মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রান বন্যায় ভাসিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। আগে ব্যাটিং বেছে ৫ উইকেটে ৩৮২ করেছে তারা। এর মধ্যে ওপেনার ডি কক করেন ১৭৪, অধিনায়ক মার্করাম ৬০, ক্লাসেন করেন ৯০। মিলার অপরাজিত ৩৪। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৪ রান।
টস ভাগ্য পক্ষে না এলেও বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। দ্রুত দুই উইকেট ফেলে প্রোটিয়াদের চেপেও ধরতে পেরেছিল। কিন্তু এরপর খেলার পরিস্থিতি বদলে দেন কুইন্টন ডি কক আর এইডেন মার্করাম। ডি কক তৃতীয় সেঞ্চুরিতে খেলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে শতরানের জুটিতে মার্করামও করেন ফিফটি। তবে শেষ দিকে আসল কাজ করেছেন ক্লাসেন, তার উত্তাল ব্যাটিং দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম দিকে চাঙ্গা থাকলেও পরে শরীরী ভাষাও নেতিয়ে পড়ে সাকিব আল হাসানদের।
মঙ্গলবার মুম্বাইর মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে রান বন্যায় ভাসিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। আগে ব্যাটিং বেছে ৫ উইকেটে ৩৮২ করেছে তারা। ১৪০ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৪ রান ডি ককের। মার্করাম অ্যাঙ্কর ভূমিকায় ৬৯ বলে করে যান ৬০। শেষ দিকে উত্তাল হয়ে উঠা ক্লাসেন ৪৯ বলে থামেন ৯০ রান করে। ১৫ বলে ৩৪ করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।
বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে এদিন যেন খেললেন ডি কক। ১৫ চার, ৭ ছক্কার ইনিংস যেভাবে সাজিয়েছেন তাতে ছিল না কোনো সুযোগ।
ডি কককে আউট করতে শুরুতেই মিরাজের হাতে বল দিয়ে ছিলেন অধিনায়ক সাকিব। টানা সাত ওভার আপ্রাণ চেষ্টাও করেছিলেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয়ে উঠেন দুর্বার। তাকে আটকানোর কোনো উপায়ই পরে মিলছিল না।
খেলার আগে টস নিয়ে ছিল অনেক আকুতি। তবে ওটা তো আর নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে প্রথম পাওয়ার প্লেতে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো শুরু পেয়ে চাঙা হয়ে উঠেছিল দল। আগের ম্যাচে ৮৫ করা হেন্ড্রিক্স কোনো রান করা আগেই সুযোগ দিয়েছিলেন। মিরাজের বলে স্লিপে তার ক্যাচ রাখতে পারেননি তানজিদ।
তাকে অবশ্য সপ্তম ওভারে শরিফুল দারুণ এক বলে বোল্ড করেন। ফেরেন ১২ রান করে।
ডি কককে ফেরাতে আগেভাগে মিরাজকে এনেছিলেন সাকিব। ডি কককে থামাতে না পারলেও ডুসেনের উইকেট পেয়ে যান তিনি। ৮ম ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট খুইয়ে তখন চাপে প্রোটিয়ারা।
ঠান্ডা মাথায় এইডেন মার্করামকে নিয়ে এই চাপ সয়ে যান ডি কক। রানের গতি বিন্দু মাত্র পড়তে দেননি। প্রান্ত বদলে দুইজনে ছিলেন চনমনে। আলগা বল পেলেও সীমানা ছাড়া করেছেন তড়িৎ।
কোনো সুযোগ না দিয়ে এগুতে থাকেন দুইজনেই। শুরুর চাপ সয়ে দাঁড়িয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। মাঝের ওভারে স্পিন-পেস মিলিয়ে বাংলাদেশ ব্রেক থ্রোর চেষ্টা করে গেছে টানা। অনিয়মিত বোলার মাহমুদুল্লাহকে দিয়েও চেষ্টা চালানো হয়েছে। মাঝের সময়টায় হতাশ করেছেন হাসান মাহমুদ। হাসানের বলে মার্করাম, ডি ককের চাপ সরে যাচ্ছিল। স্পিনাররাও ওই সময়টায় হয়ে পড়ছিলেন ধারহীন।
সাকিব তার প্রথম স্পেলে ছিলেন সাদামাটা, দ্বিতীয় স্পেলেও তাই। তবে উইকেট পেয়ে যান। ৩১তম ওভারে চিপ শটের মতো খেলতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় হয়ে লং অফে লিটন দাসের হাতে জমা পড়েন ৬৯ বলে ৬০ করা প্রোটিয়া কাপ্তান।
ডি কক কোনো সুযোগ না দিয়ে খানিক পরই স্পর্শ করেন টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এরপর হয়ে উঠেন আরও দুর্বার। সব বলেই খ্যাপাটের মতো ঘুরিয়েছেন এমন না। তাকে তেমন করতেও হয়নি। প্রতি ওভারেই একাধিক আলগা বল মিলেছে, সেসব কোনোটাই ছাড় দেননি। ভালো বলে আবার মর্যাদা দিয়েছেন পর্যাপ্ত।
হাসানের বলে তিনি যখন আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকার সাড়ে তিনশ’ অনায়াসে পার করার ভিত তখন পোক্ত। সেই সাড়ে তিনশ’কে আরও দূর ছাড়িয়ে নিয়ে যান ক্লাসেন-মিলার। তাদের চার-ছক্কার ঝড়ে শেষ দশ ওভারে চলে আসে ১৪৪ রান!
ডি’ককের ৫ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি
ভারতের কোহলিকে টপকে গেলেন কুইন্টন ডি’কক। আগের ম্যাচে রোহিত শর্মাকে টপকে গিয়েছিলেন ভিরাট। এবার তাকে টপকে সব থেকে বেশি রানের তালিকায় শীর্ষে ডি’কক। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপে তিনটি শতরান করে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি ব্যাটার।
কোহলি পাঁচটি ম্যাচে করেছেন ৩৫৪ রান। মঙ্গলবার ডি’কক ১৪০ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস খেলে সেই রান টপকালেন তিনি। ৫ ম্যাচে ডি’কক করেছেন ৪০৭ রান। তিন নম্বরে রয়েছেন রোহিত। তিনি পাঁচ ম্যাচে ৩১১ রান করেছেন। বিরাট এবং রোহিত একটি করে শতরান করলেও ডি’কক করেছেন তিনটি। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম দুটি ম্যাচেই শতরান করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে ডি’কক জানিয়েছিলেন যে, এই প্রতিযোগিতা শেষে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। গত বছরই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ডি’কক। এবার একদিনের ক্রিকেটও ছাড়তে চলেছেন তিনি। তার আগে ডি’কক যে ফর্ম দেখাচ্ছেন, তাতে খেলা ছাড়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা দল তার অভাব যথেষ্ট অনুভব করবে। কিন্তু তিনি টেস্টের পর এক দিনের ক্রিকেটও ছেড়ে টি-২০’তে মন দিতে চান।
এ বারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচ ছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ১০০ রান করেছিলেন ডি’কক। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করেছিলেন ১০৯ রান।
মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রান বন্যায় ভাসিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। আগে ব্যাটিং বেছে ৫ উইকেটে ৩৮২ করেছে তারা। এর মধ্যে ওপেনার ডি কক করেন ১৭৪, অধিনায়ক মার্করাম ৬০, ক্লাসেন করেন ৯০। মিলার অপরাজিত ৩৪। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৪ রান।
টস ভাগ্য পক্ষে না এলেও বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। দ্রুত দুই উইকেট ফেলে প্রোটিয়াদের চেপেও ধরতে পেরেছিল। কিন্তু এরপর খেলার পরিস্থিতি বদলে দেন কুইন্টন ডি কক আর এইডেন মার্করাম। ডি কক তৃতীয় সেঞ্চুরিতে খেলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে শতরানের জুটিতে মার্করামও করেন ফিফটি। তবে শেষ দিকে আসল কাজ করেছেন ক্লাসেন, তার উত্তাল ব্যাটিং দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম দিকে চাঙ্গা থাকলেও পরে শরীরী ভাষাও নেতিয়ে পড়ে সাকিব আল হাসানদের।
মঙ্গলবার মুম্বাইর মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে রান বন্যায় ভাসিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। আগে ব্যাটিং বেছে ৫ উইকেটে ৩৮২ করেছে তারা। ১৪০ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৪ রান ডি ককের। মার্করাম অ্যাঙ্কর ভূমিকায় ৬৯ বলে করে যান ৬০। শেষ দিকে উত্তাল হয়ে উঠা ক্লাসেন ৪৯ বলে থামেন ৯০ রান করে। ১৫ বলে ৩৪ করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।
বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে এদিন যেন খেললেন ডি কক। ১৫ চার, ৭ ছক্কার ইনিংস যেভাবে সাজিয়েছেন তাতে ছিল না কোনো সুযোগ।
ডি কককে আউট করতে শুরুতেই মিরাজের হাতে বল দিয়ে ছিলেন অধিনায়ক সাকিব। টানা সাত ওভার আপ্রাণ চেষ্টাও করেছিলেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয়ে উঠেন দুর্বার। তাকে আটকানোর কোনো উপায়ই পরে মিলছিল না।
খেলার আগে টস নিয়ে ছিল অনেক আকুতি। তবে ওটা তো আর নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে প্রথম পাওয়ার প্লেতে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো শুরু পেয়ে চাঙা হয়ে উঠেছিল দল। আগের ম্যাচে ৮৫ করা হেন্ড্রিক্স কোনো রান করা আগেই সুযোগ দিয়েছিলেন। মিরাজের বলে স্লিপে তার ক্যাচ রাখতে পারেননি তানজিদ।
তাকে অবশ্য সপ্তম ওভারে শরিফুল দারুণ এক বলে বোল্ড করেন। ফেরেন ১২ রান করে।
ডি কককে ফেরাতে আগেভাগে মিরাজকে এনেছিলেন সাকিব। ডি কককে থামাতে না পারলেও ডুসেনের উইকেট পেয়ে যান তিনি। ৮ম ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট খুইয়ে তখন চাপে প্রোটিয়ারা।
ঠান্ডা মাথায় এইডেন মার্করামকে নিয়ে এই চাপ সয়ে যান ডি কক। রানের গতি বিন্দু মাত্র পড়তে দেননি। প্রান্ত বদলে দুইজনে ছিলেন চনমনে। আলগা বল পেলেও সীমানা ছাড়া করেছেন তড়িৎ।
কোনো সুযোগ না দিয়ে এগুতে থাকেন দুইজনেই। শুরুর চাপ সয়ে দাঁড়িয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। মাঝের ওভারে স্পিন-পেস মিলিয়ে বাংলাদেশ ব্রেক থ্রোর চেষ্টা করে গেছে টানা। অনিয়মিত বোলার মাহমুদুল্লাহকে দিয়েও চেষ্টা চালানো হয়েছে। মাঝের সময়টায় হতাশ করেছেন হাসান মাহমুদ। হাসানের বলে মার্করাম, ডি ককের চাপ সরে যাচ্ছিল। স্পিনাররাও ওই সময়টায় হয়ে পড়ছিলেন ধারহীন।
সাকিব তার প্রথম স্পেলে ছিলেন সাদামাটা, দ্বিতীয় স্পেলেও তাই। তবে উইকেট পেয়ে যান। ৩১তম ওভারে চিপ শটের মতো খেলতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় হয়ে লং অফে লিটন দাসের হাতে জমা পড়েন ৬৯ বলে ৬০ করা প্রোটিয়া কাপ্তান।
ডি কক কোনো সুযোগ না দিয়ে খানিক পরই স্পর্শ করেন টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এরপর হয়ে উঠেন আরও দুর্বার। সব বলেই খ্যাপাটের মতো ঘুরিয়েছেন এমন না। তাকে তেমন করতেও হয়নি। প্রতি ওভারেই একাধিক আলগা বল মিলেছে, সেসব কোনোটাই ছাড় দেননি। ভালো বলে আবার মর্যাদা দিয়েছেন পর্যাপ্ত।
হাসানের বলে তিনি যখন আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকার সাড়ে তিনশ’ অনায়াসে পার করার ভিত তখন পোক্ত। সেই সাড়ে তিনশ’কে আরও দূর ছাড়িয়ে নিয়ে যান ক্লাসেন-মিলার। তাদের চার-ছক্কার ঝড়ে শেষ দশ ওভারে চলে আসে ১৪৪ রান!
ডি’ককের ৫ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি
ভারতের কোহলিকে টপকে গেলেন কুইন্টন ডি’কক। আগের ম্যাচে রোহিত শর্মাকে টপকে গিয়েছিলেন ভিরাট। এবার তাকে টপকে সব থেকে বেশি রানের তালিকায় শীর্ষে ডি’কক। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপে তিনটি শতরান করে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি ব্যাটার।
কোহলি পাঁচটি ম্যাচে করেছেন ৩৫৪ রান। মঙ্গলবার ডি’কক ১৪০ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস খেলে সেই রান টপকালেন তিনি। ৫ ম্যাচে ডি’কক করেছেন ৪০৭ রান। তিন নম্বরে রয়েছেন রোহিত। তিনি পাঁচ ম্যাচে ৩১১ রান করেছেন। বিরাট এবং রোহিত একটি করে শতরান করলেও ডি’কক করেছেন তিনটি। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম দুটি ম্যাচেই শতরান করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে ডি’কক জানিয়েছিলেন যে, এই প্রতিযোগিতা শেষে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। গত বছরই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ডি’কক। এবার একদিনের ক্রিকেটও ছাড়তে চলেছেন তিনি। তার আগে ডি’কক যে ফর্ম দেখাচ্ছেন, তাতে খেলা ছাড়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা দল তার অভাব যথেষ্ট অনুভব করবে। কিন্তু তিনি টেস্টের পর এক দিনের ক্রিকেটও ছেড়ে টি-২০’তে মন দিতে চান।
এ বারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচ ছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ১০০ রান করেছিলেন ডি’কক। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করেছিলেন ১০৯ রান।