alt

রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে সংবিধান বারবার কাটাছেঁড়া করেছে : ফখরুল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

দেশের মানুষের জন্য বাহাত্তরে যে সংবিধান রচনা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ, নিজেদের স্বার্থে সেটাকে বারবার কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে ধ্বংস করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে এ দেশের মানুষ যে সংবিধান রচনা করেছিল সেটাকে বারবার কাটাছেঁড়া করে অকার্যকর একটা সংবিধান করেছে। বাহাত্তরের সংবিধানের মূল ভিত্তি নষ্ট করে দিয়েছে। তারা যখনই সুযোগ পেয়েছে সংবিধানকে ধ্বংস করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চায় সংবিধানের অধীনে। সেই সংবিধানে কী আছে? সেখানে আছে দলীয় আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে কি এই দেশের মানুষ বিশ্বাস করে? তারা কি বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোনদিন একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হতে পারবে? কারণ দুই-দুইটা নির্বাচন এ দেশের মানুষ দেখেছে।

শুক্রবার (১০ মার্চ) সিলেট মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অর্থনীতি এমনভাবে ধ্বংস করা হয়েছে যে এটাকে টেনে তোলা কঠিন। শুধু নিজেদের স্বার্থে, দুর্নীতির স্বার্থে, চুরি করার স্বার্থে আজকে সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ফোকা (ধ্বংস) করে দিয়েছে। সরকার সব সময় বলে, তারা নাকি অনেক উন্নয়ন করেছে। এই উন্নয়ন কার জন্য? এই উন্নয়ন গুটিকয় মানুষের জন্য। ঢাকাতে তারা পাতালরেল করছে, মেট্রোরেল করছে। কত টাকা খরচ করেছে? যা খরচ হওয়ার কথা, তার তিন গুণ-চার গুণ খরচ করেছে। পদ্মা সেতু করে খুব বাহবা নেয়। সেই পদ্মা সেতুর ১০ হাজার কোটি টাকা ছিল বাজেট। এর প্রকল্প যেটা আমাদের সময়ে করা হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকার, সেটা আজকে ৩০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রকাশ্যে দিনের বেলায় চড়থাপ্পড় মেরে ১১ কোটি টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে আবার ওরাই খুঁজে পায়। তার মধ্যে ২ কোটি টাকা পাওয়া যায় না। এমন খারাপ হয়েছে, আমাদের মা-বোনদেরও নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা নেই। তারা নিরাপদ বোধ করেন না এই দেশে।’

ভারতের আদানি গোষ্ঠীর থেকে বিদ্যুৎ কেনার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা বিদ্যুৎ সেক্টরকে বেছে নিয়েছে টাকা আয় করার জন্য, চুরি করার জন্য। আদানির নাম শুনেছেন, ভারতের একটা বিশাল কোম্পানি। তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছে, সেই চুক্তিতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা আমাদের লোকসান হবে। এখানে অন্যান্য দেশ থেকে যে দামে কয়লা পাওয়া যায়, এর থেকে দ্বিগুণ দামে আমাদের কয়লা কিনতে হচ্ছে। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম দাঁড়াবে ১৬ টাকার মতো, যেটা এখন ৮ টাকা দিতে হচ্ছে। এটাও আবার দুই মাসে তিনবার দাম বেড়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুতের দাম এত বাড়ত না, যদি চুরি বন্ধ করা যেত এটা হচ্ছে বাস্তব কথা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অন্যায়, বেআইনিভাবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছিল চার বছর।’

সিলেটের সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন সারাদেশে ভয়াবহ রকমের নির্যাতন-নিপীড়নের সময় চলছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনে আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী রাজপথে প্রাণ দিয়েছেন। শত শত নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও তারা কি পেরেছে আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে? পারেনি বন্ধুরা। আজকে আরও দুর্বার গতিতে মানুষ জেগে উঠেছে। জেগে উঠেছে একটিমাত্র লক্ষ্যে, যেভাবেই হোক এই দানবীয় সরকার, যারা আমাদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে, তাদের পরাজিত করতে হবে। তাদের বিতাড়িত করতে হবে, পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বন্ধুরা এই সরকারের অপকীর্তি বলে শেষ করা যাবে না। একটা ভালো কাজও দেখাতে পারবেন না। সবচেয়ে ভয়াবহ যে কাজ তারা করেছে তারা এই বাংলাদেশের সমাজকে পুরোপুরি বিভক্ত করে ফেলেছে এবং একটা দূষিত সমাজে পরিণত করেছে। আমাদের যারা যুদ্ধ করেছিলেন, যারা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটা স্বাধীন দেশের, তারা আজকের এই সংবিধান দেখতে চাননি।’

ঢাকা ও চট্টগ্রামে সম্প্রতি তিনটি বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকজন নিহতের ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই প্রাণের কি কোন মূল্য নেই? কাদের জন্য এরা মারা যাচ্ছে? তাদের বিচার করতে হবে। সরকারের ব্যর্থতা, তাদের ডিপার্টমেন্টগুলোর ব্যর্থতা, যারা দায়িত্বে আছেন তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।’

ছবি

সরকারের রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে: গণেশ

ছবি

উন্নত দেশ গড়তে শিল্প খাতের প্রসারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে: বিএসপি চেয়ারম্যান

ছবি

টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

ছবি

রংপুরের পীরগাছা ও কাউনিয়ায় ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি

ছবি

কক্সবাজারের ৩ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহন : কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম

নারায়ণগঞ্জে বন্দর উপজেলায় ভোটের ত্রিমুখী লড়াই

ছবি

লিফলেট বিতরণ করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান রিজভীর

ছবি

উপজেলা নির্বাচন : ভোটার আনার চ্যালেঞ্জে প্রথম ধাপের ভোট বুধবার

ছবি

উপজেলা নির্বাচনে এসে আরও ৩ জন বিএনপি থেকে বহিষ্কার

ছবি

যারা দলের শৃঙ্খলা ভাঙবে তাদের শাস্তি পেতেই হবে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চেয়ে জবি ছাত্রলীগের মিছিল

ছবি

বিএনপির ভাবনায় ক্লান্ত কাদের: রিজভী

ছবি

গজারিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ

ছবি

আদালত অবমাননায় বিএনপি নেতা আলালকে হাইকোর্টে তলব

ছবি

আখাউড়ায় উপজেলা নির্বাচনে `আওয়ামী লীগের ঐকৈর প্রার্থীর’ প্রার্থীর সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন সাবেক সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান

ছবি

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের পক্ষে লিফলেট বিতরণ বিএনপির

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনো সংঘাতে নেই : কাদের

ছবি

১০ শতাংশের ওপর মূল্যস্ফীতি, বিশ্বে পতন হলেও বাংলাদেশে বিপরীত : সিপিডি

ছবি

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে এসে বহিষ্কার হলেন বিএনপির যে ৬১ জন

ছবি

বিএনপি নেতা আলালকে হাইকোর্টে তলব

ছবি

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় ভাবে অংশ না নিলেও ভোট করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের সমর্থন করবে:বিএসপি

শরণখোলা উপজেলা নির্বাচনে ৯ জনের মনোনায়ন পত্র জমা

ছবি

যারা সরকারকে চাপে রাখতে চেয়েছিল তারাই এখন চাপে: কাদের

ছবি

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক

ছবি

আমাকে উৎখাত করলে কে আসবে ক্ষমতায়

ছবি

তৃতীয় ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৫৮৮ জন

নারী শ্রমিকের মজুরী বৈষম্য দূর করার দাবি গণতন্ত্রী পার্টির

ছবি

বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা : ওবায়দুল কাদের

ছবি

আ. লীগ নেতারা ও তাদের স্বজনরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে : রিজভী

ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফের হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া

ছবি

অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

নির্বাচনে অংশ নিতে জাপার ওপর চাপ ছিল জি এম কাদের

ছবি

‘অস্তিত্ব রক্ষার’ জন্যই নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃতরা

ছবি

কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না : কাদের

tab

রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে সংবিধান বারবার কাটাছেঁড়া করেছে : ফখরুল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

দেশের মানুষের জন্য বাহাত্তরে যে সংবিধান রচনা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ, নিজেদের স্বার্থে সেটাকে বারবার কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে ধ্বংস করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে এ দেশের মানুষ যে সংবিধান রচনা করেছিল সেটাকে বারবার কাটাছেঁড়া করে অকার্যকর একটা সংবিধান করেছে। বাহাত্তরের সংবিধানের মূল ভিত্তি নষ্ট করে দিয়েছে। তারা যখনই সুযোগ পেয়েছে সংবিধানকে ধ্বংস করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চায় সংবিধানের অধীনে। সেই সংবিধানে কী আছে? সেখানে আছে দলীয় আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে কি এই দেশের মানুষ বিশ্বাস করে? তারা কি বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোনদিন একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হতে পারবে? কারণ দুই-দুইটা নির্বাচন এ দেশের মানুষ দেখেছে।

শুক্রবার (১০ মার্চ) সিলেট মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অর্থনীতি এমনভাবে ধ্বংস করা হয়েছে যে এটাকে টেনে তোলা কঠিন। শুধু নিজেদের স্বার্থে, দুর্নীতির স্বার্থে, চুরি করার স্বার্থে আজকে সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ফোকা (ধ্বংস) করে দিয়েছে। সরকার সব সময় বলে, তারা নাকি অনেক উন্নয়ন করেছে। এই উন্নয়ন কার জন্য? এই উন্নয়ন গুটিকয় মানুষের জন্য। ঢাকাতে তারা পাতালরেল করছে, মেট্রোরেল করছে। কত টাকা খরচ করেছে? যা খরচ হওয়ার কথা, তার তিন গুণ-চার গুণ খরচ করেছে। পদ্মা সেতু করে খুব বাহবা নেয়। সেই পদ্মা সেতুর ১০ হাজার কোটি টাকা ছিল বাজেট। এর প্রকল্প যেটা আমাদের সময়ে করা হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকার, সেটা আজকে ৩০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রকাশ্যে দিনের বেলায় চড়থাপ্পড় মেরে ১১ কোটি টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে আবার ওরাই খুঁজে পায়। তার মধ্যে ২ কোটি টাকা পাওয়া যায় না। এমন খারাপ হয়েছে, আমাদের মা-বোনদেরও নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা নেই। তারা নিরাপদ বোধ করেন না এই দেশে।’

ভারতের আদানি গোষ্ঠীর থেকে বিদ্যুৎ কেনার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা বিদ্যুৎ সেক্টরকে বেছে নিয়েছে টাকা আয় করার জন্য, চুরি করার জন্য। আদানির নাম শুনেছেন, ভারতের একটা বিশাল কোম্পানি। তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছে, সেই চুক্তিতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা আমাদের লোকসান হবে। এখানে অন্যান্য দেশ থেকে যে দামে কয়লা পাওয়া যায়, এর থেকে দ্বিগুণ দামে আমাদের কয়লা কিনতে হচ্ছে। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম দাঁড়াবে ১৬ টাকার মতো, যেটা এখন ৮ টাকা দিতে হচ্ছে। এটাও আবার দুই মাসে তিনবার দাম বেড়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুতের দাম এত বাড়ত না, যদি চুরি বন্ধ করা যেত এটা হচ্ছে বাস্তব কথা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অন্যায়, বেআইনিভাবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছিল চার বছর।’

সিলেটের সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন সারাদেশে ভয়াবহ রকমের নির্যাতন-নিপীড়নের সময় চলছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনে আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী রাজপথে প্রাণ দিয়েছেন। শত শত নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও তারা কি পেরেছে আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে? পারেনি বন্ধুরা। আজকে আরও দুর্বার গতিতে মানুষ জেগে উঠেছে। জেগে উঠেছে একটিমাত্র লক্ষ্যে, যেভাবেই হোক এই দানবীয় সরকার, যারা আমাদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে, তাদের পরাজিত করতে হবে। তাদের বিতাড়িত করতে হবে, পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বন্ধুরা এই সরকারের অপকীর্তি বলে শেষ করা যাবে না। একটা ভালো কাজও দেখাতে পারবেন না। সবচেয়ে ভয়াবহ যে কাজ তারা করেছে তারা এই বাংলাদেশের সমাজকে পুরোপুরি বিভক্ত করে ফেলেছে এবং একটা দূষিত সমাজে পরিণত করেছে। আমাদের যারা যুদ্ধ করেছিলেন, যারা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটা স্বাধীন দেশের, তারা আজকের এই সংবিধান দেখতে চাননি।’

ঢাকা ও চট্টগ্রামে সম্প্রতি তিনটি বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকজন নিহতের ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই প্রাণের কি কোন মূল্য নেই? কাদের জন্য এরা মারা যাচ্ছে? তাদের বিচার করতে হবে। সরকারের ব্যর্থতা, তাদের ডিপার্টমেন্টগুলোর ব্যর্থতা, যারা দায়িত্বে আছেন তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।’

back to top