বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদপড়া নিয়ে ভিডিও বার্তায় তামিম
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার কারণ ইনজুরি নয়। তামিম ইকবাল বলছেন, আসলে যা ঘটেছে তা ‘কমপ্লিটলি ডিফারেন্ট’।
একদিন আগেই ফিট না থাকার কারণেই তাকে নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছিলেন নির্বাচকরা।
তবে ভক্ত ও ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ৫ মিনিটের দিকে নিজের অফিশিয়াল পেইজ থেকে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলা এই ওপেনার।
তামিম বলেন, আমি কোন সময়, কোন মুহূর্তে কাউকে বলি নাই আমি পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এটা মিথ্যা কথা; ভুল কথা।
‘যেটা নির্বাচকদের বলেছিলাম, আমার শরীর এখন এমনই থাকবে। ব্যথা থাকবে। দল যখন নির্বাচন করবেন, এটা মাথায় রেখে করবেন,’ বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভারতে গেছে বাংলাদেশ দল। ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, খেলতে মুখিয়ে ছিলাম আবার, বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে ছিলাম।
তিনি বলেন ফিজিওর রিপোর্টে বলা হয়েছিল- তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে খেলতে পারবেন। মেডিকেল ডিপার্টমেন্টও প্রথম ম্যাচটা খেলার জন্য খুব ভালো অবস্থায় থাকবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, কোন জায়গায় বলা হয়নি পাঁচ ম্যাচ-দুই ম্যাচ, ইনজুরি, খেলতে পারব না-এত কিছু।
তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ, আমার শরীরে পেইন ছিল, যেটা অস্বীকার করছি না। মিডিয়াতে যেটা আসছে ইনজুরি, পাঁচ ম্যাচ...আমার কাছে মনে হয় না বিশ্বকাপে না যাওয়ার পেছনে এটার বড় অবদান ছিল। কারণ, আমি যেহেতু ইনজুরড হইনি এখনও, ব্যথা থাকতে পারে কিন্তু ইনজুরড হইনি এখনও, বলেন তিনি।
আরেকটি সম্ভাব্য কারণেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তামিম ইকবাল। তিনি দাবি করেছেন ‘বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন’ তাকে ফোন করে বললেন, তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা, তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলতে হবে। তুমি এক কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না, আফগানিস্তানের সঙ্গে। আমি বললাম, ভাই, এটা এখনও ১২-১৩ দিনের কথা। আমি তো এর মধ্যে ভালো কন্ডিশনে থাকব। কী কারণে খেলব না? তখন বললেন, আচ্ছা, তুমি যদি খেলোও, আমরা এমন একটা পরিকল্পনা করছি, তুমি যদি খেলোও তাহলে নিচে ব্যাট করাবো।
তামিম ভিডিও বার্তায় বলে, হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেলেছি। আমি হ্যাপি ছিলাম। হঠাৎ করে এসব কথা আমার পক্ষে নেয়া সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি। জীবনে কোন দিন তিন-চারে ব্যাটিংই করিনি।’
তিনি বলেন, আমি কথাগুলো ভালোভাবে নিইনি। উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, কথাগুলো পছন্দ হয়নি। তখন আমি বললাম, দেখেন, আপনারা একটা কাজ করেন, যদি আপনাদের এমন চিন্তাধারা থাকে, তাহলে আপনারা আমাকে পাঠায়েন না। আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না।
তামিমের এ বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কে সেই বোর্ড কর্মকর্তা।
তামিম ওই ব্যক্তির নাম না বললেও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান জালাল ইউনুস এবং টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের মধ্যে যেকোন একজনই হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেননা, এই তিনজনই জাতীয় দলের সঙ্গে সরাসরি এবং সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত।
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদপড়া নিয়ে ভিডিও বার্তায় তামিম
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার কারণ ইনজুরি নয়। তামিম ইকবাল বলছেন, আসলে যা ঘটেছে তা ‘কমপ্লিটলি ডিফারেন্ট’।
একদিন আগেই ফিট না থাকার কারণেই তাকে নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছিলেন নির্বাচকরা।
তবে ভক্ত ও ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ৫ মিনিটের দিকে নিজের অফিশিয়াল পেইজ থেকে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলা এই ওপেনার।
তামিম বলেন, আমি কোন সময়, কোন মুহূর্তে কাউকে বলি নাই আমি পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এটা মিথ্যা কথা; ভুল কথা।
‘যেটা নির্বাচকদের বলেছিলাম, আমার শরীর এখন এমনই থাকবে। ব্যথা থাকবে। দল যখন নির্বাচন করবেন, এটা মাথায় রেখে করবেন,’ বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভারতে গেছে বাংলাদেশ দল। ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, খেলতে মুখিয়ে ছিলাম আবার, বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে ছিলাম।
তিনি বলেন ফিজিওর রিপোর্টে বলা হয়েছিল- তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে খেলতে পারবেন। মেডিকেল ডিপার্টমেন্টও প্রথম ম্যাচটা খেলার জন্য খুব ভালো অবস্থায় থাকবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, কোন জায়গায় বলা হয়নি পাঁচ ম্যাচ-দুই ম্যাচ, ইনজুরি, খেলতে পারব না-এত কিছু।
তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ, আমার শরীরে পেইন ছিল, যেটা অস্বীকার করছি না। মিডিয়াতে যেটা আসছে ইনজুরি, পাঁচ ম্যাচ...আমার কাছে মনে হয় না বিশ্বকাপে না যাওয়ার পেছনে এটার বড় অবদান ছিল। কারণ, আমি যেহেতু ইনজুরড হইনি এখনও, ব্যথা থাকতে পারে কিন্তু ইনজুরড হইনি এখনও, বলেন তিনি।
আরেকটি সম্ভাব্য কারণেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তামিম ইকবাল। তিনি দাবি করেছেন ‘বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন’ তাকে ফোন করে বললেন, তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা, তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলতে হবে। তুমি এক কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না, আফগানিস্তানের সঙ্গে। আমি বললাম, ভাই, এটা এখনও ১২-১৩ দিনের কথা। আমি তো এর মধ্যে ভালো কন্ডিশনে থাকব। কী কারণে খেলব না? তখন বললেন, আচ্ছা, তুমি যদি খেলোও, আমরা এমন একটা পরিকল্পনা করছি, তুমি যদি খেলোও তাহলে নিচে ব্যাট করাবো।
তামিম ভিডিও বার্তায় বলে, হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেলেছি। আমি হ্যাপি ছিলাম। হঠাৎ করে এসব কথা আমার পক্ষে নেয়া সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি। জীবনে কোন দিন তিন-চারে ব্যাটিংই করিনি।’
তিনি বলেন, আমি কথাগুলো ভালোভাবে নিইনি। উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, কথাগুলো পছন্দ হয়নি। তখন আমি বললাম, দেখেন, আপনারা একটা কাজ করেন, যদি আপনাদের এমন চিন্তাধারা থাকে, তাহলে আপনারা আমাকে পাঠায়েন না। আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না।
তামিমের এ বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কে সেই বোর্ড কর্মকর্তা।
তামিম ওই ব্যক্তির নাম না বললেও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান জালাল ইউনুস এবং টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের মধ্যে যেকোন একজনই হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেননা, এই তিনজনই জাতীয় দলের সঙ্গে সরাসরি এবং সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত।