alt

রাজনীতি

নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বিএনপি : ফখরুল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অতীতে নয়াপল্টনে বিএনপি ও ২০ দলের সমাবেশ হয়েছে। যেসব সমাবেশে খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করেছেন। অতীতের কোন সমাবেশেই বিশৃঙ্খলা হয়নি। ১০ ডিসেম্বরও বিএনপি নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায়। তাই সরকারের কাছে সার্বিকভাবে বিএনপিকে সমাবেশের ব্যবস্থা করে দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গায়েবি মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সরকার ভীত হয়ে সমাবেশ বন্ধ করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব জানান, গত ৭ দিনে ১৬৯টি মামলা দিয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬ হাজার ৭২৩ জনকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আবারও গত নির্বাচনের আগের মতো শুরু করেছে সরকার। এভাবে স্তব্ধ করা যাবে না, মানুষ জেগে উঠেছে। সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পারছে না, তাই একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এক মাস আগেই নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি। এটা বিভাগীয় সমাবেশ, মহাসমাবেশ নয়। সেদিন (১০ ডিসেম্বর) শনিবার, তাই যানবাহনের সমস্যাও নেই। এখন নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব সরকারের। ব্যাংকগুলো লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সবক্ষেত্রে তারা অনাচার করে দেশ শেষ করে দিচ্ছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ সফল করা একটা চ্যালেঞ্জ, সেই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হতে হবে। সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দয়া করে সংঘাতের পথে যাবেন না। সাজিয়ে আর মামলা দেবেন না। দেশে আজ চরম অরাজকতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায়? দেশের টাকা বাইরে পাচার হয়ে গেছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকার গুম, খুন আর নির্যাতন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। মানুষ এখন জেগে উঠেছে। বিএনপির এই আন্দোলন এখন আর শুধু দলীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই। এটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে সর্বাত্মক আন্দোলন করে এই সরকারকে বিদায় করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। ঢাকার সমাবেশ বানচালের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জনস্রোতে সরকারের পতন হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য-সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

ছবি

দুদকের আবেদনে লতিফ বিশ্বাস ও পরিবারের বিদেশযাত্রা স্থগিত

ছবি

‘সংস্কার ছাড়া নতুন বাংলাদেশ আসবে না’ — বরগুনায় এনসিপির পথসভায় আহ্বায়ক

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

জাতীয় পার্টির বিভক্তির জন্য ক্ষমতাসীনদের দায় দেখছেন কিছু নেতা

ছবি

‘গুপ্ত সংগঠনের মব’ এর বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ

ছবি

‘তুমি টানতেছ কেন?’—পুলিশকে ধমক সাবেক মন্ত্রী কামরুলের

ছবি

সোহাগ হত্যা: আসামিদের পক্ষে লড়বেন না বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা

ছবি

জয়-পুতুলের দান-অনুদান সংক্রান্ত নথি চেয়ে এনবিআরকে দুদকের চিঠি

ছবি

সোহাগ হত্যাকে ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের

ছবি

হাতিরঝিলে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ছবি

জরুরি অবস্থার অপব্যবহার ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট আইন চায় এনসিপি

অপপ্রচারের জবাব দিতে তরুণদের সাইবার যুদ্ধে নামতে হবে’

ছবি

ইসি পুনর্গঠন ও শাপলা প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নিলো এনসিপি

ছবি

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর বিএনপি কর্মীদের হামলা চেষ্টা, গাড়ি ভাঙচুর

ছবি

ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল

ছবি

‘৯ লাখের শেয়ার লেনদেন, দিয়েছেন ২৫ হাজার’ — খাগড়াছড়িতে এনসিপি নেত্রীকে অভিযুক্ত করলেন সহকর্মী

ছবি

‘গণতান্ত্রিক অধিকারের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি’ — সজাগ থাকার আহ্বান তারেকের

ছবি

‘অন্তর্বর্তী সরকার অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না?’ – প্রশ্ন তারেক রহমানের

ছবি

সহিংসতা বন্ধ না করলে আওয়ামী লীগের পরিণতি ভোগ করবে বিএনপি’ — হুঁশিয়ারি যুবশক্তির

ছবি

পরিকল্পিত প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তায় দেশে অরাজকতা, নির্বাচন বিলম্বের সুযোগ তৈরি করছে : যুবদল সভাপতি

ছবি

সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপির কড়া প্রতিক্রিয়া, জড়িতদের শাস্তির দাবি

ছবি

‘নৃশংসতার রাজনীতি চলতে পারে না’ — সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে দুই দলের বিবৃতি

ছবি

জাতিসংঘ কার্যালয়কে ‘সার্বভৌমত্বের হুমকি’ আখ্যা দিয়ে তিন দাবি হেফাজতে ইসলামের

ছবি

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বললেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল

ছবি

“পাগলও বোঝে কারা ক্ষমতায় যাবে,” প্রতিবাদ সভায় দুদু

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক, জরুরি অবস্থা ও বিচারপতি নিয়োগে আংশিক ঐকমত্য,আলোচনা চল‌বে : আলী রীয়াজ

ছবি

বিএনপি চায় না ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হোক: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

তরুণ ভোটার, সীমানা, পোস্টাল ব্যালট ও আইন সংশোধনে নানা প্রস্তাব ইসির

ছবি

“বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল?” ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যাচ্ছিলেন সালাহউদ্দিন, অনুরোধে ফিরে আসেন

অনলাইন নিবন্ধনে প্রবাসীদের ভোট, সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে আর ইভিএম নয়

ছবি

ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার, সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের

ছবি

শেখ হাসিনার গুলির নির্দেশের অডিও নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনকে একপেশে বললেন জয়

ছবি

বড়লেখায় জামায়াত নেতার ‘পাকিস্তান খ্যাত’ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ছাত্রদল, আইনগত ব্যবস্থার দাবি

ছবি

আইনশৃঙ্খলা থেকে পর্যবেক্ষক পর্যন্ত দায়িত্বে চার নির্বাচন কমিশনার

tab

রাজনীতি

নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বিএনপি : ফখরুল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অতীতে নয়াপল্টনে বিএনপি ও ২০ দলের সমাবেশ হয়েছে। যেসব সমাবেশে খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করেছেন। অতীতের কোন সমাবেশেই বিশৃঙ্খলা হয়নি। ১০ ডিসেম্বরও বিএনপি নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায়। তাই সরকারের কাছে সার্বিকভাবে বিএনপিকে সমাবেশের ব্যবস্থা করে দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গায়েবি মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সরকার ভীত হয়ে সমাবেশ বন্ধ করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব জানান, গত ৭ দিনে ১৬৯টি মামলা দিয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬ হাজার ৭২৩ জনকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আবারও গত নির্বাচনের আগের মতো শুরু করেছে সরকার। এভাবে স্তব্ধ করা যাবে না, মানুষ জেগে উঠেছে। সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পারছে না, তাই একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এক মাস আগেই নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি। এটা বিভাগীয় সমাবেশ, মহাসমাবেশ নয়। সেদিন (১০ ডিসেম্বর) শনিবার, তাই যানবাহনের সমস্যাও নেই। এখন নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব সরকারের। ব্যাংকগুলো লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সবক্ষেত্রে তারা অনাচার করে দেশ শেষ করে দিচ্ছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ সফল করা একটা চ্যালেঞ্জ, সেই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হতে হবে। সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দয়া করে সংঘাতের পথে যাবেন না। সাজিয়ে আর মামলা দেবেন না। দেশে আজ চরম অরাজকতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায়? দেশের টাকা বাইরে পাচার হয়ে গেছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকার গুম, খুন আর নির্যাতন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। মানুষ এখন জেগে উঠেছে। বিএনপির এই আন্দোলন এখন আর শুধু দলীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই। এটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে সর্বাত্মক আন্দোলন করে এই সরকারকে বিদায় করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। ঢাকার সমাবেশ বানচালের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জনস্রোতে সরকারের পতন হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য-সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

back to top