শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে হার দিয়ে। শেষও হলো একই ফলাফল দিয়ে।
কিন্তু এর মাঝে বিশ্বকাপে রূপকথার গল্প লিখেছে আফগানিস্তান। গত আসরে একটি জয়ও না পাওয়া দলটি এবার আসরে জয় পেয়েছে চারটিতে। শুধু তা-ই নয়, হারিয়েছে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে। যদিও শেষটা প্রত্যাশামতো হয়নি। তবে সেখানেও ছিল লড়াইয়ের ছাপ।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আফগানদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করে আফগানিস্তান। ধীরগতির শুরু করেন আফগান দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তাদের ৪৯ বলে ৪১ রানের জুটি ভেঙে যায় গুরবাজ বিদায় নিলে। ২২ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারেই ১৫ রান করে উইকেট হারান আরেক ওপেনার ইব্রাহিম। চারে নেমে ২ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। তিনে নামা রহমত শাহ করেন ২৬ রান।
পাঁচে নেমে লড়াই চালাতে থাকেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অপরপ্রান্তে একে একে বিদায় নেন ইকরাম (১২), মোহাম্মদ নবি (২) ও রশিদ খান (১২)। এরপর ওমরজাইকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন নুর আহমাদ। গড়েন ৪৪ রানের জুটি। নুরকে ২৬ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জেরাল্ড কোজি। শেষদিকে মুজিব ও নাভিন বিদায় নিলেও টিকে থাকেন ওমরজাই। ৭১ বলে ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটার ১০৭ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১০ ওভারে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন কোজি। দুইটি করে শিকার ধরেন লুঙ্গি এনগিদি ও কেশভ মহারাজ।
জবাবে দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয় দারুণ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। কিন্তু এরপরই ম্যাচে ফিরতে শুরু করে আফগানিস্তান। ২৩ রান করা টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি ককও এরপর বেশি দূর যেতে পারেননি। নবির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ৪১ রানে বিদায় নেন তিনি।
কিছুটা বিরতি দিয়ে এইডেন মারক্রাম, হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারকে হারালে চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রাসি ফন ডার ডুসেন ও আন্দিলে ফেলুকায়ো। তাতে ১৫ বল হাতে থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন তারা। ৩৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফেলুকায়ো। আরেক প্রান্তে ৯৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন ডুসেন। আফগানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নবি ও রশিদ।
শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে হার দিয়ে। শেষও হলো একই ফলাফল দিয়ে।
কিন্তু এর মাঝে বিশ্বকাপে রূপকথার গল্প লিখেছে আফগানিস্তান। গত আসরে একটি জয়ও না পাওয়া দলটি এবার আসরে জয় পেয়েছে চারটিতে। শুধু তা-ই নয়, হারিয়েছে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে। যদিও শেষটা প্রত্যাশামতো হয়নি। তবে সেখানেও ছিল লড়াইয়ের ছাপ।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আফগানদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করে আফগানিস্তান। ধীরগতির শুরু করেন আফগান দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তাদের ৪৯ বলে ৪১ রানের জুটি ভেঙে যায় গুরবাজ বিদায় নিলে। ২২ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারেই ১৫ রান করে উইকেট হারান আরেক ওপেনার ইব্রাহিম। চারে নেমে ২ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। তিনে নামা রহমত শাহ করেন ২৬ রান।
পাঁচে নেমে লড়াই চালাতে থাকেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অপরপ্রান্তে একে একে বিদায় নেন ইকরাম (১২), মোহাম্মদ নবি (২) ও রশিদ খান (১২)। এরপর ওমরজাইকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন নুর আহমাদ। গড়েন ৪৪ রানের জুটি। নুরকে ২৬ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জেরাল্ড কোজি। শেষদিকে মুজিব ও নাভিন বিদায় নিলেও টিকে থাকেন ওমরজাই। ৭১ বলে ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটার ১০৭ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১০ ওভারে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন কোজি। দুইটি করে শিকার ধরেন লুঙ্গি এনগিদি ও কেশভ মহারাজ।
জবাবে দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয় দারুণ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। কিন্তু এরপরই ম্যাচে ফিরতে শুরু করে আফগানিস্তান। ২৩ রান করা টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি ককও এরপর বেশি দূর যেতে পারেননি। নবির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ৪১ রানে বিদায় নেন তিনি।
কিছুটা বিরতি দিয়ে এইডেন মারক্রাম, হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারকে হারালে চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রাসি ফন ডার ডুসেন ও আন্দিলে ফেলুকায়ো। তাতে ১৫ বল হাতে থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন তারা। ৩৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফেলুকায়ো। আরেক প্রান্তে ৯৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন ডুসেন। আফগানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নবি ও রশিদ।