নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-দোকানপাটে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ দফায় দফায় এ হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা৷ রাজধানীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করাকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার ভুলতা এলাকায় এ হামলা চলে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীর৷৷৷
স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, শনিবার রাজধানীতে তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাত নয়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বলাইখাঁ থেকে ভুলতা পর্যন্ত একটি মশাল মিছিল করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা৷ মিছিলের খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়ে মিছিল করে৷ তাৎক্ষনিক সমাবেশও করেন তারা৷ এ সমাবেশের পরই হামলার ঘটনাগুলো ঘটে৷
বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একাধিক নেতা-কর্মীর অভিযোগ, ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, তার ভাই যুবলীগ নেতা রানা, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল হাসান, যুবলীগ নেতা আল-আমিন ও আব্দুল্লাহসহ সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা হামলায় অংশ নেয়৷ তারা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের ছয় সদস্যকে আহত করে৷ তাদের মধ্যে মাসুদুরের বাবা ও মা রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন৷ একইরাতে ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাকিল আহমেদ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি রনি হাসান, তার মামা মো. শরীফ ও ছাত্রদল কর্মী মো. আলিফের দোকান ও রেস্তোরাঁ লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের৷
ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমান বলেন, শনিবার রাজধানীতে তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাতে মশাল মিছিল বের করেন তারা৷ উপজেলার ভুলতা এলাকায় মিছিল শেষ করার কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে সরকারি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তার বাড়িঘরে হামলা চালায়৷ বাড়ির সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণেরও অভিযোগ করেন তিনি৷
হামলার সময় তার বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ বাবা, মা, কিশোরী বোন, কিশোর ভাতিজা ও বড় ভাইকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জানান মাসুদুর৷ গুরুতর আহত অবস্থায় বাবা-মা রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন৷
বাড়িঘর ভাঙচুর ছাড়াও ঘরে থাকা নগদ ৭৩ হাজার টাকা, টেলিভিশন ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্তত দেড় লাখ টাকা মূল্যের সাবান লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ এ ছাত্রদল নেতার৷ হামলার সময় ঘটনাস্থলে এক গাড়ি পুলিশও উপস্থিত ছিল বলে জানান তিনি৷
মাসুদুরের বাড়িতে হামলার পূর্বে ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাকিল আহমেদের বাড়িতে হামলা করা হয়৷ তার বাড়ির মূল গেট ভাঙতে না পেরে পাশের মুদি দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা ও বিশ বস্তা চাল লুট করে হামলাকারীরা৷ রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর দোকান ও রেস্তোরাঁ লুট হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীর৷
শাকিল বলেন, ‘রাজনীতির নামে লুটপাট চালাচ্ছে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা৷ বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট করার নাম রাজনীতি না, এগুলো ডাকাতি৷’
তবে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত না বলে দাবি করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্জাহান ভূঁইয়া৷ তিনি বলেন, ‘হামলার কোন ঘটনা শুনিনি৷ এমন কোন ঘটনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কেউ জড়িত না৷’
এদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘গত বিশ দিনে অন্তত ১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে রূপগঞ্জে৷ এসব হামলায় সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়৷ সবকিছু জানার পরও পুলিশ-প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না৷ শনিবার রাতেও পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলা-লুটপাট চলেছে বলে জেনেছি৷’
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদের মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করেও তার সংযোগ পাওয়া যায়নি৷ তবে জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( ‘গ’ সার্কেল) আবীর হোসেন বলেন, ‘গতরাতে দুইপক্ষেরই অবস্থানে কিছুটা উত্তেজনা ছিল৷ পুলিশও যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না হয় সে বিষয়ে তৎপর ছিল৷ তবে হামলার মতো কোন ঘটনা ঘটেছে বলে কেউ অভিযোগ করেনি৷ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’
রোববার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-দোকানপাটে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ দফায় দফায় এ হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা৷ রাজধানীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করাকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার ভুলতা এলাকায় এ হামলা চলে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীর৷৷৷
স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, শনিবার রাজধানীতে তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাত নয়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বলাইখাঁ থেকে ভুলতা পর্যন্ত একটি মশাল মিছিল করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা৷ মিছিলের খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়ে মিছিল করে৷ তাৎক্ষনিক সমাবেশও করেন তারা৷ এ সমাবেশের পরই হামলার ঘটনাগুলো ঘটে৷
বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একাধিক নেতা-কর্মীর অভিযোগ, ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, তার ভাই যুবলীগ নেতা রানা, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুল হাসান, যুবলীগ নেতা আল-আমিন ও আব্দুল্লাহসহ সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা হামলায় অংশ নেয়৷ তারা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের ছয় সদস্যকে আহত করে৷ তাদের মধ্যে মাসুদুরের বাবা ও মা রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন৷ একইরাতে ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাকিল আহমেদ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি রনি হাসান, তার মামা মো. শরীফ ও ছাত্রদল কর্মী মো. আলিফের দোকান ও রেস্তোরাঁ লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের৷
ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমান বলেন, শনিবার রাজধানীতে তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাতে মশাল মিছিল বের করেন তারা৷ উপজেলার ভুলতা এলাকায় মিছিল শেষ করার কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে সরকারি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তার বাড়িঘরে হামলা চালায়৷ বাড়ির সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণেরও অভিযোগ করেন তিনি৷
হামলার সময় তার বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ বাবা, মা, কিশোরী বোন, কিশোর ভাতিজা ও বড় ভাইকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জানান মাসুদুর৷ গুরুতর আহত অবস্থায় বাবা-মা রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন৷
বাড়িঘর ভাঙচুর ছাড়াও ঘরে থাকা নগদ ৭৩ হাজার টাকা, টেলিভিশন ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্তত দেড় লাখ টাকা মূল্যের সাবান লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ এ ছাত্রদল নেতার৷ হামলার সময় ঘটনাস্থলে এক গাড়ি পুলিশও উপস্থিত ছিল বলে জানান তিনি৷
মাসুদুরের বাড়িতে হামলার পূর্বে ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাকিল আহমেদের বাড়িতে হামলা করা হয়৷ তার বাড়ির মূল গেট ভাঙতে না পেরে পাশের মুদি দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা ও বিশ বস্তা চাল লুট করে হামলাকারীরা৷ রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর দোকান ও রেস্তোরাঁ লুট হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীর৷
শাকিল বলেন, ‘রাজনীতির নামে লুটপাট চালাচ্ছে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা৷ বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট করার নাম রাজনীতি না, এগুলো ডাকাতি৷’
তবে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত না বলে দাবি করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্জাহান ভূঁইয়া৷ তিনি বলেন, ‘হামলার কোন ঘটনা শুনিনি৷ এমন কোন ঘটনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কেউ জড়িত না৷’
এদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘গত বিশ দিনে অন্তত ১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে রূপগঞ্জে৷ এসব হামলায় সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়৷ সবকিছু জানার পরও পুলিশ-প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না৷ শনিবার রাতেও পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলা-লুটপাট চলেছে বলে জেনেছি৷’
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদের মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করেও তার সংযোগ পাওয়া যায়নি৷ তবে জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( ‘গ’ সার্কেল) আবীর হোসেন বলেন, ‘গতরাতে দুইপক্ষেরই অবস্থানে কিছুটা উত্তেজনা ছিল৷ পুলিশও যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না হয় সে বিষয়ে তৎপর ছিল৷ তবে হামলার মতো কোন ঘটনা ঘটেছে বলে কেউ অভিযোগ করেনি৷ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’