ্রে মেয়র পদে তৈমুর আলম খন্দকার প্রথম হয়েছেন। নগরীর আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে হাতি প্রতীকে তৈমুর পেয়েছেন ৬৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬২ ভোট। এই কেন্দ্রে মোট ভোট দিয়েছেন ১১৭৩ জন ভোটার। এর মধ্যে দুটি ভোট বাতিল হয়েছে। অনুপস্থিত ছিলেন ২০৮২ জন ভোটার।
আইভী-শামীমের চলমান দ্বন্দ্ব নাসিক ভোটে নৌকার বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এমন আশঙ্কা ছিল ক্ষমতাসীনদের শীর্ষ মহলে। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা নানা প্রচেষ্টায় একটা ঐকমত্যের চেষ্টা করলেও মনের মিল কতটুকু হবে তা নিয়ে স্থানীয়দের সংশয় ছিল।
রোববার বিকেলে এই কেন্দ্রে ভোট দেন শামীম ওসমান। ভোট শেষে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষভাবে’ ভোট দিতে পেরে জনগণ খুশি হয়েছে।
নিজ দলের প্রার্থী আইভীর নাম উচ্চারণ না করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব এই নির্বাচনে আমি যাকে ভোট দিয়েছি, সেই নৌকা মার্কা যেন জয়লাভ করে।’
হাতির এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় : নির্বাচনী কর্মকর্তা
সিদ্ধিরগঞ্জে হাতি প্রতীকের এজেন্ট হেলাল উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার যে অভিযোগ তৈমুর আলম খন্দকার তুলেছেন তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা। সকালে মাসদাইর মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর তৈমুর সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সিদ্দিরগঞ্জে পাওয়ার হাউজ স্কুল কেন্দ্রে হাতি প্রতীকের পুলিং এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হয়েছে।
সংবাদের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ওই কেন্দ্রের পাঁচটি বুথের মধ্যে একটি বুথে হেলাল উদ্দিন নামের একজনকে হাতি প্রতীকের এজেন্ট দেয়া হয়। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে সে ভোটকেন্দ্রে আসলে তাকে তার কক্ষে বসানো হয়েছে। জানা গেছে, প্রথমে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ছাড়াই তিনি কেন্দ্রে আসেন। তখন থাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে তিনি নিয়োগ, পরিচয়পত্র নিয়ে এসে তিনি বুথে দায়িত্ব পালন করেন।
৪টার পরও ভোট নেয়া হয়
নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা ছিল নাসিকে। ইভিএমে ত্রুটি এবং বুঝে ভোটদানে বিলম্বের কারণে অনেক কেন্দ্রে ভোটদানে ধীরগতি ছিল। ৪টার সময়ও কোন কোন কেন্দ্রে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন। তবে এই সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন ৪টার পরও তাদের ভোট দিতে দেয়া হয়েছে। কদম শরীফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কেন্দ্রে ঢুকে নিয়ম ভঙ্গ করে ভোট চাইলেন তৈমুর
নিয়ম ভঙ্গ করে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছেন মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। দুপুর আড়াইটার দিকে ৮নং ওয়ার্ডের গোদনাইলের পপুলার ধনকুন্ডা হাইস্কুল কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ‘হাতি’ স্লোগানে অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থকের মিছিল নিয়ে পপুলার ধনকুন্ডা হাইস্কুল কেন্দ্রের সামনে আসেন। বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের মিছিল দেখে স্কুলগেটে তাদের আটকান আনসার সদস্যরা। পরে অনধিক ১০ জন কর্মীকে নিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন তৈমুর। পরে তিনি কেন্দ্রের ভেতর ভোট দেয়ার জন্য সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের কাছে ভোট চান। তবে এর প্রতিবাদ করেন আওয়ামী লীগের এজেন্ট জামান মিয়া।
এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তৈমুর আলম সংবাদকে বলেন, ‘বানায়ে বানায়ে কথা বলবেন না। ভোট চাইনি, সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি।’
নাসিকে এবার মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে আরও ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।