ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনালের আগে বিতর্ক তৈরি হয় পিচ নিয়ে। ভারতীয় বোর্ড (বিসিসিআই) ও মুম্বাইয়ের ভেন্যু কিউরেটরের সুপারিশে নতুন পিচে খেলানোর বদলে ম্যাচটি সরিয়ে নেয়া হয় আগের ব্যবহৃত পিচে।
সেমিফাইনালের আগে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানায়, ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ওয়াংখেড়ের ৭ নম্বর উইকেটে। ওই উইকেটে বিশ্বকাপের আর কোনো ম্যাচ হয়নি আগে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত পাল্টে খেলা ৬ নম্বর পিচে নেয়া হয়। সেখানে আগে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ও ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ।
সেমিফাইনালের জন্য পূর্বনির্ধারিত মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ পরিবর্তন করা হয়। ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সরগরম হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। আইসিসি অবশ্য সেদিনই জানিয়ে দিয়েছে, পিচ পরিবর্তনের ঘটনায় কোনো বিতর্ক নেই। অভিযোগ জানায়নি প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডও। সেমিফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও ওয়াংখেড়ের পিচকে দোষারোপ করেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
নতুন উইকেটের বদলে প্রথম সেমিফাইনাল হয়েছে ব্যবহৃত উইকেটে। বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ হয়েছিল তাতে। আয়োজক ভারত অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে বলে সমালোচকেরা সুর চড়ালেও, বিতর্ক খুঁজে পাননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। ম্যাচের পর উইলিয়ামসন বলেন ‘এই উইকেটটা আগে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বেশ ভালো উইকেট। আমাদের তেমনই মনে হয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি। খেলার প্রথমার্ধে প্রচুর রান হয়েছে। আমার মতে দিন-রাতের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে কিছু পরিবর্তন হয়। আলো এবং আরও কিছু বিষয় পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায়। গোটা প্রতিযোগিতাতেই আমরা এই বিষয়টা লক্ষ্য করেছি। সেমিফাইনালেও সেই রকমই প্রত্যাশা করেছিলাম।’
উইলিয়ামসন মেনে নিয়েছেন, যোগ্য দল হিসেবেই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছেন রোহিত শর্মারা। উইলিয়ামসন বলেন, ‘মেনে নিতে অসুবিধ নেই, ভারত অনেক ভালো খেলেছে। প্রতিযোগিতার এই পর্যায় পর্যন্ত এসেও আরও এগোতে না পারা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা একটা ভালো দলের কাছে হেরেছি। আমাদের সাত সপ্তাহের একটা যাত্রা শেষ হলো।’
ভারতীয় দলের প্রশংসা করে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক আরও বলেন, ‘ভারতই এখন বিশ্বের সেরা দল। ওরা ওদের সেরা ক্রিকেট খেলছে বিশ্বকাপে। ম্যাচটা বেশ কঠিন ছিল। ক্রিকেটের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে ব্যর্থতা আসে। আসল হলো সেই পরিস্থিতি আপনি কীভাবে মোকাবিলা করছেন। এই বিশ্বকাপে ভারত অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলছে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত একটা ম্যাচেও হারেনি। রাউন্ড রবিন লিগের মতো পর্যায় পেরিয়েও এমন খেলা ধরে রাখা সহজ নয়। ভারতের এই দলের মানসিকতাই অন্য রকম। মাঠে ওদের মধ্যে কখনো দ্বিধা দেখতে পাইনি। সন্দেহ নেই ভারত আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ফাইনাল খেলতে নামবে।’
গত বুধবারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৩৯৭ রান করে। জবাবে নিউজিল্যান্ডও ৩২৭ রান করে। উইকেট খারাপ হলে পরে ব্যাট করে এত রান তোলা সম্ভব হত না, তা মেনে নিয়েছেন উইলিয়ামসন। তাই সেমিফাইনালের উইকেট নিয়ে তার কোনো অভিযোগ নেই।
বিশ্বকাপের জন্য আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, পিচ বাছাই ও প্রস্তুত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মাঠ কর্তৃপক্ষের। ওয়াংখেড়ের ক্ষেত্রে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তা পালন করে। স্থানীয় আয়োজকদের সঙ্গে আইসিসির স্বাধীন পিচ পরামর্শক হিসেবে যুক্ত আছেন অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। তাছাড়া, নক-আউট ম্যাচ সতেজ পিচে খেলানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই আইসিসির। কেবল সম্ভাব্য সেরা পিচ ও আউটফিল্ড ব্যবহারের কথা উল্লেখ আছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল জানায়, আচমকা পিচ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে অ্যাটকিনসন হতাশ। ফাঁস হওয়া একটি ই-মেইলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন, ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদের পিচও নিজেদের পছন্দ মতো বেছে নেয়ার চিন্তায় হাঁটছে আয়োজক ভারত।
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনালের আগে বিতর্ক তৈরি হয় পিচ নিয়ে। ভারতীয় বোর্ড (বিসিসিআই) ও মুম্বাইয়ের ভেন্যু কিউরেটরের সুপারিশে নতুন পিচে খেলানোর বদলে ম্যাচটি সরিয়ে নেয়া হয় আগের ব্যবহৃত পিচে।
সেমিফাইনালের আগে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানায়, ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ওয়াংখেড়ের ৭ নম্বর উইকেটে। ওই উইকেটে বিশ্বকাপের আর কোনো ম্যাচ হয়নি আগে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত পাল্টে খেলা ৬ নম্বর পিচে নেয়া হয়। সেখানে আগে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ও ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ।
সেমিফাইনালের জন্য পূর্বনির্ধারিত মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ পরিবর্তন করা হয়। ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সরগরম হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। আইসিসি অবশ্য সেদিনই জানিয়ে দিয়েছে, পিচ পরিবর্তনের ঘটনায় কোনো বিতর্ক নেই। অভিযোগ জানায়নি প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডও। সেমিফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও ওয়াংখেড়ের পিচকে দোষারোপ করেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
নতুন উইকেটের বদলে প্রথম সেমিফাইনাল হয়েছে ব্যবহৃত উইকেটে। বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ হয়েছিল তাতে। আয়োজক ভারত অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে বলে সমালোচকেরা সুর চড়ালেও, বিতর্ক খুঁজে পাননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। ম্যাচের পর উইলিয়ামসন বলেন ‘এই উইকেটটা আগে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বেশ ভালো উইকেট। আমাদের তেমনই মনে হয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি। খেলার প্রথমার্ধে প্রচুর রান হয়েছে। আমার মতে দিন-রাতের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে কিছু পরিবর্তন হয়। আলো এবং আরও কিছু বিষয় পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায়। গোটা প্রতিযোগিতাতেই আমরা এই বিষয়টা লক্ষ্য করেছি। সেমিফাইনালেও সেই রকমই প্রত্যাশা করেছিলাম।’
উইলিয়ামসন মেনে নিয়েছেন, যোগ্য দল হিসেবেই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছেন রোহিত শর্মারা। উইলিয়ামসন বলেন, ‘মেনে নিতে অসুবিধ নেই, ভারত অনেক ভালো খেলেছে। প্রতিযোগিতার এই পর্যায় পর্যন্ত এসেও আরও এগোতে না পারা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা একটা ভালো দলের কাছে হেরেছি। আমাদের সাত সপ্তাহের একটা যাত্রা শেষ হলো।’
ভারতীয় দলের প্রশংসা করে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক আরও বলেন, ‘ভারতই এখন বিশ্বের সেরা দল। ওরা ওদের সেরা ক্রিকেট খেলছে বিশ্বকাপে। ম্যাচটা বেশ কঠিন ছিল। ক্রিকেটের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে ব্যর্থতা আসে। আসল হলো সেই পরিস্থিতি আপনি কীভাবে মোকাবিলা করছেন। এই বিশ্বকাপে ভারত অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলছে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত একটা ম্যাচেও হারেনি। রাউন্ড রবিন লিগের মতো পর্যায় পেরিয়েও এমন খেলা ধরে রাখা সহজ নয়। ভারতের এই দলের মানসিকতাই অন্য রকম। মাঠে ওদের মধ্যে কখনো দ্বিধা দেখতে পাইনি। সন্দেহ নেই ভারত আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ফাইনাল খেলতে নামবে।’
গত বুধবারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৩৯৭ রান করে। জবাবে নিউজিল্যান্ডও ৩২৭ রান করে। উইকেট খারাপ হলে পরে ব্যাট করে এত রান তোলা সম্ভব হত না, তা মেনে নিয়েছেন উইলিয়ামসন। তাই সেমিফাইনালের উইকেট নিয়ে তার কোনো অভিযোগ নেই।
বিশ্বকাপের জন্য আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, পিচ বাছাই ও প্রস্তুত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মাঠ কর্তৃপক্ষের। ওয়াংখেড়ের ক্ষেত্রে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তা পালন করে। স্থানীয় আয়োজকদের সঙ্গে আইসিসির স্বাধীন পিচ পরামর্শক হিসেবে যুক্ত আছেন অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। তাছাড়া, নক-আউট ম্যাচ সতেজ পিচে খেলানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই আইসিসির। কেবল সম্ভাব্য সেরা পিচ ও আউটফিল্ড ব্যবহারের কথা উল্লেখ আছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল জানায়, আচমকা পিচ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে অ্যাটকিনসন হতাশ। ফাঁস হওয়া একটি ই-মেইলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন, ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদের পিচও নিজেদের পছন্দ মতো বেছে নেয়ার চিন্তায় হাঁটছে আয়োজক ভারত।