বিএনপি নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেছেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যেখানে সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সদিচ্ছাটা থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার। আমরা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ায়। এজন্য তো একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। কিন্তু তামাকমুক্ত করার জন্য রোডম্যাপ কোথায়?
মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট ২০২২-২৩-এ তামাক পণ্যে করের পর্যালোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুনুর রশীদ বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য। সে সময় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে আমরা জাতীয় সংসদে ধরেছিলাম যে প্রি-বাজেট আলোচনা করতে হবে। ভারতে এটি হয়, অন্যান্য অনেক দেশেও হয়। সেখানে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে তিনি প্রি-বাজেট আলোচনা করতেন। সেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের অর্থনীতিবিদ, মাননীয় সংসদ সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করতেন দীর্ঘ সময় ধরে। আমরা বিভিন্ন ধরনের যে প্রস্তাবগুলো দিতাম তার মধ্যে যেগুলো গ্রহণ করা সম্ভব তা গ্রহণ করতেন। কিন্তু এটা এখন আর নাই।
তিনি বলেন, আপনারা বলছেন যে কর বৃদ্ধি করলে তামাক ব্যবহার কমে আসবে। আপনারা লক্ষ্য করবেন ২০০৩-২০০৪ সালের দিকে বিএনপি সরকারের সময় সর্বপ্রথম পাবলিক প্লেসে ধূমপানের যে আইনটি করা হয়েছিল ৫০ টাকা জরিমানা, সেটির সুফল আমরা পেয়েছিলাম। তখন আমরা বাসে ট্রেনে লঞ্চে যত্রতত্র যেখানে সেখানে যে কেউ ধূমপান করতো। এতে খুব বিব্রতকর অবস্থাও তৈরি হতো। এটা কিন্তু অনেক কমেছে। কিন্তু এখন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, তাদের অফিসে ধূমপান করছে। রমজান মাসেও আমি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে দেখেছি ধূমপান করতে। এই জায়গাগুলো কিন্তু আমাদের ধূমপানরোধকল্পে সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। শুধু করের দিকে না দেখে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা শুধু করের দৃষ্টিটা দেখছেন। কিন্তু আসলে মাদক বা তামাক, এটাতো নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটার জন্য আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জায়গা থেকে যে ধরনের প্রচার-প্রচারণা দরকার বাংলাদেশের এত গণমাধ্যম রয়েছে কতটুকু আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি।
তামাকের উপর কর বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীকে সংসদ সদস্যদের অবহিত করার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীকে মাননীয় সংসদ সদস্যরা যে অবহিত করে রেখেছেন, এর জন্য এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোকদেরও ডাকা দরকার। আমরা ১০০ জন সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রীকে লিখিত চিঠি দিলাম। বাজেটে তার বাস্তবায়নটা কোথায়? প্রতিমাসে শত শত মাদকের মামলা হচ্ছে। সারা বাংলাদেশে লক্ষাধিক মামলা বর্তমানে রয়েছে। এই মামলাগুলো ত্রুটিপূর্ণ। যে কারণে যারা মাদকের কারবার করছিলেন, মাদক সেবন করছে, তারা খুব সহজেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এই দুর্বলতার জায়গাগুলোতে আমাদের নজর দিতে হবে।
আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
বিএনপি নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেছেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যেখানে সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সদিচ্ছাটা থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার। আমরা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ায়। এজন্য তো একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। কিন্তু তামাকমুক্ত করার জন্য রোডম্যাপ কোথায়?
মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট ২০২২-২৩-এ তামাক পণ্যে করের পর্যালোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুনুর রশীদ বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য। সে সময় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে আমরা জাতীয় সংসদে ধরেছিলাম যে প্রি-বাজেট আলোচনা করতে হবে। ভারতে এটি হয়, অন্যান্য অনেক দেশেও হয়। সেখানে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে তিনি প্রি-বাজেট আলোচনা করতেন। সেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের অর্থনীতিবিদ, মাননীয় সংসদ সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করতেন দীর্ঘ সময় ধরে। আমরা বিভিন্ন ধরনের যে প্রস্তাবগুলো দিতাম তার মধ্যে যেগুলো গ্রহণ করা সম্ভব তা গ্রহণ করতেন। কিন্তু এটা এখন আর নাই।
তিনি বলেন, আপনারা বলছেন যে কর বৃদ্ধি করলে তামাক ব্যবহার কমে আসবে। আপনারা লক্ষ্য করবেন ২০০৩-২০০৪ সালের দিকে বিএনপি সরকারের সময় সর্বপ্রথম পাবলিক প্লেসে ধূমপানের যে আইনটি করা হয়েছিল ৫০ টাকা জরিমানা, সেটির সুফল আমরা পেয়েছিলাম। তখন আমরা বাসে ট্রেনে লঞ্চে যত্রতত্র যেখানে সেখানে যে কেউ ধূমপান করতো। এতে খুব বিব্রতকর অবস্থাও তৈরি হতো। এটা কিন্তু অনেক কমেছে। কিন্তু এখন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, তাদের অফিসে ধূমপান করছে। রমজান মাসেও আমি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে দেখেছি ধূমপান করতে। এই জায়গাগুলো কিন্তু আমাদের ধূমপানরোধকল্পে সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। শুধু করের দিকে না দেখে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা শুধু করের দৃষ্টিটা দেখছেন। কিন্তু আসলে মাদক বা তামাক, এটাতো নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটার জন্য আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জায়গা থেকে যে ধরনের প্রচার-প্রচারণা দরকার বাংলাদেশের এত গণমাধ্যম রয়েছে কতটুকু আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি।
তামাকের উপর কর বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীকে সংসদ সদস্যদের অবহিত করার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীকে মাননীয় সংসদ সদস্যরা যে অবহিত করে রেখেছেন, এর জন্য এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোকদেরও ডাকা দরকার। আমরা ১০০ জন সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রীকে লিখিত চিঠি দিলাম। বাজেটে তার বাস্তবায়নটা কোথায়? প্রতিমাসে শত শত মাদকের মামলা হচ্ছে। সারা বাংলাদেশে লক্ষাধিক মামলা বর্তমানে রয়েছে। এই মামলাগুলো ত্রুটিপূর্ণ। যে কারণে যারা মাদকের কারবার করছিলেন, মাদক সেবন করছে, তারা খুব সহজেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এই দুর্বলতার জায়গাগুলোতে আমাদের নজর দিতে হবে।
আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান প্রমুখ।