স্কোর : বাংলাদেশ ৩১০ ও ৩৩৮; নিউজিল্যান্ড ৩১৭ ও ১৮১। ফল : বাংলাদেশ ১৫০ রানে জিতেছে।
স্পিনার তাইজুলের ঘূর্ণিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দুই টেস্ট সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে গেল স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ের পর শক্তি বিবেচনায় বড় দলের বিপক্ষে রানের হিসেবে এটিই সবচেয়ে বড় জয় টাইগারদের। সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে বিশ^ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অবিস্মরণীয় জয় তুলে নিলো সাকিব-লিটন-তাসকিনবিহীন বাংলাদেশ।
২০২১ সালে প্রথম বিশ^ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা নিউজিল্যান্ডকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বড় ফরম্যাটে হারালো বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের মাঠে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ১৩৯তম ম্যাচে ১৯তম জয় পেল বাংলাদেশ।
সিলেটের মাঠে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ৩৩২ রানের টার্গেটে শনিবার পঞ্চম ও শেষ দিনের প্রথম সেশনে ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে বড় অবদান রাখেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল। প্রথম ইনিংসে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন তিনি। তাইজুলের পাশাপাশি বাংলাদেশের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ১০৫ রান।
জয়ের জন্য ৩৩২ রানের টার্গেটে ৭ উইকেটে ১১৩ রানে গত শুক্রবার চতুর্থ দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ জিততে শেষ দিনে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ২১৯ রান প্রয়োজন ছিল কিউইদের। ড্যারিল মিচেল ৪৪ ও ইশ সোধি ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিচেল। অর্ধশতকের পর মিচেলের প্রতিরোধ ভাঙেন স্পিনার নাঈম। সুইপ করতে গিয়ে তাইজুলকে ক্যাচ দেন ৫৮ রান করা মিচেল।
এরপর উইকেটে এসে বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন সফরকারী দলের অধিনায়ক টিম সাউদি। ১ চার ও ২ ছক্কায় তার ৩৪ রানে মারমুখী ইনিংস থামান তাইজুল। শর্ট মিড উইকেটে জাকিরের হাতে ক্যাচ দেন ২৪ বলে ৩৪ রান করা সাউদি। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারে ৪৩তম টেস্টে ১২তমবারের মত ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল।
৭২তম ওভারে সোধিকে ব্যক্তিগত ২২ রানে থামিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৮১ রানে গুটিয়ে দেন তাইজুল। ৩১ দশমিক ১ ওভার বল করে ৭৫ রানে ৬ উইকেট নেন তাইজুল। প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচে তাইজুলের শিকার ১৮৪ রানে ১০ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন এ স্পিনার।
তাইজুল ছাড়াও নাইম ২টি, শরিফুল-মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।
আগামী বুধবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।
স্কোর : বাংলাদেশ ৩১০ ও ৩৩৮; নিউজিল্যান্ড ৩১৭ ও ১৮১। ফল : বাংলাদেশ ১৫০ রানে জিতেছে।
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
স্পিনার তাইজুলের ঘূর্ণিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দুই টেস্ট সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে গেল স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ের পর শক্তি বিবেচনায় বড় দলের বিপক্ষে রানের হিসেবে এটিই সবচেয়ে বড় জয় টাইগারদের। সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে বিশ^ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অবিস্মরণীয় জয় তুলে নিলো সাকিব-লিটন-তাসকিনবিহীন বাংলাদেশ।
২০২১ সালে প্রথম বিশ^ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা নিউজিল্যান্ডকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বড় ফরম্যাটে হারালো বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের মাঠে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ১৩৯তম ম্যাচে ১৯তম জয় পেল বাংলাদেশ।
সিলেটের মাঠে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ৩৩২ রানের টার্গেটে শনিবার পঞ্চম ও শেষ দিনের প্রথম সেশনে ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে বড় অবদান রাখেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল। প্রথম ইনিংসে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন তিনি। তাইজুলের পাশাপাশি বাংলাদেশের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ১০৫ রান।
জয়ের জন্য ৩৩২ রানের টার্গেটে ৭ উইকেটে ১১৩ রানে গত শুক্রবার চতুর্থ দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ জিততে শেষ দিনে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ২১৯ রান প্রয়োজন ছিল কিউইদের। ড্যারিল মিচেল ৪৪ ও ইশ সোধি ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিচেল। অর্ধশতকের পর মিচেলের প্রতিরোধ ভাঙেন স্পিনার নাঈম। সুইপ করতে গিয়ে তাইজুলকে ক্যাচ দেন ৫৮ রান করা মিচেল।
এরপর উইকেটে এসে বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন সফরকারী দলের অধিনায়ক টিম সাউদি। ১ চার ও ২ ছক্কায় তার ৩৪ রানে মারমুখী ইনিংস থামান তাইজুল। শর্ট মিড উইকেটে জাকিরের হাতে ক্যাচ দেন ২৪ বলে ৩৪ রান করা সাউদি। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারে ৪৩তম টেস্টে ১২তমবারের মত ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল।
৭২তম ওভারে সোধিকে ব্যক্তিগত ২২ রানে থামিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৮১ রানে গুটিয়ে দেন তাইজুল। ৩১ দশমিক ১ ওভার বল করে ৭৫ রানে ৬ উইকেট নেন তাইজুল। প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচে তাইজুলের শিকার ১৮৪ রানে ১০ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন এ স্পিনার।
তাইজুল ছাড়াও নাইম ২টি, শরিফুল-মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।
আগামী বুধবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।