আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ---
আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৪৭টি ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাময়িক বহিষ্কৃত ও আলোচিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্পদের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে মো. আতিকুর রহমান খান ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। যেখানে আতিক ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ২ কোটি ৩৫ লাখ ১ হাজার ১৩০ টাকার সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এ অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা আতিকের ৪৭টি ব্যাংক হিসাবে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৭ কোটি ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯ টাকার লেনদেনের তথ্য মিলেছে। যার কোনো ব্যাখ্যা পাননি অনুসন্ধান কর্মকর্তা। তাই মামলার এজাহারে ওই অর্থের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস ও অবস্থান গোপন করার ছদ্মাবরণে মালিকানা নিয়ন্ত্রণ করার অপরাধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রকৌশলী ছাড়াও আতিকের আরেকটি পরিচয় হলো তিনি ভিশন-৭১ ডেভেলপমেন্টের বর্তমান এমডি ও মালিক। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে আইডিয়ালে তার নিয়োগ অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য নিয়োগ পাওয়ার পর বেতন ভাতা হিসেবে নেওয়া ৩৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯২০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর। ওই সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে তাকে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর আতিকুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আতিকুর রহমান খান ২০০৪ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগ দেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এমপিওভুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কোনো পদ নেই। অবৈধভাবে এ পদ সৃষ্টি করে সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আরা তাকে নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছিল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবৈধ ভর্তিসহ সব বাণিজ্যের হোতা আতিকুর রহমান। তিনটি ক্যাম্পাসের প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর ড্রেস তৈরি, ক্যান্টিন, লাইব্রেরি সবই তার নিয়ন্ত্রণে। এমনকি স্কুলের সামনে ফুটপাতে শতাধিক দোকান বসিয়েও তিনি আয় করেন মোটা অংকের টাকা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে যত ধরনের কেনাকাটা, উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ হয়, তার সবই করেন আতিক ও তার সহযোগীরা। দরপত্রেও অংশ নেয় নামে-বেনামে তারই প্রতিষ্ঠান। সেখানে চলে বড় ধরনের লুটপাট। গত ১২ বছরে প্রতিষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং কর্মচারী নিয়োগে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।
আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ---
বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৪৭টি ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাময়িক বহিষ্কৃত ও আলোচিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্পদের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে মো. আতিকুর রহমান খান ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। যেখানে আতিক ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ২ কোটি ৩৫ লাখ ১ হাজার ১৩০ টাকার সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এ অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা আতিকের ৪৭টি ব্যাংক হিসাবে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৭ কোটি ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯ টাকার লেনদেনের তথ্য মিলেছে। যার কোনো ব্যাখ্যা পাননি অনুসন্ধান কর্মকর্তা। তাই মামলার এজাহারে ওই অর্থের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস ও অবস্থান গোপন করার ছদ্মাবরণে মালিকানা নিয়ন্ত্রণ করার অপরাধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রকৌশলী ছাড়াও আতিকের আরেকটি পরিচয় হলো তিনি ভিশন-৭১ ডেভেলপমেন্টের বর্তমান এমডি ও মালিক। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে আইডিয়ালে তার নিয়োগ অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য নিয়োগ পাওয়ার পর বেতন ভাতা হিসেবে নেওয়া ৩৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯২০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর। ওই সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে তাকে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর আতিকুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আতিকুর রহমান খান ২০০৪ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগ দেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এমপিওভুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কোনো পদ নেই। অবৈধভাবে এ পদ সৃষ্টি করে সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আরা তাকে নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছিল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবৈধ ভর্তিসহ সব বাণিজ্যের হোতা আতিকুর রহমান। তিনটি ক্যাম্পাসের প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর ড্রেস তৈরি, ক্যান্টিন, লাইব্রেরি সবই তার নিয়ন্ত্রণে। এমনকি স্কুলের সামনে ফুটপাতে শতাধিক দোকান বসিয়েও তিনি আয় করেন মোটা অংকের টাকা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে যত ধরনের কেনাকাটা, উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ হয়, তার সবই করেন আতিক ও তার সহযোগীরা। দরপত্রেও অংশ নেয় নামে-বেনামে তারই প্রতিষ্ঠান। সেখানে চলে বড় ধরনের লুটপাট। গত ১২ বছরে প্রতিষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং কর্মচারী নিয়োগে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।