জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি
জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য সরকারই দায়ী বলে মনে করে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, খাদ্য ও জ্বালানির দাম নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে সংকট, তার সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সংকটের মিল নেই। দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি এবং বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে।
বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, গুম, খুনসহ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার থাকবে বিএনপি। তবে দলটি এখনই হরতাল বা অবরোধের মতো বড় কর্মসূচিতে যাবে না।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং দলের দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। এর মধ্যে ১১ আগস্ট ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং ১২ আগস্ট দেশের সব মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর খাদ্যপণ্য নিয়ে যে বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবিলা করা যেত, যদি সরকারের সে দক্ষতা থাকত। কিন্তু তারা উন্নয়নের নামে একদিকে বড় বড় প্রকল্প নিয়েছে এবং পদে পদে সেসব প্রকল্পের ব্যয় অস্বাভাবিক বাড়িয়ে সেখান থেকে লুটপাট করেছে। নেতাদের অভিযোগ, শুধু বিদ্যুতের ‘কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ থেকেই ৭৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।
বিএনপির নেতারা সভা-সমাবেশে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তার মূলে থাকছে সরকারের দুর্নীতি। গতকাল ঢাকায় এক সমাবেশেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারসংক্রান্ত’ একটি নথি প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী গত সাত বছরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২৭০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকে হিসাব আছে ২৩৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারের। বাকি ৩০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার কোথায় গেল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা একটা বিরাট ডাকাতি, বিরাট লুটের একটা চিত্র।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি
মঙ্গলবার, ০৯ আগস্ট ২০২২
জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য সরকারই দায়ী বলে মনে করে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, খাদ্য ও জ্বালানির দাম নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে সংকট, তার সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সংকটের মিল নেই। দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি এবং বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে।
বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, গুম, খুনসহ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার থাকবে বিএনপি। তবে দলটি এখনই হরতাল বা অবরোধের মতো বড় কর্মসূচিতে যাবে না।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং দলের দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। এর মধ্যে ১১ আগস্ট ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং ১২ আগস্ট দেশের সব মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর খাদ্যপণ্য নিয়ে যে বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবিলা করা যেত, যদি সরকারের সে দক্ষতা থাকত। কিন্তু তারা উন্নয়নের নামে একদিকে বড় বড় প্রকল্প নিয়েছে এবং পদে পদে সেসব প্রকল্পের ব্যয় অস্বাভাবিক বাড়িয়ে সেখান থেকে লুটপাট করেছে। নেতাদের অভিযোগ, শুধু বিদ্যুতের ‘কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ থেকেই ৭৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।
বিএনপির নেতারা সভা-সমাবেশে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তার মূলে থাকছে সরকারের দুর্নীতি। গতকাল ঢাকায় এক সমাবেশেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচারসংক্রান্ত’ একটি নথি প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী গত সাত বছরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২৭০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকে হিসাব আছে ২৩৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারের। বাকি ৩০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার কোথায় গেল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা একটা বিরাট ডাকাতি, বিরাট লুটের একটা চিত্র।’