জাতীয় পার্টির সকল পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া দলের সাবেক মহাসচিব সংসদে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও রংপুর ১ আসনের সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কাছে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাকে মাফ করে দেবার আহবান জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধা ৬ টার দিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ও দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কার্যালয়ে তার সাথে দেখা করে ক্ষমা চান। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া মসিউর রহমান রাঙ্গা। তবে এ ব্যাপারে জিএম কাদের তাকে মাফ করেছেন কিনা তা উপস্থিত নেতারা সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।
এ ব্যাপারে মসিউর রহমান রাঙ্গার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে বলেন শুক্রবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলছিলো সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ জাতীয় পার্টির অধিকাংশ সাংসদরা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। সংসদের অধিবেশন মাগরেবের নামাজের জন্য মুলতবী হলে তিনি কাউকে না জানিয়েই সরাসরি বিরোদী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের কার্যালয়ে যান। এ সময় তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ শেরিফা কাদের জাপার সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ , কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা , ফকরুল ইমাম , ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী সহ বেশ কয়েকজন এমপি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আকস্মিক ভাবে রাঙ্গা সেখানে গিয়ে জিএম কাদেরের কাছে বলেন আমার কোন কথায় যদি আপনি কষ্ট পেয়ে থাকেন আমি কোন দুঃখ দিয়ে থাকি তাহলে আপনি সেসব ভুলে যান ফরগিভমি। এ সময় রাঙ্গা আরো বলেন আমি জিএম কাদেরকে কোন গালাগাল দেইনি তার পরেও দেখলাম বিষয়টা নিয়ে জল অনেক ঘোলা হয়েছে তা ছাড়া তাকে আমি মামা বলে সম্বোধন করি আর এমনিতেই তিনি আমার ছোট ভাই মোস্তাফিজার রহমানের আপন মামা শশুড়। আমাদের মুরব্বী এসব ভেবে তার কাছে গিয়ে ফরগিভ বলেছি। তিনি বলেন এ সময় আমাকে কফি পান করানো হয়েছে। রাঙ্গা বলেন আমি মাফ চাওয়ার প্রতি উত্তরে জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদের অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন তারা দুজনই বলেন আমরা মনে কিছু করিনি।
এ ব্যাপারে সেখানে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা এ প্রতিনিধিকে বলেন এ সময় উপস্থিত জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা একে অপরের মুৃখ চাওয়া চায়ি করেন। তবে কেউই কোন মন্তব্য করেননি।
তবে এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি রাঙ্গাকে বলেছেন মৃধা এবং আপনি যে মামলা করেছেন সেটা প্রত্যাহার করে নেননা কেন? এরে উত্তরে রাঙ্গা বলেন আমার মামলায় তো আদালত কোন নিষেধাজ্ঞা দেননি। মৃধার মামলায় দিয়েছে। আমরা সকলে মিলে বললে তিনি মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। তবে তার বিরুদ্ধে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার কথাও বলতে পারেন বলে রাঙ্গা বলেছেন বলে দলের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে রওশন এরশাদ পন্থি বলে পরিচিত রাঙ্গাকে রওশন এরশাদ বলেছেন জিএম কাদের সাথে দেখা করে সরি বলতে। তবে এ ব্যাপারে রাঙ্গাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি মন্তব্য করেননি।
এদিকে দলের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে রাঙ্গা জিএম কাদেরকে নিয়ে আপটত্তিকর মন্তব্য করায় দলের প্রেসিডিয়ামের সভা ও সংসদীয় সভায় সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দলের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যেহেতু আদালতের নির্দ্দেশে তিনি দলের কোন সভা করছেননা অংশ নিচ্ছেনন া ফলে আদৌ রাঙ্গা বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার কবে নাগাদ হবে সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।
এদিকে দলের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে সরকারের একটি প্রভাবশালী মহল রাঙ্গাকে জিএম কাদেরের সাথে আপোষ করে নেবার পরামর্শ দিয়েছেন। সেখান থেকে গ্রীন সিগনাল পেয়ে রাঙ্গা জিএম কাদেরের সাথে দেখা করে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন এতে কিছুটা হলেও বরফ গলতে পারে বলে দলের নেতারা মনে করেন।
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
জাতীয় পার্টির সকল পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া দলের সাবেক মহাসচিব সংসদে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও রংপুর ১ আসনের সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কাছে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাকে মাফ করে দেবার আহবান জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধা ৬ টার দিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ও দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কার্যালয়ে তার সাথে দেখা করে ক্ষমা চান। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া মসিউর রহমান রাঙ্গা। তবে এ ব্যাপারে জিএম কাদের তাকে মাফ করেছেন কিনা তা উপস্থিত নেতারা সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।
এ ব্যাপারে মসিউর রহমান রাঙ্গার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে বলেন শুক্রবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলছিলো সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ জাতীয় পার্টির অধিকাংশ সাংসদরা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। সংসদের অধিবেশন মাগরেবের নামাজের জন্য মুলতবী হলে তিনি কাউকে না জানিয়েই সরাসরি বিরোদী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের কার্যালয়ে যান। এ সময় তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ শেরিফা কাদের জাপার সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ , কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা , ফকরুল ইমাম , ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী সহ বেশ কয়েকজন এমপি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আকস্মিক ভাবে রাঙ্গা সেখানে গিয়ে জিএম কাদেরের কাছে বলেন আমার কোন কথায় যদি আপনি কষ্ট পেয়ে থাকেন আমি কোন দুঃখ দিয়ে থাকি তাহলে আপনি সেসব ভুলে যান ফরগিভমি। এ সময় রাঙ্গা আরো বলেন আমি জিএম কাদেরকে কোন গালাগাল দেইনি তার পরেও দেখলাম বিষয়টা নিয়ে জল অনেক ঘোলা হয়েছে তা ছাড়া তাকে আমি মামা বলে সম্বোধন করি আর এমনিতেই তিনি আমার ছোট ভাই মোস্তাফিজার রহমানের আপন মামা শশুড়। আমাদের মুরব্বী এসব ভেবে তার কাছে গিয়ে ফরগিভ বলেছি। তিনি বলেন এ সময় আমাকে কফি পান করানো হয়েছে। রাঙ্গা বলেন আমি মাফ চাওয়ার প্রতি উত্তরে জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদের অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন তারা দুজনই বলেন আমরা মনে কিছু করিনি।
এ ব্যাপারে সেখানে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা এ প্রতিনিধিকে বলেন এ সময় উপস্থিত জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা একে অপরের মুৃখ চাওয়া চায়ি করেন। তবে কেউই কোন মন্তব্য করেননি।
তবে এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি রাঙ্গাকে বলেছেন মৃধা এবং আপনি যে মামলা করেছেন সেটা প্রত্যাহার করে নেননা কেন? এরে উত্তরে রাঙ্গা বলেন আমার মামলায় তো আদালত কোন নিষেধাজ্ঞা দেননি। মৃধার মামলায় দিয়েছে। আমরা সকলে মিলে বললে তিনি মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। তবে তার বিরুদ্ধে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার কথাও বলতে পারেন বলে রাঙ্গা বলেছেন বলে দলের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে রওশন এরশাদ পন্থি বলে পরিচিত রাঙ্গাকে রওশন এরশাদ বলেছেন জিএম কাদের সাথে দেখা করে সরি বলতে। তবে এ ব্যাপারে রাঙ্গাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি মন্তব্য করেননি।
এদিকে দলের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে রাঙ্গা জিএম কাদেরকে নিয়ে আপটত্তিকর মন্তব্য করায় দলের প্রেসিডিয়ামের সভা ও সংসদীয় সভায় সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দলের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যেহেতু আদালতের নির্দ্দেশে তিনি দলের কোন সভা করছেননা অংশ নিচ্ছেনন া ফলে আদৌ রাঙ্গা বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার কবে নাগাদ হবে সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।
এদিকে দলের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে সরকারের একটি প্রভাবশালী মহল রাঙ্গাকে জিএম কাদেরের সাথে আপোষ করে নেবার পরামর্শ দিয়েছেন। সেখান থেকে গ্রীন সিগনাল পেয়ে রাঙ্গা জিএম কাদেরের সাথে দেখা করে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন এতে কিছুটা হলেও বরফ গলতে পারে বলে দলের নেতারা মনে করেন।