স্কোর:বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৩০৬/৮; অস্ট্রেলিয়া ৪৪.৪ ওভারে ৩০৭/২। ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
জয় দিয়ে এবারের মিশন শুরু করা বাংলাদেশ; হার দিয়ে শেষ করলো ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩০৭ রানের টার্গেট দিয়েও লড়াই জমাতে পারলো না বাংলাদেশ। বোলারদের সাদামাটা পারফরম্যান্সে হার দিয়ে শেষ হলো তাদের বিশ্বকাপ। মিচেল মার্শ শতরান করেন। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের কাছ থেকে পেলেন উপযুক্ত সঙ্গ। তাতে করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার আগে উজ্জীবিত হওয়ার মতো জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটে তারা হারিয়েছে বাংলাদেশকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করে ছিল সাকিব আল হানের দল। পুনেতে ৪৪.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৩০৭ রান করে অজিরা। অস্ট্রেলিয়া তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতলো ৪৫তম ওভারেই।
৯ ম্যাচে ২ জয় ও ৭ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে থাকলো বাংলাদেশ। তারপরও ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হয়নি। রোববার ভারত-নেদারল্যান্ডসের ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য।
সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের দুটি জয় এসেছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
গতকাল প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৬ রান করে বাংলাদেশ। ৭৯ বলে ৭৪ রান করেন তাওহিদ হৃদয়।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ইনজুরি আক্রান্ত নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লেতে ৬২ রান তুলেন তারা। এবারের বিশ^কাপে এই নিয়ে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির উদ্বোধনী জুটি পেল টাইগাররা। এর আগে এই পুনেতেই ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রান তুলেছিলেন তানজিদ ও লিটন।
১২তম ওভারে পেসার অ্যাবটের বাউন্সার সামলাতে না পেরে বোলারকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৬টি চারে ৩৪ বলে ৩৬ রান করা তানজিদ। দলীয় ৭৬ রানে তানজিদ ফেরার পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে দলের রান ১৬তম ওভারে ১শ পার করেন লিটন। ১৫তম ওভারে স্পিনার এডাম জাম্পার বলে অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্সের হাতে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে জীবন পান লিটন। তবে জীবন পেয়ে বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। সেই জাম্পার বলে লং অনে লাবুশেনকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৫টি চারে ৪৫ বলে ৩৬ রান করা লিটন। শান্ত-লিটন যোগ করেন ৩০ রান।
লিটনের বিদায়ে ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন হৃদয়। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন তারা। উইকেটে সেট হয়ে দলের বড় স্কোরের ভিত গড়তে থাকেন শান্ত ও হৃদয়। হাফ-সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছেও যান শান্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্য শান্তর। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে লাবুশেনের দারুণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকে ৬টি বাউন্ডারিতে ৫৭ বলে ৪৫ রান আসে। তৃতীয় উইকেটে দলকে ৬৬ বলে ৬৩ রান উপহার দেন শান্ত-হৃদয়।
এরপর মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক ও মিরাজকে নিয়ে বড় জুটির চেষ্টা করেন হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৪৮ বলে ৪৪ রানের জুটিতে ৩২তম ওভারে ২০০ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা মাহমুদউল্লাহ ৩টি ছক্কাও আদায় করে নেন। কিন্তু আবারও লাবুশেনের দারুণ ফিল্ডিংয়ে শেষ হয় মাহমুদউল্লাহর ২৮ বলে ৩২ রানের জুটিটি। তার ইনিংসে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো।
পঞ্চম উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ৩৯ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়ার পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়। এই জুটিতে দলের রান আড়াইশ’ পার করে থামেন মুশি। জাম্পার বলে মিড উইকেটে কামিন্সকে ক্যাচ দেন ১টি ছক্কায় ২৪ বলে ২১ রান করা মুশফিক। এই শিকারে শ্রীলঙ্কার মাদুশঙ্কাকে সরিয়ে এই বিশ^কাপে সর্বোচ্চ ২২ উইকেটের মালিক হন জাম্পা। সেই সঙ্গে ব্র্যাড হগকে সরিয়ে এক আসরে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হলেন জাম্পা।
৪৩তম ওভারে দলীয় ২৫১ রানে মুশফিক ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন হৃদয়। নিজের ইনিংসটাও বড় করছিলেন তিনি। কিন্তু ৪৭তম ওভারে পেসার মার্কাস স্টয়নিসের বলে মিড উইকেটে লাবুশেনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৯ বলে ৭৪ রান করা হৃদয়।
শেষদিকে মিরাজের ২০ বলে ৪টি বাউন্ডারিতে ২৯ রানের সুবাদে ৩০০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৬ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। এবারের বিশ^কাপে প্রথমবারের মত ৩০০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ। এই নিয়ে পঞ্চমবার বিশ^কাপের মঞ্চে ৩০০ রানের দেখা পেল টাইগাররা। বিশ^কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাবট-জাম্পা ২টি করে এবং স্টয়নিস ১টি উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়ে তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ১০ রান করা হেডকে বোল্ড করেন তাসকিন। শুরুর ধাক্কায় ভড়কে না গিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে খেলায় ফেরান আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। ১২০ রানের শক্ত জুটি ভেঙে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দেন মোস্তাফিজ। ওয়ার্নার ৫৩ রান করে থামেন। মার্শ ও স্মিথ জুটি বাঁধলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিশ্বকাপের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিকে দেড়শর ঘরে নেন মার্শ। হাফ সেঞ্চুরি করেন স্মিথ। দুজনের ১৭৫ রানের শক্ত জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। ১৩২ বলে ১৭ চার ও ৯ ছয়ে ১৭৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা মার্শ। স্মিথ ৬৪ বল খেলে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তাসকিন ও মোস্তাফিজ ৭৬ রানে ১টি করে উইকেট নেন।
স্কোর:বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৩০৬/৮; অস্ট্রেলিয়া ৪৪.৪ ওভারে ৩০৭/২। ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
জয় দিয়ে এবারের মিশন শুরু করা বাংলাদেশ; হার দিয়ে শেষ করলো ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩০৭ রানের টার্গেট দিয়েও লড়াই জমাতে পারলো না বাংলাদেশ। বোলারদের সাদামাটা পারফরম্যান্সে হার দিয়ে শেষ হলো তাদের বিশ্বকাপ। মিচেল মার্শ শতরান করেন। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের কাছ থেকে পেলেন উপযুক্ত সঙ্গ। তাতে করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার আগে উজ্জীবিত হওয়ার মতো জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটে তারা হারিয়েছে বাংলাদেশকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করে ছিল সাকিব আল হানের দল। পুনেতে ৪৪.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৩০৭ রান করে অজিরা। অস্ট্রেলিয়া তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতলো ৪৫তম ওভারেই।
৯ ম্যাচে ২ জয় ও ৭ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে থাকলো বাংলাদেশ। তারপরও ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হয়নি। রোববার ভারত-নেদারল্যান্ডসের ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য।
সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের দুটি জয় এসেছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
গতকাল প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৬ রান করে বাংলাদেশ। ৭৯ বলে ৭৪ রান করেন তাওহিদ হৃদয়।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ইনজুরি আক্রান্ত নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লেতে ৬২ রান তুলেন তারা। এবারের বিশ^কাপে এই নিয়ে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির উদ্বোধনী জুটি পেল টাইগাররা। এর আগে এই পুনেতেই ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রান তুলেছিলেন তানজিদ ও লিটন।
১২তম ওভারে পেসার অ্যাবটের বাউন্সার সামলাতে না পেরে বোলারকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৬টি চারে ৩৪ বলে ৩৬ রান করা তানজিদ। দলীয় ৭৬ রানে তানজিদ ফেরার পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে দলের রান ১৬তম ওভারে ১শ পার করেন লিটন। ১৫তম ওভারে স্পিনার এডাম জাম্পার বলে অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্সের হাতে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে জীবন পান লিটন। তবে জীবন পেয়ে বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। সেই জাম্পার বলে লং অনে লাবুশেনকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৫টি চারে ৪৫ বলে ৩৬ রান করা লিটন। শান্ত-লিটন যোগ করেন ৩০ রান।
লিটনের বিদায়ে ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন হৃদয়। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন তারা। উইকেটে সেট হয়ে দলের বড় স্কোরের ভিত গড়তে থাকেন শান্ত ও হৃদয়। হাফ-সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছেও যান শান্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্য শান্তর। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে লাবুশেনের দারুণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকে ৬টি বাউন্ডারিতে ৫৭ বলে ৪৫ রান আসে। তৃতীয় উইকেটে দলকে ৬৬ বলে ৬৩ রান উপহার দেন শান্ত-হৃদয়।
এরপর মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক ও মিরাজকে নিয়ে বড় জুটির চেষ্টা করেন হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৪৮ বলে ৪৪ রানের জুটিতে ৩২তম ওভারে ২০০ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা মাহমুদউল্লাহ ৩টি ছক্কাও আদায় করে নেন। কিন্তু আবারও লাবুশেনের দারুণ ফিল্ডিংয়ে শেষ হয় মাহমুদউল্লাহর ২৮ বলে ৩২ রানের জুটিটি। তার ইনিংসে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো।
পঞ্চম উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ৩৯ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়ার পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়। এই জুটিতে দলের রান আড়াইশ’ পার করে থামেন মুশি। জাম্পার বলে মিড উইকেটে কামিন্সকে ক্যাচ দেন ১টি ছক্কায় ২৪ বলে ২১ রান করা মুশফিক। এই শিকারে শ্রীলঙ্কার মাদুশঙ্কাকে সরিয়ে এই বিশ^কাপে সর্বোচ্চ ২২ উইকেটের মালিক হন জাম্পা। সেই সঙ্গে ব্র্যাড হগকে সরিয়ে এক আসরে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হলেন জাম্পা।
৪৩তম ওভারে দলীয় ২৫১ রানে মুশফিক ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন হৃদয়। নিজের ইনিংসটাও বড় করছিলেন তিনি। কিন্তু ৪৭তম ওভারে পেসার মার্কাস স্টয়নিসের বলে মিড উইকেটে লাবুশেনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৯ বলে ৭৪ রান করা হৃদয়।
শেষদিকে মিরাজের ২০ বলে ৪টি বাউন্ডারিতে ২৯ রানের সুবাদে ৩০০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৬ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। এবারের বিশ^কাপে প্রথমবারের মত ৩০০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ। এই নিয়ে পঞ্চমবার বিশ^কাপের মঞ্চে ৩০০ রানের দেখা পেল টাইগাররা। বিশ^কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাবট-জাম্পা ২টি করে এবং স্টয়নিস ১টি উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়ে তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ১০ রান করা হেডকে বোল্ড করেন তাসকিন। শুরুর ধাক্কায় ভড়কে না গিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে খেলায় ফেরান আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। ১২০ রানের শক্ত জুটি ভেঙে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দেন মোস্তাফিজ। ওয়ার্নার ৫৩ রান করে থামেন। মার্শ ও স্মিথ জুটি বাঁধলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিশ্বকাপের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিকে দেড়শর ঘরে নেন মার্শ। হাফ সেঞ্চুরি করেন স্মিথ। দুজনের ১৭৫ রানের শক্ত জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। ১৩২ বলে ১৭ চার ও ৯ ছয়ে ১৭৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা মার্শ। স্মিথ ৬৪ বল খেলে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তাসকিন ও মোস্তাফিজ ৭৬ রানে ১টি করে উইকেট নেন।