ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হলেও তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে মিডল অর্ডার। বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতেই পারেননি। ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারেনি বোলাররাও। শাহিন আফ্রিদি-হারিস রউফদের পাড়ার বোলার বানিয়ে ঝড় তুলেছেন রোহিত শর্মা।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান। স্বাগতিক বোলারদের দাপটে পাকিস্তান ১৯১ তুলে অল আউট হলে ভারত ৭ উইকেটে সহজ জয় তুলে নেয় ১১৭ বল হাতে রেখে। আহমেদাবাদে জয়ের জন্য ১৯২ রান করতে নেমে ৩০ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। স্বাগতিকদের হয়ে ৬৩ বলে ৮৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন রোহিত। শ্রেয়াস আয়ার অপরাজিত থেকে ৫৩ রান করেন। রোহিত (১৫৬/৩) ছাড়াও আউট হয়েছেন গিল (১৬০) দলীয় ২৩ ও কোহলি (১৬) দলীয় ৭৯ রানে। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ৩৬ রানে ৩টি ও হাসান আলী এক উইকেট নেন। ভারতের তিন ম্যাচ তৃতীয় জয়। টানা তিন জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ডও। পাকিস্তানের ৩ ম্যাচে প্রথম হার। লক্ষাধিক দর্শকে পরিপূর্ণ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করে পেসারদের দারুণভাবে সামাল দিচ্ছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। ৪৮ বলে ৪১ রান সংগ্রহ করেন তারা। অষ্টম ওভারের শেষ বলে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শফিককে ২০ রানে থামিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
সতীর্থকে হারালেও ইনিংস বড় করার পথে ছিলেন ইমাম। কিন্তু ১৩তম ওভারে থামতে হয় তাকে। পেসার হার্ডিক পান্ডিয়ার বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৬টি চারে ৩৬ রান করা ইমাম। ৭৩ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর পাকিস্তানের হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ভারতের বোলারদের স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে ১৯তম ওভার দলের রান তিন অঙ্কে নেন এ জুটি। ২৯তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৯তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাবর। পরের ওভারে বাবরকে বোল্ড করে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন সিরাজ। ৭টি চারে ৫৮ বলে ৫০ রান করেন বাবর। রিজওয়ান-বাবর তৃতীয় উইকেটে ১০৩ বলে ৮২ রান যোগ করেন।
দলীয় ১৫৫ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে বাবর ফেরার পর পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। ৮০ বল ও ৩৬ রান শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ৪২ দশমিক ৫ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
বাবরের পর সৌদ শাকিলকে ৬ ও ইফতিখার আহমেদকে ৪ রানে স্পিনার কুলদীপ যাদব, রিজওয়ানকে ৪৯ ও শাদাব খানকে ২ রানে পেসার জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ নওয়াজকে ৪ রানে পান্ডিয়া ও হাসান আলিকে ১২ ও হারিস রউফকে ২ রানে শিকার করেন স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা।
ভারতের পক্ষে বুমরাহ-সিরাজ-পান্ডিয়া-কুলদীপ ও জাদেজা ২টি করে উইকেট নেন। বিশ^কাপ ইতিহাসে এক ইনিংস পাঁচ বোলারের প্রত্যকে ২টি করে উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে এটি তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ২০১১ সালে মোহালিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত এবং ২০১৫ সালে ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের পাঁচ বোলারের প্রত্যকে ২টি করে উইকেট শিকার করেছিলেন।
শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হলেও তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে মিডল অর্ডার। বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতেই পারেননি। ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারেনি বোলাররাও। শাহিন আফ্রিদি-হারিস রউফদের পাড়ার বোলার বানিয়ে ঝড় তুলেছেন রোহিত শর্মা।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান। স্বাগতিক বোলারদের দাপটে পাকিস্তান ১৯১ তুলে অল আউট হলে ভারত ৭ উইকেটে সহজ জয় তুলে নেয় ১১৭ বল হাতে রেখে। আহমেদাবাদে জয়ের জন্য ১৯২ রান করতে নেমে ৩০ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। স্বাগতিকদের হয়ে ৬৩ বলে ৮৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন রোহিত। শ্রেয়াস আয়ার অপরাজিত থেকে ৫৩ রান করেন। রোহিত (১৫৬/৩) ছাড়াও আউট হয়েছেন গিল (১৬০) দলীয় ২৩ ও কোহলি (১৬) দলীয় ৭৯ রানে। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ৩৬ রানে ৩টি ও হাসান আলী এক উইকেট নেন। ভারতের তিন ম্যাচ তৃতীয় জয়। টানা তিন জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ডও। পাকিস্তানের ৩ ম্যাচে প্রথম হার। লক্ষাধিক দর্শকে পরিপূর্ণ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করে পেসারদের দারুণভাবে সামাল দিচ্ছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। ৪৮ বলে ৪১ রান সংগ্রহ করেন তারা। অষ্টম ওভারের শেষ বলে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শফিককে ২০ রানে থামিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
সতীর্থকে হারালেও ইনিংস বড় করার পথে ছিলেন ইমাম। কিন্তু ১৩তম ওভারে থামতে হয় তাকে। পেসার হার্ডিক পান্ডিয়ার বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৬টি চারে ৩৬ রান করা ইমাম। ৭৩ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর পাকিস্তানের হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ভারতের বোলারদের স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে ১৯তম ওভার দলের রান তিন অঙ্কে নেন এ জুটি। ২৯তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৯তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাবর। পরের ওভারে বাবরকে বোল্ড করে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন সিরাজ। ৭টি চারে ৫৮ বলে ৫০ রান করেন বাবর। রিজওয়ান-বাবর তৃতীয় উইকেটে ১০৩ বলে ৮২ রান যোগ করেন।
দলীয় ১৫৫ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে বাবর ফেরার পর পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। ৮০ বল ও ৩৬ রান শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ৪২ দশমিক ৫ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
বাবরের পর সৌদ শাকিলকে ৬ ও ইফতিখার আহমেদকে ৪ রানে স্পিনার কুলদীপ যাদব, রিজওয়ানকে ৪৯ ও শাদাব খানকে ২ রানে পেসার জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ নওয়াজকে ৪ রানে পান্ডিয়া ও হাসান আলিকে ১২ ও হারিস রউফকে ২ রানে শিকার করেন স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা।
ভারতের পক্ষে বুমরাহ-সিরাজ-পান্ডিয়া-কুলদীপ ও জাদেজা ২টি করে উইকেট নেন। বিশ^কাপ ইতিহাসে এক ইনিংস পাঁচ বোলারের প্রত্যকে ২টি করে উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে এটি তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ২০১১ সালে মোহালিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত এবং ২০১৫ সালে ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের পাঁচ বোলারের প্রত্যকে ২টি করে উইকেট শিকার করেছিলেন।