ক্রিকেট বিশ্বের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্বকাপের ব্লক ব্লাস্টার লড়াইয়ে একে অন্যের মোকাবিলা করতে যাচ্ছে। বহুল প্রতিক্ষিত এই ম্যাচের আগে বার্তা সংস্থা এএফপি দুই দলের মধ্যকার কিছু লড়াইকে সামনে নিয়ে এসেছে।
রোহিত বনাম শাহিন
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির গতির সামনে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজেকে খুব একটা মেলে ধরতে পারেননি। গত মাসে পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে রোহিতের অফ স্টাম্প উড়িয়ে দিয়েছিলেন শাহিন। বাজে ফুটওয়ার্কের কারণে মাত্র ১১ রানে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছিলেন রোহিত। তবে কলম্বোতে পরের ম্যাচে রোহিত বেশ সাবধানে খেলেছেন। শাহিনের প্রথম ওভারে তার একটি ওভার বাউন্ডারিও ছিল।
এই দুইজনের দ্বৈরথ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে। দুবাইয়ে শাহিন তার প্রথম ওভারেই পেস ও সুইং দিয়ে রোহিতকে শূন্য রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছিলেন।
কোহলি বনাম রউফ
গত বছর মেলবোর্নে টি-২০ বিশ্বকাপে বড় রান তাড়া করতে গিয়ে হারিস রউফের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের দেয়া ১৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ভারতের সামনে জয়ের জন্য ১৮ বলে ৩১ রানের প্রয়োজন ছিল। রউফের ওভারে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে কোহলি এমসিজের স্টেডিয়াম ভর্তি পাকিস্তানি দর্শকদের নিশ্চুপ করে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল গুড লেন্থের বল যেটাতে কোহলি স্ট্রেট খেলেছিলেন। এরপর ফাইন লেগ দিয়ে ফ্লিক করে পরের ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।
পরবর্তীতে কোহলি বলেছিলেন ছক্কাগুলো ছিল ‘সহজাতপ্রবৃত্তি’। কিন্তু তারপর থেকেই রউফের সঙ্গে কোহলির একটি ঠাণ্ডা লড়াই চলে আসছে যা আহমেদাবাদেও দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাবর বনাম বুমরাহ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০২১ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজমের ক্ষমতা সম্পর্কে ভালোই অবগত হয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ। ভারতীয় পেস আক্রমণে ‘ইয়র্কার কিং’ হিসেবে পরিচিত বুমরাহসহ অন্য পেসারদের অনায়াসেই খেলে গেছেন বাবর। সাবলীল ব্যাটিং দিয়ে দুবাইয়ে তিনি ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের জয় উপহার দিয়েছিলেন।
কিন্তু দুই বছর পর বুমরাহ ও তার সতীর্থরা মিলে বাবর বাহিনীকে ভালোই শিক্ষা দিয়েছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ২২৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায়। কলম্বোর ম্যাচটিতে বুমরাহর বেশ কয়েকটি ডেলিভারিতে বাবর খেলতে ব্যর্থ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পাকিস্তানি অধিনায়ককে সাজঘরের পথ দেখিয়েছিলেন হার্ডিক পান্ডিয়া।
বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
ক্রিকেট বিশ্বের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্বকাপের ব্লক ব্লাস্টার লড়াইয়ে একে অন্যের মোকাবিলা করতে যাচ্ছে। বহুল প্রতিক্ষিত এই ম্যাচের আগে বার্তা সংস্থা এএফপি দুই দলের মধ্যকার কিছু লড়াইকে সামনে নিয়ে এসেছে।
রোহিত বনাম শাহিন
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির গতির সামনে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজেকে খুব একটা মেলে ধরতে পারেননি। গত মাসে পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে রোহিতের অফ স্টাম্প উড়িয়ে দিয়েছিলেন শাহিন। বাজে ফুটওয়ার্কের কারণে মাত্র ১১ রানে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছিলেন রোহিত। তবে কলম্বোতে পরের ম্যাচে রোহিত বেশ সাবধানে খেলেছেন। শাহিনের প্রথম ওভারে তার একটি ওভার বাউন্ডারিও ছিল।
এই দুইজনের দ্বৈরথ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে। দুবাইয়ে শাহিন তার প্রথম ওভারেই পেস ও সুইং দিয়ে রোহিতকে শূন্য রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছিলেন।
কোহলি বনাম রউফ
গত বছর মেলবোর্নে টি-২০ বিশ্বকাপে বড় রান তাড়া করতে গিয়ে হারিস রউফের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের দেয়া ১৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ভারতের সামনে জয়ের জন্য ১৮ বলে ৩১ রানের প্রয়োজন ছিল। রউফের ওভারে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে কোহলি এমসিজের স্টেডিয়াম ভর্তি পাকিস্তানি দর্শকদের নিশ্চুপ করে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল গুড লেন্থের বল যেটাতে কোহলি স্ট্রেট খেলেছিলেন। এরপর ফাইন লেগ দিয়ে ফ্লিক করে পরের ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।
পরবর্তীতে কোহলি বলেছিলেন ছক্কাগুলো ছিল ‘সহজাতপ্রবৃত্তি’। কিন্তু তারপর থেকেই রউফের সঙ্গে কোহলির একটি ঠাণ্ডা লড়াই চলে আসছে যা আহমেদাবাদেও দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাবর বনাম বুমরাহ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০২১ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজমের ক্ষমতা সম্পর্কে ভালোই অবগত হয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ। ভারতীয় পেস আক্রমণে ‘ইয়র্কার কিং’ হিসেবে পরিচিত বুমরাহসহ অন্য পেসারদের অনায়াসেই খেলে গেছেন বাবর। সাবলীল ব্যাটিং দিয়ে দুবাইয়ে তিনি ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের জয় উপহার দিয়েছিলেন।
কিন্তু দুই বছর পর বুমরাহ ও তার সতীর্থরা মিলে বাবর বাহিনীকে ভালোই শিক্ষা দিয়েছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ২২৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায়। কলম্বোর ম্যাচটিতে বুমরাহর বেশ কয়েকটি ডেলিভারিতে বাবর খেলতে ব্যর্থ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পাকিস্তানি অধিনায়ককে সাজঘরের পথ দেখিয়েছিলেন হার্ডিক পান্ডিয়া।