স্কোর : অস্ট্রেলিয়া ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮; নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩৮৩/৯। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৫ রানে জয়ী।
চলতি বিশ্বকাপের এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ রানে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো।
গতকাল ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়ার ৩৮৮ রানে জবাবে ম্যাচের শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। মিচেল স্টার্কের প্রথম বলে সিঙ্গেল রানের পর, দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ওয়াইড ও চার মিলিয়ে জয়ের স্বপ্ন চাঙা হয় কিউইদের। পরবর্তী দুই বলে নিশামের দুটি শটই ছিল চারের বাউন্ডারি পাওয়ার মতো। অজি ফিল্ডাররা দারুণ প্রচেষ্টায় দুই দফায় সেখানে দুটি করে রান ঠেকিয়েছেন। শেষ তিন বলে ৩ রান নিতেই এক উইকেট হারানোয় আর বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়নি টম লাথামের দলের।
জয় থেকে ৫ কদম দূরত্বে নিউজিল্যান্ড থেমেছে ৩৮৩ রানে। এদিন দুইদল মিলে তোলে ৭৭১ রান। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। চলতি আসরেই দিল্লিতে বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ ৭৫৪ তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা। তাদের সেই রেকর্ড গতকাল কামিন্স-রবীন্দ্ররা ছাড়িয়ে যান।
টানা দুই হারে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়া এ নিয়ে পরবর্তী চার ম্যাচেই জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে শঙ্কা ছাপিয়ে তারাও সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো। এদিন আগে ব্যাট করে কিউই বোলারদের ওপর রীতিমতো তা-ব চালিয়েছে অজি ব্যাটাররা। শুরু থেকেই বোলারদের চোখেমুখে অন্ধকার ছড়িয়ে তাদের দৌড়টি ছিল সাড়ে চারশ’র দিকে। ১০ ওভারে একশ এবং ২৩ ওভারে দুইশ রানের পর সেই লাগাম কিছুটা হলেও টেনে ধরেন গ্লেন ফিলিপস ও ট্রেন্ট বোল্টরা। শেষ পর্যন্ত ট্রেভিস হেডের সেঞ্চুরি ও ডেভিড ওয়ার্নারের ৮১ রানে ভর করে অস্ট্রেলিয়া বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৩১ বলেই পঞ্চাশ তুলে ফেলেন দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। তবে জশ হ্যাজলউড পরপর দুই ওভারে দুজনকে বিদায় করে দিলে নিউজিল্যান্ডের রানের গতি কিছুটা কমে আসে। এরপর নিউজিল্যান্ডকে মূলত জয়ের পথে ধরে রাখেন রাচিন রবীন্দ্র। তিনে নামা এই বাঁ-হাতি ব্যাটার প্রথমে ড্যারিল মিচেল, এরপর অধিনায়ক টম ল্যাথামকে নিয়ে দুটি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন।
সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখলেও একপ্রান্তে রবীন্দ্র টিকেছিলেন ৪১তম ওভার পর্যন্ত। উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা এই বাঁ-হাতি এই দফায় থামেন ১১৬ রানে। প্যাট কামিন্সকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। তার আগে ৮৯ বলের ইনিংসটিতে মারেন ৯টি চার ও ৫টি ছয়। বিদায়ের আগে রবীন্দ্র কিউইদের হয়ে বিশ্বকাপে দ্রুততম (৭৭ বল) সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন।
রবীন্দ্র আউট হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডকে শেষের রোমাঞ্চে নিয়ে যান নিশাম। রান আউট হওয়ার আগে ৩টি করে চার ও ছয়ে ৩৯ বলে ৫৮ রান করে যান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। এছাড়া ৫১ বলে ৫৪ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা, এছাড়া দুটি করে শিকার করে হ্যাজলউড ও কামিন্স।
এর আগে দিনের শুরুতে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ৩৮৮ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। শেষ দিকে এক ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে থামিয়ে দেন মূলত ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া গ্লেন ফিলিপস নেন তিনটি উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার চারশ’র আক্ষেপ থাকলেও তাদের ইনিংসটি ধর্মশালায় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে। ওয়ানডেতে এই মাঠে আগের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ইংল্যান্ডের, বাংলাদেশের বিপক্ষে কদিন আগে ৩৬৪ রান করেছিল জস বাটলাররা।
স্কোর : অস্ট্রেলিয়া ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮; নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩৮৩/৯। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৫ রানে জয়ী।
শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
চলতি বিশ্বকাপের এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ রানে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো।
গতকাল ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়ার ৩৮৮ রানে জবাবে ম্যাচের শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। মিচেল স্টার্কের প্রথম বলে সিঙ্গেল রানের পর, দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ওয়াইড ও চার মিলিয়ে জয়ের স্বপ্ন চাঙা হয় কিউইদের। পরবর্তী দুই বলে নিশামের দুটি শটই ছিল চারের বাউন্ডারি পাওয়ার মতো। অজি ফিল্ডাররা দারুণ প্রচেষ্টায় দুই দফায় সেখানে দুটি করে রান ঠেকিয়েছেন। শেষ তিন বলে ৩ রান নিতেই এক উইকেট হারানোয় আর বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়নি টম লাথামের দলের।
জয় থেকে ৫ কদম দূরত্বে নিউজিল্যান্ড থেমেছে ৩৮৩ রানে। এদিন দুইদল মিলে তোলে ৭৭১ রান। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। চলতি আসরেই দিল্লিতে বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ ৭৫৪ তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা। তাদের সেই রেকর্ড গতকাল কামিন্স-রবীন্দ্ররা ছাড়িয়ে যান।
টানা দুই হারে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়া এ নিয়ে পরবর্তী চার ম্যাচেই জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে শঙ্কা ছাপিয়ে তারাও সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো। এদিন আগে ব্যাট করে কিউই বোলারদের ওপর রীতিমতো তা-ব চালিয়েছে অজি ব্যাটাররা। শুরু থেকেই বোলারদের চোখেমুখে অন্ধকার ছড়িয়ে তাদের দৌড়টি ছিল সাড়ে চারশ’র দিকে। ১০ ওভারে একশ এবং ২৩ ওভারে দুইশ রানের পর সেই লাগাম কিছুটা হলেও টেনে ধরেন গ্লেন ফিলিপস ও ট্রেন্ট বোল্টরা। শেষ পর্যন্ত ট্রেভিস হেডের সেঞ্চুরি ও ডেভিড ওয়ার্নারের ৮১ রানে ভর করে অস্ট্রেলিয়া বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৩১ বলেই পঞ্চাশ তুলে ফেলেন দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। তবে জশ হ্যাজলউড পরপর দুই ওভারে দুজনকে বিদায় করে দিলে নিউজিল্যান্ডের রানের গতি কিছুটা কমে আসে। এরপর নিউজিল্যান্ডকে মূলত জয়ের পথে ধরে রাখেন রাচিন রবীন্দ্র। তিনে নামা এই বাঁ-হাতি ব্যাটার প্রথমে ড্যারিল মিচেল, এরপর অধিনায়ক টম ল্যাথামকে নিয়ে দুটি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন।
সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখলেও একপ্রান্তে রবীন্দ্র টিকেছিলেন ৪১তম ওভার পর্যন্ত। উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা এই বাঁ-হাতি এই দফায় থামেন ১১৬ রানে। প্যাট কামিন্সকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। তার আগে ৮৯ বলের ইনিংসটিতে মারেন ৯টি চার ও ৫টি ছয়। বিদায়ের আগে রবীন্দ্র কিউইদের হয়ে বিশ্বকাপে দ্রুততম (৭৭ বল) সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন।
রবীন্দ্র আউট হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডকে শেষের রোমাঞ্চে নিয়ে যান নিশাম। রান আউট হওয়ার আগে ৩টি করে চার ও ছয়ে ৩৯ বলে ৫৮ রান করে যান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। এছাড়া ৫১ বলে ৫৪ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা, এছাড়া দুটি করে শিকার করে হ্যাজলউড ও কামিন্স।
এর আগে দিনের শুরুতে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ৩৮৮ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। শেষ দিকে এক ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে থামিয়ে দেন মূলত ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া গ্লেন ফিলিপস নেন তিনটি উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার চারশ’র আক্ষেপ থাকলেও তাদের ইনিংসটি ধর্মশালায় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে। ওয়ানডেতে এই মাঠে আগের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ইংল্যান্ডের, বাংলাদেশের বিপক্ষে কদিন আগে ৩৬৪ রান করেছিল জস বাটলাররা।