শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মেয়েদের ফিফা প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। সাফ শিরোপা জেতার পর প্রথম জয় সাবিনাদের। ম্যাচে তহুরা খাতুন দুটি ও আফেইদা খন্দকার একটি গোল করেন। ম্যাচের শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বাংলাদেশ। সাবিনাদের মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন সিঙ্গাপুরের ফুটবলাররা। ফিফা র্যাংকিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা দলকে আগে অচেনা মনে হলেও মাঠের লড়াইয়ে চেনা প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেন সাবিনারা।
দুই বছর পর গোলের দেখা পেলেন তহুরা খাতুন। তাই চলতি বছরে প্রথম জয়ের দেখল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। গত বছর সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডু থেকে সাফ জিতে আসার পর এ বছর পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন সাবিনারা। নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দুটিতেই ড্র (১-১ ও ০-০) করেছিল বাংলাদেশ। তবে সিরিজ নির্ধারণী টাইব্রেকারে সাবিনাদের ৪-২ গোলে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে যায় নেপাল। হাংঝু এশিয়ান গেমসে জাপানের কাছে ৮-০ ও ভিয়েতনামের কাছে ৬-১ গোলে হারলেও নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। নিয়মিত কোচ গোলাম রব্বানী চলে যাওয়ার পর সাইফুল বারীর তত্ত্বাবধানে এটিই প্রথম জয় সাবিনাদের।
চোটের কারণে কৃষ্ণা রানী সরকারের অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগের ধার নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। তবে অন্যদের দুর্দান্ত পাসিং, ড্রিবলিং আর গতির সেই সংশয় দূর হয়ে যায়। প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু বক্সে ঢুকে তহুরা খাতুন গোলকিপারকে একা পেয়েও দেরি করে ফেলেন, পরে ডিফেন্ডারদের চার্জে শটই নিতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। হতাশা কেটে যায় মিনিট দুয়েক পরই। গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ছোট কর্নার নেয়ার পর মারিয়া মান্দার কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে বক্সে লং বল বাড়ান। আফেইদা খন্দকারের হেডে বল ক্রসবারের ভেতরের দিকে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়। রেফারি যাপা আপুহামিলা গোল নিশ্চিত করেন (১-০)। দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে খুব বেশি দেরি করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ১৬ মিনিটে সাবিনার ছোট পাস ধরে একাধিক ডিফেন্ডারকে পায়ের কারিকুরিতে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মারিয়া। শটটা তিনি নিলেও গোল পেতে পারতেন। তবে মারিয়ার পাশে থাকা তহুরা দ্রুত টোকায় বল জড়িয়ে দেন জালে (২-০)। শুরুতেই ম্যাচে চালকের আসনে বসার পর বাংলাদেশ চাপ ধরে রাখে সিঙ্গাপুরের রক্ষণে। ২৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সাবিনা খাতুনের শট। ক্রসবার ঘেরে বাইরে চলে যায়। নইলে বিরতির আগে আরও একটি গোলের দেখা মিলত লাল সবুজ শিবিরে। ৬০ মিনিটে মাসুরার লং বলে পা চালিয়ে দেন তহুরা খাতুন। বল গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ায় (৩-০)। শেষ দিকে আরও বেশ কিছু গোলের সুযোগ পেলেও তা নষ্ট হয় স্বাগতিকদের। ফলে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ ৪ ডিসেম্বর একই মাঠে।
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মেয়েদের ফিফা প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। সাফ শিরোপা জেতার পর প্রথম জয় সাবিনাদের। ম্যাচে তহুরা খাতুন দুটি ও আফেইদা খন্দকার একটি গোল করেন। ম্যাচের শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বাংলাদেশ। সাবিনাদের মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন সিঙ্গাপুরের ফুটবলাররা। ফিফা র্যাংকিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা দলকে আগে অচেনা মনে হলেও মাঠের লড়াইয়ে চেনা প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেন সাবিনারা।
দুই বছর পর গোলের দেখা পেলেন তহুরা খাতুন। তাই চলতি বছরে প্রথম জয়ের দেখল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। গত বছর সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডু থেকে সাফ জিতে আসার পর এ বছর পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন সাবিনারা। নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দুটিতেই ড্র (১-১ ও ০-০) করেছিল বাংলাদেশ। তবে সিরিজ নির্ধারণী টাইব্রেকারে সাবিনাদের ৪-২ গোলে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে যায় নেপাল। হাংঝু এশিয়ান গেমসে জাপানের কাছে ৮-০ ও ভিয়েতনামের কাছে ৬-১ গোলে হারলেও নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। নিয়মিত কোচ গোলাম রব্বানী চলে যাওয়ার পর সাইফুল বারীর তত্ত্বাবধানে এটিই প্রথম জয় সাবিনাদের।
চোটের কারণে কৃষ্ণা রানী সরকারের অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগের ধার নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। তবে অন্যদের দুর্দান্ত পাসিং, ড্রিবলিং আর গতির সেই সংশয় দূর হয়ে যায়। প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু বক্সে ঢুকে তহুরা খাতুন গোলকিপারকে একা পেয়েও দেরি করে ফেলেন, পরে ডিফেন্ডারদের চার্জে শটই নিতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। হতাশা কেটে যায় মিনিট দুয়েক পরই। গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ছোট কর্নার নেয়ার পর মারিয়া মান্দার কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে বক্সে লং বল বাড়ান। আফেইদা খন্দকারের হেডে বল ক্রসবারের ভেতরের দিকে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়। রেফারি যাপা আপুহামিলা গোল নিশ্চিত করেন (১-০)। দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে খুব বেশি দেরি করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ১৬ মিনিটে সাবিনার ছোট পাস ধরে একাধিক ডিফেন্ডারকে পায়ের কারিকুরিতে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মারিয়া। শটটা তিনি নিলেও গোল পেতে পারতেন। তবে মারিয়ার পাশে থাকা তহুরা দ্রুত টোকায় বল জড়িয়ে দেন জালে (২-০)। শুরুতেই ম্যাচে চালকের আসনে বসার পর বাংলাদেশ চাপ ধরে রাখে সিঙ্গাপুরের রক্ষণে। ২৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সাবিনা খাতুনের শট। ক্রসবার ঘেরে বাইরে চলে যায়। নইলে বিরতির আগে আরও একটি গোলের দেখা মিলত লাল সবুজ শিবিরে। ৬০ মিনিটে মাসুরার লং বলে পা চালিয়ে দেন তহুরা খাতুন। বল গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ায় (৩-০)। শেষ দিকে আরও বেশ কিছু গোলের সুযোগ পেলেও তা নষ্ট হয় স্বাগতিকদের। ফলে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ ৪ ডিসেম্বর একই মাঠে।