সার্কিট হাউজ মাঠে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামীকাল শনিবার ময়মনসিংহ সফরে আসছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ সিনা। নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নিজ নিজ অবস্থানকে জানান দিতে নেতারা ব্যানার ফেস্টুন বিল বোর্ড আর অসংখ্য তোরণে ছেয়ে ফেলেছে নগরীর অলি গলি ও রাজপথ। সংস্কার হয়েছে সড়ক ও উল্লেখযোগ্য স্থাপনা। আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে উঠেছে নগরী। দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচারনার জন্যে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় দফায় দফায় সভা সমাবেশ আর মিছিলে চলছে প্রচারণা।
স্থানীয় নেতারা আশা করছেন জনসভায় ১০ থেকে ১৫ লাখ লোকের সমাগম হবে। সে ভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। নতুন উন্নয়নের আশায় সাধারণ মানুষের মাঝেও বইছে আনন্দ। দলীয় ও প্রশাসনিকভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিঙহ বিভাগের অন্তত ৭০ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও ময়মনসিংহের বিভিন্ন সামাজিক ও নাগরিক সংগঠন ময়মনসিংহের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর শিক্ষা ও সংস্কৃতির নগরী ময়মনসিংহ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এটি বিভাগীয় সমাবেশ। এই সমাবেশে ১৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটিয়ে সমাবেশকে সার্থক করে তুলবে। এমনটিই আশা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে উচ্ছাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ময়মনসিংহ বিভাগ জুড়ে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতে আরো নতুন প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়ন উপহার দিবেন প্রধানমন্ত্রী । ময়মনসিংহের উন্নয়নের শরীক দল ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ সদর আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্টপোষক, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নিদের্শে সমাবেশকে সফল করতে জাতীয় পার্টি কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে ময়মনসিংহবাসীর প্রত্যাশা পূরণে আশাবাদ ব্যক্ত করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, আমাদের নেত্রীর আগমন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। দলীয় কর্মীরা উজ্জীবিত। নেত্রী ময়মনসিংহ বিভাগের সামগ্রীক উন্নয়ন ত্বরান্বীত করতে এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করবেন বলে আশা করছি। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, আমাদে নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি এই মহাসমাবেশে আমাদের প্রত্যাশা পূরণে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করবেন।
ময়মনসিংহ জেলার আওয়ামী লীগের নেতা, ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলা সংসদ সদস্য , গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেছেন, আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর এই বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নৌকার বিজয় ত্বরান্বিত হবে এবং আবারও এ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ময়মনসিংহ তথা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ময়মনসিংহে এসেছিলেন। সেসময় তিনি ১৯৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
সার্কিট হাউজ মাঠে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন
শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামীকাল শনিবার ময়মনসিংহ সফরে আসছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ সিনা। নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নিজ নিজ অবস্থানকে জানান দিতে নেতারা ব্যানার ফেস্টুন বিল বোর্ড আর অসংখ্য তোরণে ছেয়ে ফেলেছে নগরীর অলি গলি ও রাজপথ। সংস্কার হয়েছে সড়ক ও উল্লেখযোগ্য স্থাপনা। আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে উঠেছে নগরী। দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচারনার জন্যে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় দফায় দফায় সভা সমাবেশ আর মিছিলে চলছে প্রচারণা।
স্থানীয় নেতারা আশা করছেন জনসভায় ১০ থেকে ১৫ লাখ লোকের সমাগম হবে। সে ভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। নতুন উন্নয়নের আশায় সাধারণ মানুষের মাঝেও বইছে আনন্দ। দলীয় ও প্রশাসনিকভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিঙহ বিভাগের অন্তত ৭০ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও ময়মনসিংহের বিভিন্ন সামাজিক ও নাগরিক সংগঠন ময়মনসিংহের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর শিক্ষা ও সংস্কৃতির নগরী ময়মনসিংহ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এটি বিভাগীয় সমাবেশ। এই সমাবেশে ১৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটিয়ে সমাবেশকে সার্থক করে তুলবে। এমনটিই আশা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে উচ্ছাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ময়মনসিংহ বিভাগ জুড়ে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতে আরো নতুন প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়ন উপহার দিবেন প্রধানমন্ত্রী । ময়মনসিংহের উন্নয়নের শরীক দল ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ সদর আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্টপোষক, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নিদের্শে সমাবেশকে সফল করতে জাতীয় পার্টি কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে ময়মনসিংহবাসীর প্রত্যাশা পূরণে আশাবাদ ব্যক্ত করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, আমাদের নেত্রীর আগমন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। দলীয় কর্মীরা উজ্জীবিত। নেত্রী ময়মনসিংহ বিভাগের সামগ্রীক উন্নয়ন ত্বরান্বীত করতে এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করবেন বলে আশা করছি। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, আমাদে নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি এই মহাসমাবেশে আমাদের প্রত্যাশা পূরণে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করবেন।
ময়মনসিংহ জেলার আওয়ামী লীগের নেতা, ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলা সংসদ সদস্য , গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেছেন, আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর এই বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নৌকার বিজয় ত্বরান্বিত হবে এবং আবারও এ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ময়মনসিংহ তথা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ময়মনসিংহে এসেছিলেন। সেসময় তিনি ১৯৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।