বিশ্বকাপের আগেও পাকিস্তান ছিল ওয়ানডে র্যাঙ্কের শীর্ষে। ওয়ানডে ফরম্যাটে রীতিমত উড়ছিলেন বাবর আজমরা। এশিয়া কাপে অপ্রত্যাশিত ফলাফলের পরেও নিজেদের কক্ষপথ থেকে সরে যায়নি দেশটি। তবে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের পর যেন আমূল বদলে গেল পাকিস্তানের চেহারা। যে দেশটা বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ছিল, ৫ম রাউন্ডে এসে তাদেরই কিনা বাদ পড়ার শঙ্কা।
টানা তিন হারে এই মুহূর্তে বাজে সময় পার করছে পাকিস্তান। অবস্থা এতটাই শোচনীয়, বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যেতে পারে তারা। ৫ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট তালিকার ৫ম স্থানে আছে বাবর আজমরা। আপাতদৃষ্টিতে ভাল অবস্থান মনে হলেও বিশ্বকাপের সূচি এবং অন্য দলের অবস্থান বিবেচনায় বেশ বড় ঝড়ই অপেক্ষা করছে পাকিস্তানের জন্য।
সেমিফাইনালে উঠতে হলে পাকিস্তানকে নিজেদের বাকি চারটি ম্যাচ জিততেই হবে। কোন এক ম্যাচেই পা হড়কানো মানেই বড় বিপদ। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে আটকে যেতে হবে রানরেট আর যদি-কিন্তুর সমীকরণে।
পাকিস্তানের সামনে যে জটিলতা
পরের ৪ ম্যাচ জিতলে তাহলে ১২ পয়েন্টে পৌঁছে যাবেন বাবরেরা। তবে শুধু সেই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হবে না পাকিস্তানের। পাকিস্তানের ম্যাচ বাকি দক্ষিণ আফ্রিকা (২৭ অক্টোবর), বাংলাদেশ (৩১ অক্টোবর), নিউজিল্যান্ড (৪ নভেম্বর) এবং ইংল্যান্ডের (১১ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড আছে পাকিস্তানের উপরে। কিউইদের পয়েন্ট ৮ এবং প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৬।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হার ছাড়াও বাকি ম্যাচগুলো জিতলে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলেরই পয়েন্ট হবে ১৪। ভারত এরইমাঝে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমির পথে অনেকটা এগিয়ে আছে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে লড়তে হবে চতুর্থ স্থানের জন্য।
আর এখানে বড় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। তাদের হাতে বাকি আছে আরও ৫ ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি ৪ ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে পাকিস্তানের সমান ১২। সেখানেই কপাল পুড়বে বাবর। রানরেটে যে অনেকটাই এগিয়ে আছে অজিরা।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের জন্য তাই সব ম্যাচই নকআউট। এমন চাপ সামলে সেমির মঞ্চে বাবররা যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
বিশ্বকাপের আগেও পাকিস্তান ছিল ওয়ানডে র্যাঙ্কের শীর্ষে। ওয়ানডে ফরম্যাটে রীতিমত উড়ছিলেন বাবর আজমরা। এশিয়া কাপে অপ্রত্যাশিত ফলাফলের পরেও নিজেদের কক্ষপথ থেকে সরে যায়নি দেশটি। তবে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের পর যেন আমূল বদলে গেল পাকিস্তানের চেহারা। যে দেশটা বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ছিল, ৫ম রাউন্ডে এসে তাদেরই কিনা বাদ পড়ার শঙ্কা।
টানা তিন হারে এই মুহূর্তে বাজে সময় পার করছে পাকিস্তান। অবস্থা এতটাই শোচনীয়, বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যেতে পারে তারা। ৫ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট তালিকার ৫ম স্থানে আছে বাবর আজমরা। আপাতদৃষ্টিতে ভাল অবস্থান মনে হলেও বিশ্বকাপের সূচি এবং অন্য দলের অবস্থান বিবেচনায় বেশ বড় ঝড়ই অপেক্ষা করছে পাকিস্তানের জন্য।
সেমিফাইনালে উঠতে হলে পাকিস্তানকে নিজেদের বাকি চারটি ম্যাচ জিততেই হবে। কোন এক ম্যাচেই পা হড়কানো মানেই বড় বিপদ। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে আটকে যেতে হবে রানরেট আর যদি-কিন্তুর সমীকরণে।
পাকিস্তানের সামনে যে জটিলতা
পরের ৪ ম্যাচ জিতলে তাহলে ১২ পয়েন্টে পৌঁছে যাবেন বাবরেরা। তবে শুধু সেই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হবে না পাকিস্তানের। পাকিস্তানের ম্যাচ বাকি দক্ষিণ আফ্রিকা (২৭ অক্টোবর), বাংলাদেশ (৩১ অক্টোবর), নিউজিল্যান্ড (৪ নভেম্বর) এবং ইংল্যান্ডের (১১ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড আছে পাকিস্তানের উপরে। কিউইদের পয়েন্ট ৮ এবং প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৬।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হার ছাড়াও বাকি ম্যাচগুলো জিতলে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলেরই পয়েন্ট হবে ১৪। ভারত এরইমাঝে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমির পথে অনেকটা এগিয়ে আছে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে লড়তে হবে চতুর্থ স্থানের জন্য।
আর এখানে বড় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। তাদের হাতে বাকি আছে আরও ৫ ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি ৪ ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে পাকিস্তানের সমান ১২। সেখানেই কপাল পুড়বে বাবর। রানরেটে যে অনেকটাই এগিয়ে আছে অজিরা।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের জন্য তাই সব ম্যাচই নকআউট। এমন চাপ সামলে সেমির মঞ্চে বাবররা যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।