ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে বিশ^কাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। পেসার মোহাম্মদ সামির দারুন বোলিংয়ে শেষ ৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০ রান পায় নিউজিল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা সামি ৫৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। দুইবার জীবন পেয়ে ১২৭ বলে ১৩০ রান করেন মিচেল।
রোববার (২২ অক্টোবর) ধর্মশালায় টস জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার ডেভন কনওয়েকে বিদায় দেন পেসার সিরাজ। নবম ওভারে আরেক ওপেনার উইং ইয়ংকে ১৭ রানে থামিয়ে দেন সামি।
১৯ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ভারতীয় বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন রবীন্দ্র ও মিচেল। ৩০তম ওভারে জাদেজা বলে মিচেলের ক্যাচ ফেলেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। তখন ৫৯ রানে ছিলেন মিচেল। এরপর ব্যক্তিগত ৭০ রানে স্পিনার কুলদীপ যাদবের বলে বুমরাহর হাতে জীবন পান মিচেল।
১২ রানে জীবন পাওয়া রবীন্দ্রকে ইনিংসের ৩৩তম ওভারে সাজঘরে পাঠিয়ে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সামি। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৭ বলে ৭৫ রান করেন বিশ^কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র।
তৃতীয় উইকেটে মিচেলের সঙ্গে ১৫২ বলে ১৫৯ রান দলকে উপহার দেন রবীন্দ্র। বিশ^কাপে ভারতের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটিই নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুুটি। এতে ভেঙে যায় ৪৪ বছরের পুরনো রেকর্ড। ভারতের বিপক্ষে বিশ^কাপে এতদিন সর্বোচ্চ রানের জুটির মালিক ছিলেন জন রাইট ও ব্রুস এডগার। ১৯৭৯ সালের বিশ^কাপে লিডসে উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ রান করেছিলেন রাইট ও এডগার।
রবীন্দ্রর বিদায়ে উইকেটে এসে দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। কুলদীপের প্রথম শিকার হয়ে ৫ রানে আউট হন ল্যাথাম।
এরপর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে ৪১তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন মিচেল। বিশ^কাপে ভারতের বিপক্ষে চার নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ব্যাটার হলেন মিচেল।
মিচেল-ফিলিপস ক্রিজে থাকা অবস্থায় ৪০ থেকে ৪৫ ওভারে মাত্র ২৮ রান পায় নিউজিল্যান্ড। ৪৫তম ওভারে ফিলিপসকে ২৩ রানে থামিয়ে নিউজিল্যান্ডের ওপর চাপ বাড়ান কুলদীপ। মিচেলের সঙ্গে জুটিতে ৪৫ বলে ৩৮ রান তুলেছিলেন ফিলিপস।
ফিলিপস ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের পরের দিকের ব্যাটারদের দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে দেননি ভারতীয় পেসার সামি। অন্যপ্রান্তে মিচেল থাকলেও দ্রুত রান তুলতে পারেননি তিনিও। সামির তোপে ৫০ ওভারে ২৭৩ রানে অল-আউট হয় নিউজিল্যান্ড। শেষ ৬ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে নিউজিল্যান্ড। ৯ বাউন্ডারি ও ৫ ওভার বাউন্ডারিতে ১২৭ বলে ১৩০ রান করেন মিচেল। সামি ১০ ওভারে ৫৪ রানে ৫ উইকেট নেন। ৯৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন সামি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৭৩ (কনওয়ে ০, ইয়ং ১৭, রবীন্দ্র ৭৫, মিচেল ১৩০, লাথাম ৫, ফিলিপস্ ২৩, চ্যাপম্যান ৬, স্যাটনার ১, হেনরি ০, ফার্গুসন ১, বোল্টি ০*; উইকেট পতন: ১/৯. ২/১৯, ৩/১৭৮, ৪/২০৫, ৫/২৪৩, ৬/২৫৭, ৭/২৬০, ৮/২৬০, ৯/২৭৩, ১০/১৭৩; বোলিং: বুমরা ১/৪৫, সিরাজ ১/৪৫, সামি ৫/৫৪, জাদেজা ০/৪৮, যাদব ২/৭৩)।
রোববার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে বিশ^কাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। পেসার মোহাম্মদ সামির দারুন বোলিংয়ে শেষ ৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০ রান পায় নিউজিল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা সামি ৫৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। দুইবার জীবন পেয়ে ১২৭ বলে ১৩০ রান করেন মিচেল।
রোববার (২২ অক্টোবর) ধর্মশালায় টস জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার ডেভন কনওয়েকে বিদায় দেন পেসার সিরাজ। নবম ওভারে আরেক ওপেনার উইং ইয়ংকে ১৭ রানে থামিয়ে দেন সামি।
১৯ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ভারতীয় বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন রবীন্দ্র ও মিচেল। ৩০তম ওভারে জাদেজা বলে মিচেলের ক্যাচ ফেলেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। তখন ৫৯ রানে ছিলেন মিচেল। এরপর ব্যক্তিগত ৭০ রানে স্পিনার কুলদীপ যাদবের বলে বুমরাহর হাতে জীবন পান মিচেল।
১২ রানে জীবন পাওয়া রবীন্দ্রকে ইনিংসের ৩৩তম ওভারে সাজঘরে পাঠিয়ে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সামি। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৭ বলে ৭৫ রান করেন বিশ^কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র।
তৃতীয় উইকেটে মিচেলের সঙ্গে ১৫২ বলে ১৫৯ রান দলকে উপহার দেন রবীন্দ্র। বিশ^কাপে ভারতের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটিই নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুুটি। এতে ভেঙে যায় ৪৪ বছরের পুরনো রেকর্ড। ভারতের বিপক্ষে বিশ^কাপে এতদিন সর্বোচ্চ রানের জুটির মালিক ছিলেন জন রাইট ও ব্রুস এডগার। ১৯৭৯ সালের বিশ^কাপে লিডসে উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ রান করেছিলেন রাইট ও এডগার।
রবীন্দ্রর বিদায়ে উইকেটে এসে দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। কুলদীপের প্রথম শিকার হয়ে ৫ রানে আউট হন ল্যাথাম।
এরপর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে ৪১তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন মিচেল। বিশ^কাপে ভারতের বিপক্ষে চার নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ব্যাটার হলেন মিচেল।
মিচেল-ফিলিপস ক্রিজে থাকা অবস্থায় ৪০ থেকে ৪৫ ওভারে মাত্র ২৮ রান পায় নিউজিল্যান্ড। ৪৫তম ওভারে ফিলিপসকে ২৩ রানে থামিয়ে নিউজিল্যান্ডের ওপর চাপ বাড়ান কুলদীপ। মিচেলের সঙ্গে জুটিতে ৪৫ বলে ৩৮ রান তুলেছিলেন ফিলিপস।
ফিলিপস ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের পরের দিকের ব্যাটারদের দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে দেননি ভারতীয় পেসার সামি। অন্যপ্রান্তে মিচেল থাকলেও দ্রুত রান তুলতে পারেননি তিনিও। সামির তোপে ৫০ ওভারে ২৭৩ রানে অল-আউট হয় নিউজিল্যান্ড। শেষ ৬ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে নিউজিল্যান্ড। ৯ বাউন্ডারি ও ৫ ওভার বাউন্ডারিতে ১২৭ বলে ১৩০ রান করেন মিচেল। সামি ১০ ওভারে ৫৪ রানে ৫ উইকেট নেন। ৯৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন সামি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৭৩ (কনওয়ে ০, ইয়ং ১৭, রবীন্দ্র ৭৫, মিচেল ১৩০, লাথাম ৫, ফিলিপস্ ২৩, চ্যাপম্যান ৬, স্যাটনার ১, হেনরি ০, ফার্গুসন ১, বোল্টি ০*; উইকেট পতন: ১/৯. ২/১৯, ৩/১৭৮, ৪/২০৫, ৫/২৪৩, ৬/২৫৭, ৭/২৬০, ৮/২৬০, ৯/২৭৩, ১০/১৭৩; বোলিং: বুমরা ১/৪৫, সিরাজ ১/৪৫, সামি ৫/৫৪, জাদেজা ০/৪৮, যাদব ২/৭৩)।