তীর্থের কাকের মতো চেয়ে থাকার পর ভালো শুরুটা অবশেষে পেলো বাংলাদেশ। কিন্তু কোনো ব্যাটারই লম্বা করতে পারলেন না ইনিংস।
মাঝে দুই রান আউটে গতিপথ হারায় ইনিংস। অনেকক্ষণ ব্যাটিং করা তাওহীদ হৃদয়ও ইনিংস শেষ করতে পারেননি। তবে শেষদিকে ব্যাটারদের ছোট ছোট ইনিংসে ৩০০ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতের পুনেতে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে অজিদের সামনে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ, যেটি নিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভুগছিল দল। এই পুনেতেই ভারতের বিপক্ষে ৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটি মিলেছিল, এরপর দ্বিতীয়বারের মতো এই জুটি পেরোয় পঞ্চাশ। দুই ওপেনারই অবশ্য সাজঘরে ফিরেছেন হতাশাকে সঙ্গী করে। শুরুটা হয় তানজিদ হাসান তামিমকে দিয়ে।
দারুণ কিছু শট খেলার পর ৩৪ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। শন অ্যাবটের বাউন্সার বুঝতে পারেননি তানজিদ, ক্যাচ দেন বোলার অ্যাবটের হাতেই। একই রান করে জাম্পার বলে আউট হন লিটন দাস। ৫ চারে ৪৫ বলে ৩৬ রান করে জাম্পার বলে জোর না দিয়ে লং অফে তুলে মারেন লিটন। ক্যাচ দেন লাবুশেনের হাতে।
এরপর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের জুটিতে ভর করে বড় রানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু তার শেষটাও হয় হতাশায়। ২৮তম ওভারের পঞ্চম বল স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে দৌড় শুরু করেন শান্ত ও হৃদয়। দুজন বেশ কিছুক্ষণ ধরেই রান নেওয়ার জন্য বেশ তাড়াহুড়ো করছিলেন।
ওই বলটিতে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে আউট হন শান্ত। স্কয়ার লেগ থেকে করা লাবুশেনের দারুণ থ্রোতে দ্রুত স্টাম্প ভাঙেন উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ। ৬ চারে ৫৭ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় শান্তকে।
এরপর হৃদয়ের জুটির সঙ্গী হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের জুটিতে ৪৪ রান আসে। এবারও সেই রান আউটে শেষ হয় জুটি, লাবুশেন থাকেন এখানেও। হৃদয় বল কাভারে পাঠান, এরপর রানের জন্য দৌড় শুরু করেন দুজন। কিন্তু নন স্ট্রাইক থেকে দৌড়ে আসা রিয়াদ যতক্ষণে ঝাপিয়ে দাগ ছুন, ততক্ষণে আন্ডার আর্ম থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন লাবুশেন। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ বলে ৩২ রান করেন রিয়াদ। বিশ্বকাপের শেষ ইনিংসে রান আউট হয়ে হতাশা নিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন তিনি।
মুশফিকুর রহিমও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি খুব বেশি দূর। ২৪ বলে ১ ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি। অনেক্ষণ ক্রিজে থাকা হৃদয়ও ইনিংস শেষ করতে পারেননি। শুরুতে বলের চেয়ে বেশি রান করা এই ব্যাটার পরে স্ট্রাইক রেটও একশর নিচে নিয়ে আসেন। বিশ্বকাপে তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস থামে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৯ বলে ৭৪ রান করে। স্টয়নিসের বলে লাবুশেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর ব্যক্তিগত ২৯ রানে থামেন সাতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষদিকে আরেক রানআউটের শিকার হন নাসুম আহমেদ (৭)।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার শন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা পান ২টি করে উইকেট। বাকি উইকেট স্টয়নিসের।
শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
তীর্থের কাকের মতো চেয়ে থাকার পর ভালো শুরুটা অবশেষে পেলো বাংলাদেশ। কিন্তু কোনো ব্যাটারই লম্বা করতে পারলেন না ইনিংস।
মাঝে দুই রান আউটে গতিপথ হারায় ইনিংস। অনেকক্ষণ ব্যাটিং করা তাওহীদ হৃদয়ও ইনিংস শেষ করতে পারেননি। তবে শেষদিকে ব্যাটারদের ছোট ছোট ইনিংসে ৩০০ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতের পুনেতে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে অজিদের সামনে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ, যেটি নিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভুগছিল দল। এই পুনেতেই ভারতের বিপক্ষে ৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটি মিলেছিল, এরপর দ্বিতীয়বারের মতো এই জুটি পেরোয় পঞ্চাশ। দুই ওপেনারই অবশ্য সাজঘরে ফিরেছেন হতাশাকে সঙ্গী করে। শুরুটা হয় তানজিদ হাসান তামিমকে দিয়ে।
দারুণ কিছু শট খেলার পর ৩৪ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। শন অ্যাবটের বাউন্সার বুঝতে পারেননি তানজিদ, ক্যাচ দেন বোলার অ্যাবটের হাতেই। একই রান করে জাম্পার বলে আউট হন লিটন দাস। ৫ চারে ৪৫ বলে ৩৬ রান করে জাম্পার বলে জোর না দিয়ে লং অফে তুলে মারেন লিটন। ক্যাচ দেন লাবুশেনের হাতে।
এরপর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের জুটিতে ভর করে বড় রানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু তার শেষটাও হয় হতাশায়। ২৮তম ওভারের পঞ্চম বল স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে দৌড় শুরু করেন শান্ত ও হৃদয়। দুজন বেশ কিছুক্ষণ ধরেই রান নেওয়ার জন্য বেশ তাড়াহুড়ো করছিলেন।
ওই বলটিতে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে আউট হন শান্ত। স্কয়ার লেগ থেকে করা লাবুশেনের দারুণ থ্রোতে দ্রুত স্টাম্প ভাঙেন উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ। ৬ চারে ৫৭ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় শান্তকে।
এরপর হৃদয়ের জুটির সঙ্গী হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের জুটিতে ৪৪ রান আসে। এবারও সেই রান আউটে শেষ হয় জুটি, লাবুশেন থাকেন এখানেও। হৃদয় বল কাভারে পাঠান, এরপর রানের জন্য দৌড় শুরু করেন দুজন। কিন্তু নন স্ট্রাইক থেকে দৌড়ে আসা রিয়াদ যতক্ষণে ঝাপিয়ে দাগ ছুন, ততক্ষণে আন্ডার আর্ম থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন লাবুশেন। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ বলে ৩২ রান করেন রিয়াদ। বিশ্বকাপের শেষ ইনিংসে রান আউট হয়ে হতাশা নিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন তিনি।
মুশফিকুর রহিমও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি খুব বেশি দূর। ২৪ বলে ১ ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি। অনেক্ষণ ক্রিজে থাকা হৃদয়ও ইনিংস শেষ করতে পারেননি। শুরুতে বলের চেয়ে বেশি রান করা এই ব্যাটার পরে স্ট্রাইক রেটও একশর নিচে নিয়ে আসেন। বিশ্বকাপে তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস থামে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৯ বলে ৭৪ রান করে। স্টয়নিসের বলে লাবুশেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর ব্যক্তিগত ২৯ রানে থামেন সাতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষদিকে আরেক রানআউটের শিকার হন নাসুম আহমেদ (৭)।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার শন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা পান ২টি করে উইকেট। বাকি উইকেট স্টয়নিসের।