প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে। সমাবেশে স্কপ নেতারা বলেন, দেশে উন্নয়নের বিপরীতে অর্থনীতির নানা মারপ্যাঁচে শ্রমিক–কর্মচারীদের প্রকৃত আয় কমছে। তাঁদের জীবন মান কমতে কমতে পুষ্টিহীনতা, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার স্তরে পৌঁছে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে এ সমাবেশে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা যোগদান করেন। ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ অবাধ ট্রেড ইউনিয়নচর্চার সুযোগ, শ্রম আইন ও বিধিমালার ‘শ্রমিক নিপীড়নের’ ধারাগুলোর সংশোধন, কর্মক্ষেত্রে পঙ্গুত্ব বা জীবনহানিতে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদান, বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মজুরি, রেশন ও আপৎকালীন মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে এ সমাবেশ আহ্বান করা হয়।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্কপ নেতা আনোয়ার হোসেন, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল কাদের হাওলাদার, কামরুল আহসান, নইমুল আহসান, শামীম আরা, সাকীল আক্তার চৌধুরী, নূরুল আমিন, রাজেকুজ্জামান রতন, খলিলুর রহমান। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্কপ নেতা ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সাইফুজ্জামান বাদশা, আবদুল ওয়াহেদ, আবুল কালাম, প্রকাশ দত্ত, পুলক রঞ্জন ধর, খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ।
সমাবেশে স্কপের নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক–কর্মচারীদের সর্বশেষ মজুরি ২০১৫ সালে যখন কার্যকর হয়, তখন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ছিল প্রায় ৭৮ টাকা। এখন ডলারের বিনিময় হার ১০৬ টাকার ওপরে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং সেবার চাহিদা সৃষ্টি ও মূল্যবৃদ্ধির মাত্রা বিচার করলে টাকার মান অর্ধেকে নেমেছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রকৃত আয় কমছে অর্থনীতির নানা মারপ্যাঁচে।
স্কপ নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। যদি জাতীয় মজুরি ঘোষণা না হয়, তাহলে বুঝতে হবে, এই চেতনার বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে যে উন্নয়ন দেখানো হচ্ছে, তা শ্রমিক শ্রেণির উন্নয়ন নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে। সমাবেশে স্কপ নেতারা বলেন, দেশে উন্নয়নের বিপরীতে অর্থনীতির নানা মারপ্যাঁচে শ্রমিক–কর্মচারীদের প্রকৃত আয় কমছে। তাঁদের জীবন মান কমতে কমতে পুষ্টিহীনতা, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার স্তরে পৌঁছে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে এ সমাবেশে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা যোগদান করেন। ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ অবাধ ট্রেড ইউনিয়নচর্চার সুযোগ, শ্রম আইন ও বিধিমালার ‘শ্রমিক নিপীড়নের’ ধারাগুলোর সংশোধন, কর্মক্ষেত্রে পঙ্গুত্ব বা জীবনহানিতে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদান, বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মজুরি, রেশন ও আপৎকালীন মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে এ সমাবেশ আহ্বান করা হয়।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্কপ নেতা আনোয়ার হোসেন, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল কাদের হাওলাদার, কামরুল আহসান, নইমুল আহসান, শামীম আরা, সাকীল আক্তার চৌধুরী, নূরুল আমিন, রাজেকুজ্জামান রতন, খলিলুর রহমান। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্কপ নেতা ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সাইফুজ্জামান বাদশা, আবদুল ওয়াহেদ, আবুল কালাম, প্রকাশ দত্ত, পুলক রঞ্জন ধর, খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ।
সমাবেশে স্কপের নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক–কর্মচারীদের সর্বশেষ মজুরি ২০১৫ সালে যখন কার্যকর হয়, তখন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ছিল প্রায় ৭৮ টাকা। এখন ডলারের বিনিময় হার ১০৬ টাকার ওপরে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং সেবার চাহিদা সৃষ্টি ও মূল্যবৃদ্ধির মাত্রা বিচার করলে টাকার মান অর্ধেকে নেমেছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রকৃত আয় কমছে অর্থনীতির নানা মারপ্যাঁচে।
স্কপ নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। যদি জাতীয় মজুরি ঘোষণা না হয়, তাহলে বুঝতে হবে, এই চেতনার বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে যে উন্নয়ন দেখানো হচ্ছে, তা শ্রমিক শ্রেণির উন্নয়ন নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।