বাম জোটেও ভাঙ্গনের বাতাস লাগলো। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলার আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটও ভাঙ্গনের মুখে পড়লো। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন বাম জোট ছাড়ার ঘোষনা দিয়ে এ ভাঙ্গনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলো। মঙ্গলবার জোটের বৈঠকে দুই দলের সদস্য পদ স্থগিত করার মধ্য দিয়ে ভাঙ্গন পূর্নতা পেলো।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বাম জোটের মাধ্যমে আন্দোলন করে ‘সরকার পতন সম্ভব নয়’। জোটের আন্দোলনের কৌশলগত দিক নিয়েও প্রশ্ন ছিল তাদের। সেই মতানৈক্যের কারণে তারাই জোটের সদস্য পদ স্থগিত করতে বলেছিলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের কৌশল নিয়ে আমাদের মতপার্থক্য রয়েছে। জনগণের দাবি আদায়ের জন্য বৃহত্তর ঐক্য এবং আন্দোলনের বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সব বাম, গণতান্ত্রিক শক্তিকে বৃহত্তর আন্দোলন ও তার ভিত্তিতে আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার তাগিদ থেকেই আমরা বাম জোটের সদস্য পদ স্থগিত রাখতে বলেছি।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বাম জোটে আছি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাম জোট কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের জন্য গণতান্ত্রিক বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না।
“বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে এর বাইরে গিয়ে গণতান্ত্রিক মঞ্চ তৈরির মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাতে বাম জোটের নেতাদের আপত্তি ওঠে, যার ফলে আমরা নিজেরাই বলেছি আমাদের সদস্য পদ স্থগিত রাখতে।”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে থাকা নাগরিক ঐক্য, জেএসডি ছাড়াও রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নূরের দল গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন থাকছে সেই মঞ্চে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে প্রগতিশীল দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে ২০১৩ সালে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা গঠন করা হয়। আর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠিত হয়। ওই বছর জোটগতভাবেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় দলগুলো। কিন্তু নির্বাচনেও না, আন্দোলনেও না- কোনো দিকেই সফল হয়নি জোট।
এদিকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন সম্প্রতি নতুন মঞ্চে যাওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। ফলে বাম জোটে ভাঙন অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন জোটের নেতারা। সেখানে সার্বিক বিষয়ে আলোচনার পর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের বলা হয়, যে কোনো একটি জোটে থাকতে হবে। দুই জোটে থাকার সুযোগ নেই। পরে জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের বামজোটের সদস্য পদ স্থগিত রাখা হয়।
েএদিকে ভাঙনের বিষয়ে জোটের সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “গতকালের মিটিংয়ে জোটভুক্ত সকল দলই ছিল। জোটের বাইরে গিয়ে আরও একটি রাজনৈতিক মঞ্চ করার চেষ্টা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি নিয়ে তারা ওই মঞ্চ তৈরি করছে। আর বাম জোট শিক্ষা, খাদ্য, রাজনৈতিক, কর্মসংস্থান, আন্তর্জাতিক ইস্যুসহ অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করে।
“সেখানে দুই জায়গায় থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা বলেছে আমরা দুই জায়গায় থাকব। তবে আমরা বললাম না, দুই জায়গায় থাকার সুযোগ নেই, কারণ মঞ্চে সাম্প্রদায়িক শক্তি, মৌলবাদী গোষ্ঠী থাকতে পারে, তাদের সঙ্গে আমাদের আদর্শিক দূরত্ব থাকতে পারে। তাহলে আপনারা ঐ জোটেই থাকেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে জোটে তাদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।"
দুই দলের সদস্যপদ স্থগিতের পর বাম জোটে এখন সাত দল সক্রিয় থাকল বলেও জানান সাত্তার।
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
বাম জোটেও ভাঙ্গনের বাতাস লাগলো। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলার আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটও ভাঙ্গনের মুখে পড়লো। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন বাম জোট ছাড়ার ঘোষনা দিয়ে এ ভাঙ্গনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলো। মঙ্গলবার জোটের বৈঠকে দুই দলের সদস্য পদ স্থগিত করার মধ্য দিয়ে ভাঙ্গন পূর্নতা পেলো।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বাম জোটের মাধ্যমে আন্দোলন করে ‘সরকার পতন সম্ভব নয়’। জোটের আন্দোলনের কৌশলগত দিক নিয়েও প্রশ্ন ছিল তাদের। সেই মতানৈক্যের কারণে তারাই জোটের সদস্য পদ স্থগিত করতে বলেছিলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের কৌশল নিয়ে আমাদের মতপার্থক্য রয়েছে। জনগণের দাবি আদায়ের জন্য বৃহত্তর ঐক্য এবং আন্দোলনের বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সব বাম, গণতান্ত্রিক শক্তিকে বৃহত্তর আন্দোলন ও তার ভিত্তিতে আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার তাগিদ থেকেই আমরা বাম জোটের সদস্য পদ স্থগিত রাখতে বলেছি।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বাম জোটে আছি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাম জোট কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের জন্য গণতান্ত্রিক বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না।
“বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে এর বাইরে গিয়ে গণতান্ত্রিক মঞ্চ তৈরির মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাতে বাম জোটের নেতাদের আপত্তি ওঠে, যার ফলে আমরা নিজেরাই বলেছি আমাদের সদস্য পদ স্থগিত রাখতে।”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে থাকা নাগরিক ঐক্য, জেএসডি ছাড়াও রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নূরের দল গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন থাকছে সেই মঞ্চে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে প্রগতিশীল দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে ২০১৩ সালে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা গঠন করা হয়। আর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠিত হয়। ওই বছর জোটগতভাবেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় দলগুলো। কিন্তু নির্বাচনেও না, আন্দোলনেও না- কোনো দিকেই সফল হয়নি জোট।
এদিকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন সম্প্রতি নতুন মঞ্চে যাওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। ফলে বাম জোটে ভাঙন অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন জোটের নেতারা। সেখানে সার্বিক বিষয়ে আলোচনার পর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের বলা হয়, যে কোনো একটি জোটে থাকতে হবে। দুই জোটে থাকার সুযোগ নেই। পরে জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের বামজোটের সদস্য পদ স্থগিত রাখা হয়।
েএদিকে ভাঙনের বিষয়ে জোটের সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “গতকালের মিটিংয়ে জোটভুক্ত সকল দলই ছিল। জোটের বাইরে গিয়ে আরও একটি রাজনৈতিক মঞ্চ করার চেষ্টা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি নিয়ে তারা ওই মঞ্চ তৈরি করছে। আর বাম জোট শিক্ষা, খাদ্য, রাজনৈতিক, কর্মসংস্থান, আন্তর্জাতিক ইস্যুসহ অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করে।
“সেখানে দুই জায়গায় থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা বলেছে আমরা দুই জায়গায় থাকব। তবে আমরা বললাম না, দুই জায়গায় থাকার সুযোগ নেই, কারণ মঞ্চে সাম্প্রদায়িক শক্তি, মৌলবাদী গোষ্ঠী থাকতে পারে, তাদের সঙ্গে আমাদের আদর্শিক দূরত্ব থাকতে পারে। তাহলে আপনারা ঐ জোটেই থাকেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে জোটে তাদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।"
দুই দলের সদস্যপদ স্থগিতের পর বাম জোটে এখন সাত দল সক্রিয় থাকল বলেও জানান সাত্তার।