বিশ্বকাপে আশানুরূপ খেলতে পারেনি পাকিস্তান। আর এজন্য সবার অভিযোগ ছিল অধিনায়ক বাবর আজমের দিকে। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্তদের কাঠগড়ায় ছিলেন তিনি। গুঞ্জন ছিল বাবরকে অধিনায়ক আর রাখা হবে না। এমনকি বাবর না চাইলে তাকে সরিয়ে দেয়া হবে, এমন বক্তব্যও শোনা গিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে।
তবে সেসবের অপেক্ষা করলেন না এই ব্যাটার। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ তিন সংস্করণ থেকেই পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বাবর আজম। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানের পরবর্তী টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক হতে পারেন শান মাসুদ, টি-২০’র দায়িত্ব পেতে পারেন শাহিন আফ্রিদি।
২০১৯ সালে সাদা বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব পান বাবর আজম। এছাড়া ২০২১ সালে টেস্টের অধিনায়কত্ব দেয়া হয় তাকে।
চলতি বিশ্বকাপে দুই জয়ে শুরুর পরেও ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। টানা ম্যাচ হারে কঠিন হয়ে যায় তাদের অবস্থা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪ জয় নিয়ে বাদ পড়তে হয় তাদের। যদিও এই আসরে ব্যাট হাতে খুব একটা খারাপ করেননি বাবর। চার অর্ধশতক পেয়েছেন। তবে এই পারফরম্যান্স ঠিক বাবরসুলভ নয়। চারটি অর্ধশতক পেলেও একটাকেও শতক বানাতে পারেননি। দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়েছেন বেশ কয়েকবারই। সমালোচনার তীরেও তাই বার বার বিদ্ধ হতে হচ্ছে এই অধিনায়ককে।
অধিনায়কের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে এক টুইটার বার্তায় বাবর আজম লেখেন, ‘আমার স্পষ্টভাবে মনে আছে সেই মুহূর্তের কথা, ২০১৯ এ যেদিন আমাকে পিসিবি থেকে বার্তা দেয়া হয় পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবার। গত চার বছরে আমি মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। তবে আমি সবকিছুর বিনিময়ে পাকিস্তানের গর্ব ও সম্মান ধরে রাখাকে লক্ষ্য বানিয়েছিলাম।’
এরপরেই দলের সঙ্গে যুক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বাবর, ‘সাদা বলের ক্রিকেটে ১ নম্বরে উঠে যাওয়ায় অবদান আছে ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজমেন্ট সবার। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই প্যাশনেট পাকিস্তান ক্রিকেট সমর্থকদের, এই যাত্রায় তাদের সমর্থনের জন্য।’
অধিনায়কের পদ ছাড়লেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ২৯ বছরের এই ব্যাটার, ‘আজ আমি পাকিস্তানের ৩ ফরম্যাটের নেতৃত্বই ছেড়ে দিচ্ছি। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত, তবে আমি মনে করি এটাই সঠিক সময়। আমি পাকিস্তানকে ৩ ফরম্যাটেই ক্রিকেটার হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করব। আমি আমার অভিজ্ঞতা ও ডেডিকেশন দিয়ে নতুন অধিনায়ক ও দলকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে, আমাকে এই দায়িত্বের জন্য বিশ্বাস করাতে।’
বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
বিশ্বকাপে আশানুরূপ খেলতে পারেনি পাকিস্তান। আর এজন্য সবার অভিযোগ ছিল অধিনায়ক বাবর আজমের দিকে। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্তদের কাঠগড়ায় ছিলেন তিনি। গুঞ্জন ছিল বাবরকে অধিনায়ক আর রাখা হবে না। এমনকি বাবর না চাইলে তাকে সরিয়ে দেয়া হবে, এমন বক্তব্যও শোনা গিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে।
তবে সেসবের অপেক্ষা করলেন না এই ব্যাটার। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ তিন সংস্করণ থেকেই পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বাবর আজম। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানের পরবর্তী টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক হতে পারেন শান মাসুদ, টি-২০’র দায়িত্ব পেতে পারেন শাহিন আফ্রিদি।
২০১৯ সালে সাদা বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব পান বাবর আজম। এছাড়া ২০২১ সালে টেস্টের অধিনায়কত্ব দেয়া হয় তাকে।
চলতি বিশ্বকাপে দুই জয়ে শুরুর পরেও ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। টানা ম্যাচ হারে কঠিন হয়ে যায় তাদের অবস্থা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪ জয় নিয়ে বাদ পড়তে হয় তাদের। যদিও এই আসরে ব্যাট হাতে খুব একটা খারাপ করেননি বাবর। চার অর্ধশতক পেয়েছেন। তবে এই পারফরম্যান্স ঠিক বাবরসুলভ নয়। চারটি অর্ধশতক পেলেও একটাকেও শতক বানাতে পারেননি। দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়েছেন বেশ কয়েকবারই। সমালোচনার তীরেও তাই বার বার বিদ্ধ হতে হচ্ছে এই অধিনায়ককে।
অধিনায়কের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে এক টুইটার বার্তায় বাবর আজম লেখেন, ‘আমার স্পষ্টভাবে মনে আছে সেই মুহূর্তের কথা, ২০১৯ এ যেদিন আমাকে পিসিবি থেকে বার্তা দেয়া হয় পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবার। গত চার বছরে আমি মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। তবে আমি সবকিছুর বিনিময়ে পাকিস্তানের গর্ব ও সম্মান ধরে রাখাকে লক্ষ্য বানিয়েছিলাম।’
এরপরেই দলের সঙ্গে যুক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বাবর, ‘সাদা বলের ক্রিকেটে ১ নম্বরে উঠে যাওয়ায় অবদান আছে ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজমেন্ট সবার। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই প্যাশনেট পাকিস্তান ক্রিকেট সমর্থকদের, এই যাত্রায় তাদের সমর্থনের জন্য।’
অধিনায়কের পদ ছাড়লেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ২৯ বছরের এই ব্যাটার, ‘আজ আমি পাকিস্তানের ৩ ফরম্যাটের নেতৃত্বই ছেড়ে দিচ্ছি। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত, তবে আমি মনে করি এটাই সঠিক সময়। আমি পাকিস্তানকে ৩ ফরম্যাটেই ক্রিকেটার হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করব। আমি আমার অভিজ্ঞতা ও ডেডিকেশন দিয়ে নতুন অধিনায়ক ও দলকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে, আমাকে এই দায়িত্বের জন্য বিশ্বাস করাতে।’