নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতাতে ওই টেস্টে সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তিনি বেশি নজর কাড়েন মাঠে চনমনে উপস্থিতিতে। বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ডিং সাজানো সব কিছুতে ছিল তীক্ষè ক্রিকেটীয় চিন্তার ছাপ।
বুধবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে এই সিরিজে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পাওয়া শান্তকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জানান বাংলাদেশের কোচ, ‘অধিনায়কত্ব ও নেতৃত্ব দুটো আলাদা জিনিস। অধিনায়কত্ব দুর্দান্ত ছিল। কৌশলগতভাবে সে পুরো মার্কস পাবে। সে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় এগিয়ে ছিলো। ফিল্ড প্লেসিং ছিলো খুব ভালো। মাঝেমাঝে অপ্রথাগত, কিন্তু খুব কার্যকর।’
মাঠের বাইরের নেতৃত্বের জায়গায় শান্ত পুরো মার্কস পাচ্ছেন। সতীর্থদের কাছ থেকে সম্মান আদায় করে নিয়েছেন। আগামীতে স্থায়ী নেতৃত্ব পাওয়ার দৌড়ে শান্ত শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করেন হাথুরুসিংহে, ‘নেতৃত্বও দুর্দান্ত ছিল। সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। সে সম্মান আদায় করে নিয়েছে, মান তৈরি করেছে। আমার মনে হয় তার আগামী অনেক লম্বা। অধিনায়কত্বের বিষয়টি বোর্ডের। তারা এই ব্যাপারে ঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। অবশ্যই সে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।’
দলে সাকিব আল হাসানের ছায়ায় থাকা সত্বেও নিজেকে উজার করে দেওয়া তাইজুলের প্রশংসা করেছেন হাথুরুসিংহে।
তিনি বলেন, ‘মানসিকভাবে শক্তিশালী একজন মানুষ তাইজুল। বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের ছায়ায় খেলেন বলে তার উপর আলো পড়ে না। বেশিরভাগ ম্যাচেই তাকে পাশর্^ চরিত্র হিসেবে খেলতে হয়েছে। তার রেকর্ড অসাধারণ। প্রায় ২শ উইকেট আছে তার। খুব ধারাবাহিক সে। এই টেস্টে দারুণ পরিপক্কতা দেখিয়েছে। টেকনিক্যালই রঙ্গনা হেরাথ তাকে নিয়ে বেশ ভাল কাজ করছেন। আমি মনে করি লম্বা সময় বাংলাদেশকে সেবা দিতে পারবে তাইজুল।’
সিলেটে কন্ডিশন বুঝে একাদশের সমন্বয় ঠিক করে সাফল্য আনতে পেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে একই তরিকায় হেঁটে ফল মিলবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার মতে এখানে কয়েক সেশন খেলার আগে বোঝাই যায় না উইকেটের আচরণ কেমন হতে পারে।
হোম অব ক্রিকেট ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিনারদের স্বর্গ। এখানে টেস্টে পেসার ছাড়াও খেলার একাধিক নজির আছে বাংলাদেশের। অতি টার্নিং, মন্থর আর উঁচু-নিচু বাউন্সের কারণে ব্যাটারদের কাজ এখানে বরাবরই বেশ কঠিন।
চোট সমস্যা না থাকলে সিলেট টেস্টের একাদশই মিরপুরে দেখার সম্ভাবনা প্রবল। বাংলাদেশের কোচের মতে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার ওপর বিবেচনা করে যেকোনো দলই এই পথে হাঁটবে, ‘দলটা কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। সঙ্গে প্রতিপক্ষের দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে ট্যাকটিকালি বিষয়টা সামলানো হয়। শেষ ম্যাচটা আমরা এখানে খেলেছি আফগানিস্তানের বিপক্ষে, সেটা ভিন্ন পিচ ছিল... তখন এখানে অনেকদিন ক্রিকেট হয়নি, পিচটা তৈরি করার সুযোগ ছিল...তখন আমরা ৩ পেস বোলার নিয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যদি আপনার মনে থাকে, এর আগের ম্যাচটা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, যেখানে উইকেটটা ভিন্ন ছিল। তবে বিষয়টা হচ্ছে, আমাদের এখন সব ধরনের স্কিলসেট আছে। সেটা এখন যেমন ইচ্ছা আমরা ব্যবহার করতে পারি। সেটা এখন দলের জন্য বেশ ভালো।’
ইনজুরিতে নাঈম হাসান
সিলেট টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা অফ স্পিনার নাঈম হাসান ডানহাতের তর্জনি আঙুলে চোট পেয়েছেন। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩ উইকেট পান নাঈম। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ জানান, ‘সে জাতীয় লীগের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিল। সে আত্মবিশ্বাসী এখন, ভালো ছন্দে বোলিংও করছে। ম্যাচে আমরা তা দেখেছি। সে তার ভূমিকা নিখুঁতভাবে পালন করেছে। বিভিন্ন সময়ে সে রক্ষণাত্মক বোলার ছিল, কখনো কখনো সে আক্রমণও করেছে। সে ব্যাটারদের মনে অনেক সন্দেহ তৈরি করেছিল। কেন উইলিয়ামসনকে সে ভুগিয়েছে, তার ফলটাও পেয়ে যাচ্ছিল। তাকে নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট।’
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতাতে ওই টেস্টে সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তিনি বেশি নজর কাড়েন মাঠে চনমনে উপস্থিতিতে। বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ডিং সাজানো সব কিছুতে ছিল তীক্ষè ক্রিকেটীয় চিন্তার ছাপ।
বুধবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে এই সিরিজে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পাওয়া শান্তকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জানান বাংলাদেশের কোচ, ‘অধিনায়কত্ব ও নেতৃত্ব দুটো আলাদা জিনিস। অধিনায়কত্ব দুর্দান্ত ছিল। কৌশলগতভাবে সে পুরো মার্কস পাবে। সে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় এগিয়ে ছিলো। ফিল্ড প্লেসিং ছিলো খুব ভালো। মাঝেমাঝে অপ্রথাগত, কিন্তু খুব কার্যকর।’
মাঠের বাইরের নেতৃত্বের জায়গায় শান্ত পুরো মার্কস পাচ্ছেন। সতীর্থদের কাছ থেকে সম্মান আদায় করে নিয়েছেন। আগামীতে স্থায়ী নেতৃত্ব পাওয়ার দৌড়ে শান্ত শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করেন হাথুরুসিংহে, ‘নেতৃত্বও দুর্দান্ত ছিল। সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। সে সম্মান আদায় করে নিয়েছে, মান তৈরি করেছে। আমার মনে হয় তার আগামী অনেক লম্বা। অধিনায়কত্বের বিষয়টি বোর্ডের। তারা এই ব্যাপারে ঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। অবশ্যই সে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।’
দলে সাকিব আল হাসানের ছায়ায় থাকা সত্বেও নিজেকে উজার করে দেওয়া তাইজুলের প্রশংসা করেছেন হাথুরুসিংহে।
তিনি বলেন, ‘মানসিকভাবে শক্তিশালী একজন মানুষ তাইজুল। বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের ছায়ায় খেলেন বলে তার উপর আলো পড়ে না। বেশিরভাগ ম্যাচেই তাকে পাশর্^ চরিত্র হিসেবে খেলতে হয়েছে। তার রেকর্ড অসাধারণ। প্রায় ২শ উইকেট আছে তার। খুব ধারাবাহিক সে। এই টেস্টে দারুণ পরিপক্কতা দেখিয়েছে। টেকনিক্যালই রঙ্গনা হেরাথ তাকে নিয়ে বেশ ভাল কাজ করছেন। আমি মনে করি লম্বা সময় বাংলাদেশকে সেবা দিতে পারবে তাইজুল।’
সিলেটে কন্ডিশন বুঝে একাদশের সমন্বয় ঠিক করে সাফল্য আনতে পেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে একই তরিকায় হেঁটে ফল মিলবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার মতে এখানে কয়েক সেশন খেলার আগে বোঝাই যায় না উইকেটের আচরণ কেমন হতে পারে।
হোম অব ক্রিকেট ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিনারদের স্বর্গ। এখানে টেস্টে পেসার ছাড়াও খেলার একাধিক নজির আছে বাংলাদেশের। অতি টার্নিং, মন্থর আর উঁচু-নিচু বাউন্সের কারণে ব্যাটারদের কাজ এখানে বরাবরই বেশ কঠিন।
চোট সমস্যা না থাকলে সিলেট টেস্টের একাদশই মিরপুরে দেখার সম্ভাবনা প্রবল। বাংলাদেশের কোচের মতে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার ওপর বিবেচনা করে যেকোনো দলই এই পথে হাঁটবে, ‘দলটা কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। সঙ্গে প্রতিপক্ষের দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে ট্যাকটিকালি বিষয়টা সামলানো হয়। শেষ ম্যাচটা আমরা এখানে খেলেছি আফগানিস্তানের বিপক্ষে, সেটা ভিন্ন পিচ ছিল... তখন এখানে অনেকদিন ক্রিকেট হয়নি, পিচটা তৈরি করার সুযোগ ছিল...তখন আমরা ৩ পেস বোলার নিয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যদি আপনার মনে থাকে, এর আগের ম্যাচটা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, যেখানে উইকেটটা ভিন্ন ছিল। তবে বিষয়টা হচ্ছে, আমাদের এখন সব ধরনের স্কিলসেট আছে। সেটা এখন যেমন ইচ্ছা আমরা ব্যবহার করতে পারি। সেটা এখন দলের জন্য বেশ ভালো।’
ইনজুরিতে নাঈম হাসান
সিলেট টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা অফ স্পিনার নাঈম হাসান ডানহাতের তর্জনি আঙুলে চোট পেয়েছেন। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩ উইকেট পান নাঈম। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ জানান, ‘সে জাতীয় লীগের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিল। সে আত্মবিশ্বাসী এখন, ভালো ছন্দে বোলিংও করছে। ম্যাচে আমরা তা দেখেছি। সে তার ভূমিকা নিখুঁতভাবে পালন করেছে। বিভিন্ন সময়ে সে রক্ষণাত্মক বোলার ছিল, কখনো কখনো সে আক্রমণও করেছে। সে ব্যাটারদের মনে অনেক সন্দেহ তৈরি করেছিল। কেন উইলিয়ামসনকে সে ভুগিয়েছে, তার ফলটাও পেয়ে যাচ্ছিল। তাকে নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট।’