সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজি। ভোটের মাঠে একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও সম্পর্কে যে তাদের চির ধরেনি তারই প্রমাণ মিলল গতকাল সোমবার বিকেলে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে হাজির হন বিজয়ী মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। বিজয়ী ভাতিজিকে অভিনন্দন জানিয়ে জড়িয়ে ধরেন চাচা। একে-অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে দু’জনই বললেন, ভোটের মাঠে যাই হোক না কেন, তাদের সম্পর্ক চাচা-ভাতিজির। এই সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভাতিজির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তৈমুর।
তিনি বলেন, ‘আইভীর সাথে আমার সম্পর্কটা আধ্যাত্মিক এবং আন্তরিক। যেই অবস্থাতেই থাকি না কেন আলী আহাম্মদ চুনকার (আইভীর পিতা) কথা স্মরণ করি। তাঁর হাত ধরেই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। আমার মাকে তিনি মা বলতেন, আমি তাকে ভাই বলতাম। তাঁর মেয়ের পেছনে আমি আছি। তাঁর (আইভী) যেকোনো বিপদ-আপদ সুবিধা-অসুবিধাতে অদৃশ্য শক্তির মতো তার মাথায় আমার হাত থাকবে। নির্বাচন চলে গেছে, আগামী দিন যেন সুন্দর হয়। তার পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো।’
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘উনি আমার চাচা। এই নির্বাচনে ওনার মেয়েই জিতেছে। আমি বারবারই বলেছি, রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কের কোনো ঘাটতি হবে না। উনি পূর্বেও আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন ভবিষ্যতে সহযোগিতা করবেন। যে যে দলই করি না কেন এই নারায়ণগঞ্জে প্রত্যেকের সাথেই প্রত্যেকের সম্পর্ক আছে। কাকা যেসব পরিকল্পনা করেছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। নির্বাচন কয়েকদিনের ব্যাপার। সেটা শেষ সে পর্যন্তই থাক। সবাই মিলেমিশে কাজ করতে চাই।’
এরপর দু’জনেই দু’জনকে মিষ্টিমুখ করান। নগরীর মাসদাইর এলাকায় এই সময় উপস্থিত ছিলেন তৈমুর আলম খন্দকারের স্ত্রী হালিমা ফারজানা, কন্যা ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খনদকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল প্রমুখ।
বিজয়ী আইভী ও পরাজিত তৈমুর আলম খন্দকারের মিষ্টিমুখ করার এই দৃশ্য কোনো সহিংসতা ছাড়াই শেষ হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নতুন মাত্রা যোগ করে। তাদের মিষ্টিমুখ করানোর ছবি ও ভিডিও মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাজনীতির এই সৌহার্দপূর্ণ নিদর্শনের সকলেই প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, গতবারও বিজয়ী হওয়ার পর পরাজিত ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের বাড়িতে গিয়ে মিষ্টিমুখ করান আইভী।
এদিকে সারাদিন বাসায় ছিলেন তৃতীয় বারের নির্বাচিত সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হন দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খীরা। সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এর ফাঁকেই গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেন। তাঁর এই বিজয় নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি উৎসর্গ করেন। বিকেলে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় কার্যালয়ের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মিলাদে অংশ নেন তিনি।
সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজি। ভোটের মাঠে একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও সম্পর্কে যে তাদের চির ধরেনি তারই প্রমাণ মিলল গতকাল সোমবার বিকেলে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে হাজির হন বিজয়ী মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। বিজয়ী ভাতিজিকে অভিনন্দন জানিয়ে জড়িয়ে ধরেন চাচা। একে-অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে দু’জনই বললেন, ভোটের মাঠে যাই হোক না কেন, তাদের সম্পর্ক চাচা-ভাতিজির। এই সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভাতিজির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তৈমুর।
তিনি বলেন, ‘আইভীর সাথে আমার সম্পর্কটা আধ্যাত্মিক এবং আন্তরিক। যেই অবস্থাতেই থাকি না কেন আলী আহাম্মদ চুনকার (আইভীর পিতা) কথা স্মরণ করি। তাঁর হাত ধরেই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। আমার মাকে তিনি মা বলতেন, আমি তাকে ভাই বলতাম। তাঁর মেয়ের পেছনে আমি আছি। তাঁর (আইভী) যেকোনো বিপদ-আপদ সুবিধা-অসুবিধাতে অদৃশ্য শক্তির মতো তার মাথায় আমার হাত থাকবে। নির্বাচন চলে গেছে, আগামী দিন যেন সুন্দর হয়। তার পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো।’
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘উনি আমার চাচা। এই নির্বাচনে ওনার মেয়েই জিতেছে। আমি বারবারই বলেছি, রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কের কোনো ঘাটতি হবে না। উনি পূর্বেও আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন ভবিষ্যতে সহযোগিতা করবেন। যে যে দলই করি না কেন এই নারায়ণগঞ্জে প্রত্যেকের সাথেই প্রত্যেকের সম্পর্ক আছে। কাকা যেসব পরিকল্পনা করেছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। নির্বাচন কয়েকদিনের ব্যাপার। সেটা শেষ সে পর্যন্তই থাক। সবাই মিলেমিশে কাজ করতে চাই।’
এরপর দু’জনেই দু’জনকে মিষ্টিমুখ করান। নগরীর মাসদাইর এলাকায় এই সময় উপস্থিত ছিলেন তৈমুর আলম খন্দকারের স্ত্রী হালিমা ফারজানা, কন্যা ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খনদকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল প্রমুখ।
বিজয়ী আইভী ও পরাজিত তৈমুর আলম খন্দকারের মিষ্টিমুখ করার এই দৃশ্য কোনো সহিংসতা ছাড়াই শেষ হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নতুন মাত্রা যোগ করে। তাদের মিষ্টিমুখ করানোর ছবি ও ভিডিও মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাজনীতির এই সৌহার্দপূর্ণ নিদর্শনের সকলেই প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, গতবারও বিজয়ী হওয়ার পর পরাজিত ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের বাড়িতে গিয়ে মিষ্টিমুখ করান আইভী।
এদিকে সারাদিন বাসায় ছিলেন তৃতীয় বারের নির্বাচিত সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হন দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খীরা। সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এর ফাঁকেই গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেন। তাঁর এই বিজয় নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি উৎসর্গ করেন। বিকেলে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় কার্যালয়ের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মিলাদে অংশ নেন তিনি।