অনেক সময় দল হারলেও পারফরম্যান্সে ইতিবাচক অনেক কিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করে থাকেন কোচরা। পরাজয়ের ঢাল বানানোর জন্য বা দলকে উজ্জীবিত করার জন্য কিংবা সত্যিকার অর্থেই ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার জন্য। কিন্তু আতালান্তার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর তেমন কিছুই করলেন না ইয়ুর্গেন ক্লপ। এই ম্যাচে লিভারপুলের পারফরম্যান্সে তেমন ভালো কিছু যে চোখেই পড়ছে না কোচের!
ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠেই লিভারপুল বিধস্ত হয় আতালান্তার কাছে। ইতালিয়ান ক্লাবটি ম্যাচ জিতে নেয় ৩-০ গোলে।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে যৌথভাবে লিভারপুলের সবচেয়ে বাজে হার এটি।
ম্যাচের পর কোনো অজুহাত দাঁড় করালেন না ক্লপ, আঙুল তুললেন না নির্দিষ্ট কারও দিকে বা কোনো দিকে। নিজেদের ব্যর্থতা তিনি মেনে নিলেন অকপটে। কোচের মতে, তার দল এতটাই অগোছালো ছিল মাঠে যে, তার নিজেরই চিনতে কষ্ট হয়েছে দলকে।
“খুব বাজে একটি ম্যাচ ছিল এটি, ওহ মাই গড, সত্যিই বাজে খেলেছি। শুরুটা ভালোই করেছিলাম আমরা, খুবই ভালো। কিন্তু তা ধরে রাখতে পারিনি। তারা গোল করার আগেই আমরা খেই হারিয়ে ফেলি। সব জায়গায় ছিলাম আমরা, কিন্তু কোথাও যেন ছিলাম না।”
“মাঝমাঠ ছিল খুবই এলোমলো, ছড়ানো-ছিটানো… ডান পাশে মিডফিল্ডার ছিল বাঁ পাশে, বাঁ পাশের মিডফিল্ডার, স্ট্রাইকার… আমি চিনতেই পারছিলাম না, খুবই অদ্ভুত। ফুটবলে এটিকে বলে ট্যাকটিক্যাল শৃঙ্খলা (যা ছিল না)…। আমরা খুবই বাজে ম্যাচ খেলেছি। এই হার আমাদের প্রাপ্য ছিল এবং আমাদের এটা উপলব্ধি করা উচিত।”
এত বড় ব্যবধানে হারের পর লিভারপুল এখন বিদায়ের দুয়ারেই বলা যায়। পরের লেগে আগামী সপ্তাহে ইতালিতে গিয়ে এই ব্যবধান ঘুচিয়ে জেতা কঠিন। জয়ের বিশ্বাস অবশ্য ক্লপের আছে। তবে সেমি-ফাইনালে ওঠার সাহস দেখাতে পারছেন না কোচ নিজেই।
“অনেক অনেক দিনের মধ্যে পারফরম্যান্সের দিক থেকে আমাদের জন্য খুবই নিচু পর্যায় ছিল আজকে রাতে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকের খেলা নিয়ে ইতিবাচক বেশি কিছু সত্যিকার অর্থে নেই।”
“আমি এখনই বলতে পারি, কিছু ব্যাপার ঠিকঠাক করলেই আমরা আরও ভালো হয়ে উঠব। আমরা কি জিতে ফিরতে পারব? অবশ্যই, ভালো খেললে তা সম্ভব। আমরা কি ৩-০ ব্যবধানে জিততে পারব? জানি না। তবে আজকে খুব খারাপ লাগছে এবং এটিই গুরুত্বপূর্ণ।”
আতালান্তার মাঠে সেই চ্যালেঞ্জের আগেই আরেকটি পরীক্ষা আছে লিভারপুলের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে রোববার তারা নিজেদের মাঠে খেলবে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে। ট্রফির লড়াই এখন যে মোড়ে আছে, একটি পয়েন্ট হারানোর সুযোগও নেই তাদের। দলকে সেটিই মনে করিয়ে দিলেন ক্লপ।
“আজকের ম্যাচ নিয়ে যন্ত্রণা অনুভব করার জন্য ছেলেদের স্রেফ আজকের রাতটিই আছে। এরপর ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচের জন্য নিজেদের গুছিয়ে নিতে হবে আমাদের। এটিই বাস্তবতা।”
শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
অনেক সময় দল হারলেও পারফরম্যান্সে ইতিবাচক অনেক কিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করে থাকেন কোচরা। পরাজয়ের ঢাল বানানোর জন্য বা দলকে উজ্জীবিত করার জন্য কিংবা সত্যিকার অর্থেই ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার জন্য। কিন্তু আতালান্তার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর তেমন কিছুই করলেন না ইয়ুর্গেন ক্লপ। এই ম্যাচে লিভারপুলের পারফরম্যান্সে তেমন ভালো কিছু যে চোখেই পড়ছে না কোচের!
ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠেই লিভারপুল বিধস্ত হয় আতালান্তার কাছে। ইতালিয়ান ক্লাবটি ম্যাচ জিতে নেয় ৩-০ গোলে।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে যৌথভাবে লিভারপুলের সবচেয়ে বাজে হার এটি।
ম্যাচের পর কোনো অজুহাত দাঁড় করালেন না ক্লপ, আঙুল তুললেন না নির্দিষ্ট কারও দিকে বা কোনো দিকে। নিজেদের ব্যর্থতা তিনি মেনে নিলেন অকপটে। কোচের মতে, তার দল এতটাই অগোছালো ছিল মাঠে যে, তার নিজেরই চিনতে কষ্ট হয়েছে দলকে।
“খুব বাজে একটি ম্যাচ ছিল এটি, ওহ মাই গড, সত্যিই বাজে খেলেছি। শুরুটা ভালোই করেছিলাম আমরা, খুবই ভালো। কিন্তু তা ধরে রাখতে পারিনি। তারা গোল করার আগেই আমরা খেই হারিয়ে ফেলি। সব জায়গায় ছিলাম আমরা, কিন্তু কোথাও যেন ছিলাম না।”
“মাঝমাঠ ছিল খুবই এলোমলো, ছড়ানো-ছিটানো… ডান পাশে মিডফিল্ডার ছিল বাঁ পাশে, বাঁ পাশের মিডফিল্ডার, স্ট্রাইকার… আমি চিনতেই পারছিলাম না, খুবই অদ্ভুত। ফুটবলে এটিকে বলে ট্যাকটিক্যাল শৃঙ্খলা (যা ছিল না)…। আমরা খুবই বাজে ম্যাচ খেলেছি। এই হার আমাদের প্রাপ্য ছিল এবং আমাদের এটা উপলব্ধি করা উচিত।”
এত বড় ব্যবধানে হারের পর লিভারপুল এখন বিদায়ের দুয়ারেই বলা যায়। পরের লেগে আগামী সপ্তাহে ইতালিতে গিয়ে এই ব্যবধান ঘুচিয়ে জেতা কঠিন। জয়ের বিশ্বাস অবশ্য ক্লপের আছে। তবে সেমি-ফাইনালে ওঠার সাহস দেখাতে পারছেন না কোচ নিজেই।
“অনেক অনেক দিনের মধ্যে পারফরম্যান্সের দিক থেকে আমাদের জন্য খুবই নিচু পর্যায় ছিল আজকে রাতে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকের খেলা নিয়ে ইতিবাচক বেশি কিছু সত্যিকার অর্থে নেই।”
“আমি এখনই বলতে পারি, কিছু ব্যাপার ঠিকঠাক করলেই আমরা আরও ভালো হয়ে উঠব। আমরা কি জিতে ফিরতে পারব? অবশ্যই, ভালো খেললে তা সম্ভব। আমরা কি ৩-০ ব্যবধানে জিততে পারব? জানি না। তবে আজকে খুব খারাপ লাগছে এবং এটিই গুরুত্বপূর্ণ।”
আতালান্তার মাঠে সেই চ্যালেঞ্জের আগেই আরেকটি পরীক্ষা আছে লিভারপুলের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে রোববার তারা নিজেদের মাঠে খেলবে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে। ট্রফির লড়াই এখন যে মোড়ে আছে, একটি পয়েন্ট হারানোর সুযোগও নেই তাদের। দলকে সেটিই মনে করিয়ে দিলেন ক্লপ।
“আজকের ম্যাচ নিয়ে যন্ত্রণা অনুভব করার জন্য ছেলেদের স্রেফ আজকের রাতটিই আছে। এরপর ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচের জন্য নিজেদের গুছিয়ে নিতে হবে আমাদের। এটিই বাস্তবতা।”