নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাইতে ব্যাট করার সময় বাম পায়ের পেশিতে টান পড়েছিল সাকিব আল হাসানের। ম্যাচের পর পরই করা হয় এমআরআই স্ক্যান। কিন্তু রিপোর্টে কী এসেছে সেটাই এখন এক রহস্য। একদিন পর বিসিবি বিবৃতি দিলেও তা ছিল অস্পষ্ট। সোমবার (১৭ অক্টোবর) টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কথায় মিললো অনিশ্চয়তার সুর।
চেন্নাই থেকে পুনে পৌঁছে টানা দুই দিন ধরে বিশ্রামে বাংলাদেশ দল। আজ থেকে শুরু হবে অনুশীলন। গত বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দুই দিন নিজেদের প্রস্তুতির সুযোগ আছে। ফিজিওর ভাষ্য মতে বিসিবি জানিয়েছিলেন, সাকিবের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে চোট কোন ধাপের তা আড়াল করা হয়।
সোমবার টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সুজন বলেন, ‘সাকিব ভালো আছে, ব্যথামুক্ত আছে। তবে এখনও যেহেতু মাঠে নামেনি, পুরো চিত্র বলা যাবে না। আমরা আশা করছি ভারত ম্যাচের আগে তাকে পাব।’
‘যেহেতু টিআরের ব্যাপার। মাঠে না গেলে...আস্তে হাঁটা আর দৌড়ের মধ্যে অবশ্যই তফাৎ আছে। যেহেতু রান নিতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। মাঠে গিয়ে দেখা যাবে। সে যদি স্বস্তিতে থাকে। সে চাচ্ছে খেলতে। নির্ভর করে ওর ফিটনেসের ওপর।’
সাকিবের চোটের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সতর্ক পথে হাঁটছে বিসিবি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পর যদি তার চোট বেড়ে যায় তাহলে কোন ঝুঁকি নেয়া হবে না। এক ম্যাচ খেলিয়ে সাকিবের ক্যারিয়ার হুমকিতে ফেলতে চান না বলেও জানালেন সুজন, ‘টুর্নামেন্টের এখনও ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে। আমরা চাই না একটা ম্যাচ খেলে সে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করুক। এটা ডাক্তারের কল, ফিজিওর কল। সাকিব নিজেও হয়তবা বুঝবে। আমরা চাই না এটা খেলে তার ক্যারিয়ারের জন্য কোনো ক্ষতি হোক। ফিজিও বিষয়টা দেখবে। যদি এমন হয় এই ম্যাচ তাকে ছাড়া খেলতে হবে তাহলে আমরা সেটাই করব।’
‘অস্বস্তিবোধ’ করায় নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়েছিলেন লিটন
আগের দিন টিম হোটেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা লিটন দাসের পাশে দাঁড়িয়েছে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি মনে করেন কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়, ফুটেজ নিতে দেখে কেবল অস্বস্তিবোধ করায় নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়েছিলেন তিনি।
গতকাল রোববার ছুটির দিনে টিম হোটেলে এক অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম হয়। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু কথা বলবেন ভেবে পুনের হোটেল যান সাংবাদিকরা। সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান কালে মাহমুদুল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, তাওহিদ হৃদয়দের ফুটেজ নেন তারা।
এ সময় লাঞ্চ করতে বের হওয়া খেরোয়াড়রা ফুটেজ নিতে আপত্তি না করলেও বিপত্তি বাধে লিটনের বেলায়। লিটনের ফুটেজ যখন নিচ্ছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক তখন এই ব্যাটার তাতে বিরক্ত হন। নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে এটা জানালে তারা সাংবাদিকদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
এই ঘটনার পর সমালোচনায় পড়েন লিটন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তার এমন আচরণে প্রতিক্রিয়া আসে তীব্র। সোমবার সকালে অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করে নিজের ফেইসবুকে পোস্ট দেন ক্রিকেটার লিটন। দুপুরে টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুজন। তাতে অনুমিতভাবেই আসে এই প্রসঙ্গ। বিসিবির পরিচালক ও এই ট্যুরের প্রধান সুজন জানান, পুরো বিষয়টা আসলে ভুল বোঝাবুঝি, ‘অবশ্যই বিসিবি চিন্তিত। লিটন ইতোমধ্যে তার ফেইসবুক পেজ থেকে ‘স্যরি’ বলেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আসলে সে এটা করেনি। সে আপনাদের বের করে দিয়েছে এ কথা বলেনি কোনো সময়। হয়তো সে অস্বস্তি থাকায় (এমনটা করেছে)।’
‘আমি যেটা লিটন থেকে জেনেছি, সে অস্বস্তিবোধ করেছে, সেটাই নিরাপত্তাকর্মীকে জানিয়েছে। নিরপত্তাকর্মী আপনাদের কীভাবে বলেছে, সেটা আমি জানি না। আবার বলছি আমার মনে হয়, এটা ইচ্ছাকৃত না।’
দেশের বাইরে সিরিজ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ প্রত্যাশিত নয় বলেও জানান সুজন, ‘সব সময় যেটা চিন্তা করি, আপনারা দূর থেকে, বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। আমাদের দেশের জন্য একটা লজ্জাজনক ব্যাপার একটা। আমাদের মিডিয়াকে যদি এখান থেকে সরে যেতে বলে, সেটা আমাদের জন্য ঠিক নয়।’
তবে ম্যাচের আগের দিন ছাড়া ক্রিকেটারদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করতে নিজেদের পুরনো সিদ্ধান্ত আবার মনে করিয়ে দেন এই বোর্ড পরিচালক। ‘আমরা সবসময় আপনাদের উৎসাহ দিই, ছবি তোলেন, ভিডিও করেন। অবশ্যই আমরাও একটা দূরত্ব রেখেছি আপনাদের সামনে। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আমরা শুধু ম্যাচের আগের দিনই কাউকে দিচ্ছি কথা বলতে। আমরা চাচ্ছি ছেলেরা মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকুক। ক্রিকেটের সঙ্গে থাকুক, ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করুক। আবারও বলছি আমরা দুঃখিত।’
‘আসলে এটা আমাদের সবার কাছেই অপ্রত্যাশিত, লিটন এটা কীভাবে বললো। কিন্তু আমি লিটনের সঙ্গে কথা বলেছি, আজ সকালেও বলেছি, আসলে সে বলেছে, ‘স্যার (খালেদ মাহমুদ), আমি কাউকে ছোট করতে চাইনি। ঠিক আছে এটা আমার ভুল হয়েছে। হয়তো আমি অস্বস্তিতে ছিলাম বলে। ক্যামেরাটা আমার মুখের সামনে নিয়ে আসছিল বার বার, এজন্য।’
এবার বিশ্বকাপে দলগুলোর টিম হোটেলে গণমাধ্যমের কোনো কার্যক্রম রাখা হয়নি। বেশিরভাগ ভেন্যুতে টিম হোটেলে গিয়ে ফুটেজ নিতে ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা।
সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাইতে ব্যাট করার সময় বাম পায়ের পেশিতে টান পড়েছিল সাকিব আল হাসানের। ম্যাচের পর পরই করা হয় এমআরআই স্ক্যান। কিন্তু রিপোর্টে কী এসেছে সেটাই এখন এক রহস্য। একদিন পর বিসিবি বিবৃতি দিলেও তা ছিল অস্পষ্ট। সোমবার (১৭ অক্টোবর) টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কথায় মিললো অনিশ্চয়তার সুর।
চেন্নাই থেকে পুনে পৌঁছে টানা দুই দিন ধরে বিশ্রামে বাংলাদেশ দল। আজ থেকে শুরু হবে অনুশীলন। গত বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দুই দিন নিজেদের প্রস্তুতির সুযোগ আছে। ফিজিওর ভাষ্য মতে বিসিবি জানিয়েছিলেন, সাকিবের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে চোট কোন ধাপের তা আড়াল করা হয়।
সোমবার টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সুজন বলেন, ‘সাকিব ভালো আছে, ব্যথামুক্ত আছে। তবে এখনও যেহেতু মাঠে নামেনি, পুরো চিত্র বলা যাবে না। আমরা আশা করছি ভারত ম্যাচের আগে তাকে পাব।’
‘যেহেতু টিআরের ব্যাপার। মাঠে না গেলে...আস্তে হাঁটা আর দৌড়ের মধ্যে অবশ্যই তফাৎ আছে। যেহেতু রান নিতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। মাঠে গিয়ে দেখা যাবে। সে যদি স্বস্তিতে থাকে। সে চাচ্ছে খেলতে। নির্ভর করে ওর ফিটনেসের ওপর।’
সাকিবের চোটের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সতর্ক পথে হাঁটছে বিসিবি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পর যদি তার চোট বেড়ে যায় তাহলে কোন ঝুঁকি নেয়া হবে না। এক ম্যাচ খেলিয়ে সাকিবের ক্যারিয়ার হুমকিতে ফেলতে চান না বলেও জানালেন সুজন, ‘টুর্নামেন্টের এখনও ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে। আমরা চাই না একটা ম্যাচ খেলে সে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করুক। এটা ডাক্তারের কল, ফিজিওর কল। সাকিব নিজেও হয়তবা বুঝবে। আমরা চাই না এটা খেলে তার ক্যারিয়ারের জন্য কোনো ক্ষতি হোক। ফিজিও বিষয়টা দেখবে। যদি এমন হয় এই ম্যাচ তাকে ছাড়া খেলতে হবে তাহলে আমরা সেটাই করব।’
‘অস্বস্তিবোধ’ করায় নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়েছিলেন লিটন
আগের দিন টিম হোটেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা লিটন দাসের পাশে দাঁড়িয়েছে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি মনে করেন কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়, ফুটেজ নিতে দেখে কেবল অস্বস্তিবোধ করায় নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়েছিলেন তিনি।
গতকাল রোববার ছুটির দিনে টিম হোটেলে এক অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম হয়। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু কথা বলবেন ভেবে পুনের হোটেল যান সাংবাদিকরা। সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান কালে মাহমুদুল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, তাওহিদ হৃদয়দের ফুটেজ নেন তারা।
এ সময় লাঞ্চ করতে বের হওয়া খেরোয়াড়রা ফুটেজ নিতে আপত্তি না করলেও বিপত্তি বাধে লিটনের বেলায়। লিটনের ফুটেজ যখন নিচ্ছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক তখন এই ব্যাটার তাতে বিরক্ত হন। নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে এটা জানালে তারা সাংবাদিকদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
এই ঘটনার পর সমালোচনায় পড়েন লিটন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তার এমন আচরণে প্রতিক্রিয়া আসে তীব্র। সোমবার সকালে অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করে নিজের ফেইসবুকে পোস্ট দেন ক্রিকেটার লিটন। দুপুরে টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুজন। তাতে অনুমিতভাবেই আসে এই প্রসঙ্গ। বিসিবির পরিচালক ও এই ট্যুরের প্রধান সুজন জানান, পুরো বিষয়টা আসলে ভুল বোঝাবুঝি, ‘অবশ্যই বিসিবি চিন্তিত। লিটন ইতোমধ্যে তার ফেইসবুক পেজ থেকে ‘স্যরি’ বলেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আসলে সে এটা করেনি। সে আপনাদের বের করে দিয়েছে এ কথা বলেনি কোনো সময়। হয়তো সে অস্বস্তি থাকায় (এমনটা করেছে)।’
‘আমি যেটা লিটন থেকে জেনেছি, সে অস্বস্তিবোধ করেছে, সেটাই নিরাপত্তাকর্মীকে জানিয়েছে। নিরপত্তাকর্মী আপনাদের কীভাবে বলেছে, সেটা আমি জানি না। আবার বলছি আমার মনে হয়, এটা ইচ্ছাকৃত না।’
দেশের বাইরে সিরিজ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ প্রত্যাশিত নয় বলেও জানান সুজন, ‘সব সময় যেটা চিন্তা করি, আপনারা দূর থেকে, বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। আমাদের দেশের জন্য একটা লজ্জাজনক ব্যাপার একটা। আমাদের মিডিয়াকে যদি এখান থেকে সরে যেতে বলে, সেটা আমাদের জন্য ঠিক নয়।’
তবে ম্যাচের আগের দিন ছাড়া ক্রিকেটারদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করতে নিজেদের পুরনো সিদ্ধান্ত আবার মনে করিয়ে দেন এই বোর্ড পরিচালক। ‘আমরা সবসময় আপনাদের উৎসাহ দিই, ছবি তোলেন, ভিডিও করেন। অবশ্যই আমরাও একটা দূরত্ব রেখেছি আপনাদের সামনে। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আমরা শুধু ম্যাচের আগের দিনই কাউকে দিচ্ছি কথা বলতে। আমরা চাচ্ছি ছেলেরা মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকুক। ক্রিকেটের সঙ্গে থাকুক, ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করুক। আবারও বলছি আমরা দুঃখিত।’
‘আসলে এটা আমাদের সবার কাছেই অপ্রত্যাশিত, লিটন এটা কীভাবে বললো। কিন্তু আমি লিটনের সঙ্গে কথা বলেছি, আজ সকালেও বলেছি, আসলে সে বলেছে, ‘স্যার (খালেদ মাহমুদ), আমি কাউকে ছোট করতে চাইনি। ঠিক আছে এটা আমার ভুল হয়েছে। হয়তো আমি অস্বস্তিতে ছিলাম বলে। ক্যামেরাটা আমার মুখের সামনে নিয়ে আসছিল বার বার, এজন্য।’
এবার বিশ্বকাপে দলগুলোর টিম হোটেলে গণমাধ্যমের কোনো কার্যক্রম রাখা হয়নি। বেশিরভাগ ভেন্যুতে টিম হোটেলে গিয়ে ফুটেজ নিতে ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা।