চলমান বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। পুরো আসর জুড়েই ব্যাটিং ও বোলিংয়ে সমান আধিপত্য দেখানো ভারত মুম্বাইয়ের সেমিফাইনালে নিজেদের সেই জোড়ালো পারফরমেন্স থেকে কিছুটা হলেও সড়ে গিয়েছিল। যদিও ৭০ রানে তারা কিউইদের পরাজিত করেছে।
পরাজয়ের ব্যবধানটা যথেষ্ট বড় হলেও অধিনায়ক রোহিত শর্মা স্বীকার করেছেন এটাই এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলা সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ ছিল। আর এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে ফাইনালে কাজে লাগাতে চায় ভারত।
ম্যাচ শেষে স্টার স্পোর্টসকে রোহিত বলেন, ‘নতুন বলে যেভাবে আমাদের বোলাররা সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে তাতে তাদের প্রশংসা করতেই হয়। ৩৯৭ রান করার পর বোলারদের দায়িত্ব ছিল দ্রুত উইকেট তুলে নেয়া, তারা সেটাই করেছে। আমি এ কথা বলবো না যে আমরা চাপে ছিলাম না। যেকোন ম্যাচেই চাপ থাকে, আর এটাতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। কিন্তু আমি মনে করি ছেলেরা দারুণ খেলেছে। সত্যি কথা বলতে কি আমরা সেমিফাইনাল ম্যাচটিকে ততটা গণনা করিনি, এই ম্যাচটি নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তা করিনি। আমরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেয়েছি, যা আমরা গত নয় ম্যাচে করে দেখিয়েছি। সবকিছুই আসলে স্বাভাবিকভাবেই এসেছে।’
নিউজিল্যান্ডকে বড় টার্গেট দিলেও এক সময় ভারত বেশ চাপ অনুভব করে। মিচেল ও উইলিয়ামসন তৃতীয় উইকেটে ১৪৯ বলে ১৮১ রানে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। তাদের এই জুটিতে পুরো ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম নিশ্চুপ হয়ে যায়। মিচেল ৮৫ বলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন, উইলিয়ামসন করেন হাফ-সেঞ্চুরি।
মোহাম্মদ সামির বলে উইলিয়ামসন একবার জীবন ফিরে পান। এরপর তাকে রান আউটের সুযোগও হাতছাড়া করে ভারত। ওই সময় নিউজিল্যান্ড রান সংগ্রহের দিক থেকে বেশ দাপট দেখাচ্ছিল। কিন্তু প্রথম দুই উইকেট তুলে নেয়া সামি ৩৩তম ওভারে পুনরায় বোলিংয়ে ফিরে এসে উইলিয়ামসনের উইকেট তুলে নেন, যা ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
রোহিত বলেন, ‘আস্কিং রেট যখন ৯-এর উপরে ছিল তখন সুযোগ নিতেই হতো। কখনো কখনো সেটা কাজে লেগেছে, কখনো লাগেনি। তারা আমাদের সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। মিডল অর্ডারে মিচেল ও উইলিয়ামসন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। আমাদের জন্য শান্ত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একপর্যায়ে পুরো স্টেডিয়াম নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এটাই ম্যাচের প্রকৃতি। কিন্তু আমরা জানতাম নিজেদের ফিরিয়ে আনার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে। হয় একটি ভালো ক্যাচ, অথবা রান আউট অথবা ম্যাজিক ডেলিভারি, যেকোনো একটা লাগবে। ব্রেকথ্রু এনে দেয়ার জন্য আমরা সবকিছু চেষ্টা করেছি। কিন্তু আবারও বলবো সামি দুর্দান্ত বোলিং করেছে।
ওয়াংখেড়েতে আমি অনেক ক্রিকেট খেলেছি। সেই কারণেই আমি জানি যেকোনো স্কোরই এখানে নিরাপদ নয়। একটা পর্যায়ে আমাদের ওপর সেই চাপ এসেছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে সামি আমাদের জন্য সঠিক কাজ করেছে। ফিল্ডিংয়ে কিছুটা ভুল করলেও আমরা শান্ত ছিলাম। কিন্তু দিনের শেষে সবকিছু সঠিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।’
ওয়াংখেড়ে সবসময়ই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হিসেবে পরিচিত। রোহিত বলেন, ‘টপ অর্ডারে পাঁচ-ছয়জন ব্যাটার যখনই সুযোগ পেয়েছে ভালো শট খেলেছে। বিশেষ করে শ্রেয়াসের কথা আমি আলাদা করে কলবো। গিলও ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে ইনজুরির কারণে গিলকে ফিরে যেতে হয়েছে। কোহলি অসাধারণ খেলেছে। আসাধারণ ইনিংসের মাধ্যমে ট্রেডমার্ক মাইলফলক সেই অর্জণ করেছে। সব মিলিয়ে ব্যাটিংয়ে আমরা দুর্দান্ত ছিলাম। এভাবে আমরা শেষ ম্যাচটাতেও নিজেদের প্রমাণ করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
চলমান বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। পুরো আসর জুড়েই ব্যাটিং ও বোলিংয়ে সমান আধিপত্য দেখানো ভারত মুম্বাইয়ের সেমিফাইনালে নিজেদের সেই জোড়ালো পারফরমেন্স থেকে কিছুটা হলেও সড়ে গিয়েছিল। যদিও ৭০ রানে তারা কিউইদের পরাজিত করেছে।
পরাজয়ের ব্যবধানটা যথেষ্ট বড় হলেও অধিনায়ক রোহিত শর্মা স্বীকার করেছেন এটাই এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলা সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ ছিল। আর এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে ফাইনালে কাজে লাগাতে চায় ভারত।
ম্যাচ শেষে স্টার স্পোর্টসকে রোহিত বলেন, ‘নতুন বলে যেভাবে আমাদের বোলাররা সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে তাতে তাদের প্রশংসা করতেই হয়। ৩৯৭ রান করার পর বোলারদের দায়িত্ব ছিল দ্রুত উইকেট তুলে নেয়া, তারা সেটাই করেছে। আমি এ কথা বলবো না যে আমরা চাপে ছিলাম না। যেকোন ম্যাচেই চাপ থাকে, আর এটাতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। কিন্তু আমি মনে করি ছেলেরা দারুণ খেলেছে। সত্যি কথা বলতে কি আমরা সেমিফাইনাল ম্যাচটিকে ততটা গণনা করিনি, এই ম্যাচটি নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তা করিনি। আমরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেয়েছি, যা আমরা গত নয় ম্যাচে করে দেখিয়েছি। সবকিছুই আসলে স্বাভাবিকভাবেই এসেছে।’
নিউজিল্যান্ডকে বড় টার্গেট দিলেও এক সময় ভারত বেশ চাপ অনুভব করে। মিচেল ও উইলিয়ামসন তৃতীয় উইকেটে ১৪৯ বলে ১৮১ রানে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। তাদের এই জুটিতে পুরো ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম নিশ্চুপ হয়ে যায়। মিচেল ৮৫ বলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন, উইলিয়ামসন করেন হাফ-সেঞ্চুরি।
মোহাম্মদ সামির বলে উইলিয়ামসন একবার জীবন ফিরে পান। এরপর তাকে রান আউটের সুযোগও হাতছাড়া করে ভারত। ওই সময় নিউজিল্যান্ড রান সংগ্রহের দিক থেকে বেশ দাপট দেখাচ্ছিল। কিন্তু প্রথম দুই উইকেট তুলে নেয়া সামি ৩৩তম ওভারে পুনরায় বোলিংয়ে ফিরে এসে উইলিয়ামসনের উইকেট তুলে নেন, যা ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
রোহিত বলেন, ‘আস্কিং রেট যখন ৯-এর উপরে ছিল তখন সুযোগ নিতেই হতো। কখনো কখনো সেটা কাজে লেগেছে, কখনো লাগেনি। তারা আমাদের সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। মিডল অর্ডারে মিচেল ও উইলিয়ামসন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। আমাদের জন্য শান্ত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একপর্যায়ে পুরো স্টেডিয়াম নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এটাই ম্যাচের প্রকৃতি। কিন্তু আমরা জানতাম নিজেদের ফিরিয়ে আনার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে। হয় একটি ভালো ক্যাচ, অথবা রান আউট অথবা ম্যাজিক ডেলিভারি, যেকোনো একটা লাগবে। ব্রেকথ্রু এনে দেয়ার জন্য আমরা সবকিছু চেষ্টা করেছি। কিন্তু আবারও বলবো সামি দুর্দান্ত বোলিং করেছে।
ওয়াংখেড়েতে আমি অনেক ক্রিকেট খেলেছি। সেই কারণেই আমি জানি যেকোনো স্কোরই এখানে নিরাপদ নয়। একটা পর্যায়ে আমাদের ওপর সেই চাপ এসেছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে সামি আমাদের জন্য সঠিক কাজ করেছে। ফিল্ডিংয়ে কিছুটা ভুল করলেও আমরা শান্ত ছিলাম। কিন্তু দিনের শেষে সবকিছু সঠিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।’
ওয়াংখেড়ে সবসময়ই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হিসেবে পরিচিত। রোহিত বলেন, ‘টপ অর্ডারে পাঁচ-ছয়জন ব্যাটার যখনই সুযোগ পেয়েছে ভালো শট খেলেছে। বিশেষ করে শ্রেয়াসের কথা আমি আলাদা করে কলবো। গিলও ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে ইনজুরির কারণে গিলকে ফিরে যেতে হয়েছে। কোহলি অসাধারণ খেলেছে। আসাধারণ ইনিংসের মাধ্যমে ট্রেডমার্ক মাইলফলক সেই অর্জণ করেছে। সব মিলিয়ে ব্যাটিংয়ে আমরা দুর্দান্ত ছিলাম। এভাবে আমরা শেষ ম্যাচটাতেও নিজেদের প্রমাণ করতে চাই।’