দারুণ বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডকে একশর আগে গুটিয়ে দিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমিররা। অল্প রানের লক্ষ্য তাড়ায় দায়িত্বশীল ব্যাটিং করলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের দারুণ এক রেকর্ড গড়ার দিনে কিউইদের সহজেই হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে শনিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের জয় ৭ উইকেটে। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে এই সফরে আসা নিউ জিল্যান্ডকে স্রেফ ৯০ রানে থামিয়ে ৪৭ বল আগে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানকে জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন আফ্রিদি। মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দুটি করে উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার আমির এবং দুই লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ও শাদাব খান।
রান তাড়ায় ৩৪ বলে ৪৫ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে সাজানো ইনিংসের পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৩ হাজার রানের রেকর্ড গড়েন তিনি।
তিন হাজার থেকে ৩৯ রান কম নিয়ে ম্যাচটি খেলতে নামা রিজওয়ান পাকিস্তানের হয়ে ৭৯ ইনিংসে স্পর্শ করেন এই মাইলফলক। এতদিন যৌথভাবে রেকর্ডটি ছিল তার সতীর্থ বাবর ও ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান ভিরাট কোহলির। তিন হাজার রান করতে এই দুজনের লেগেছিল ৮১ ইনিংস।
টস জিতে নিউ জিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরু থেকে চেপে ধরে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লেতে ৩৫ রানে ফিরিয়ে দেয় টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে। যেখানে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা টিম রবিনসন ও ডিন ফক্সক্রফটকে ফেরান আমির, অভিজ্ঞ টিম সাইফার্টকে বিদায় করেন আফ্রিদি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সফরকারীরা। দলটির হয়ে দুই অঙ্কে যেতে পারেন চার জন ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন মার্ক চ্যাপম্যান।
জবাব দিতে নেমে প্রথম বলে চার মারা সাইম আইয়ুবকে পরের বলেই ফিরিয়ে দেন বেন লিস্টার। ১৪ রান করে ফেরেন অভিজ্ঞ বাবর। উসমান খানও পারেননি টিকতে।
ইরফান খানকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রিজওয়ান। দুজনে গড়েন ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
একই মাঠে সিরিজের পরের ম্যাচ রোববার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ১৮.১ ওভারে ৯০ (সাইফার্ট ১২, রবিনসন ৪, ফক্সক্রফট ১৩, চ্যাপম্যান ১৯, নিশাম ১, ম্যাককনকি ১৫, ব্রেসওয়েল ৪, সোধি ৮, ডাফি ৮*, সিয়ার্স ৩, লিস্টার ১; আফ্রিদি ৩.১-০-১৩-৩, নাসিম ৪-০-২৭-১, আমির ৩-০-১৩-২, আবরার ৪-০-১৫-২, ইফতিখার ১-০-৭-০, শাদাব ৩-০-১৫-২)
পাকিস্তান: ১২.১ ওভারে ৯২/৩ (সাইম ৪, বাবর ১৪, রিজওয়ান ৪৫*, উসমান ৭, ইরফান ১৮*; লিস্টার ২-০-১০-১, ডাফি ২-০-৭-০, সিয়ার্স ৩-০-৩০-০, ব্রেসওয়েল ২-০-১৯-১, সোধি ৩-০-১৮-১, ম্যাককনকি ০.১-০-৪-০)
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শাহিন শাহ আফ্রিদি
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১-০ তে এগিয়ে
রোববার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
দারুণ বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডকে একশর আগে গুটিয়ে দিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমিররা। অল্প রানের লক্ষ্য তাড়ায় দায়িত্বশীল ব্যাটিং করলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের দারুণ এক রেকর্ড গড়ার দিনে কিউইদের সহজেই হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে শনিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের জয় ৭ উইকেটে। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে এই সফরে আসা নিউ জিল্যান্ডকে স্রেফ ৯০ রানে থামিয়ে ৪৭ বল আগে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানকে জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন আফ্রিদি। মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দুটি করে উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার আমির এবং দুই লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ও শাদাব খান।
রান তাড়ায় ৩৪ বলে ৪৫ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে সাজানো ইনিংসের পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৩ হাজার রানের রেকর্ড গড়েন তিনি।
তিন হাজার থেকে ৩৯ রান কম নিয়ে ম্যাচটি খেলতে নামা রিজওয়ান পাকিস্তানের হয়ে ৭৯ ইনিংসে স্পর্শ করেন এই মাইলফলক। এতদিন যৌথভাবে রেকর্ডটি ছিল তার সতীর্থ বাবর ও ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান ভিরাট কোহলির। তিন হাজার রান করতে এই দুজনের লেগেছিল ৮১ ইনিংস।
টস জিতে নিউ জিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরু থেকে চেপে ধরে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লেতে ৩৫ রানে ফিরিয়ে দেয় টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে। যেখানে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা টিম রবিনসন ও ডিন ফক্সক্রফটকে ফেরান আমির, অভিজ্ঞ টিম সাইফার্টকে বিদায় করেন আফ্রিদি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সফরকারীরা। দলটির হয়ে দুই অঙ্কে যেতে পারেন চার জন ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন মার্ক চ্যাপম্যান।
জবাব দিতে নেমে প্রথম বলে চার মারা সাইম আইয়ুবকে পরের বলেই ফিরিয়ে দেন বেন লিস্টার। ১৪ রান করে ফেরেন অভিজ্ঞ বাবর। উসমান খানও পারেননি টিকতে।
ইরফান খানকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রিজওয়ান। দুজনে গড়েন ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
একই মাঠে সিরিজের পরের ম্যাচ রোববার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ১৮.১ ওভারে ৯০ (সাইফার্ট ১২, রবিনসন ৪, ফক্সক্রফট ১৩, চ্যাপম্যান ১৯, নিশাম ১, ম্যাককনকি ১৫, ব্রেসওয়েল ৪, সোধি ৮, ডাফি ৮*, সিয়ার্স ৩, লিস্টার ১; আফ্রিদি ৩.১-০-১৩-৩, নাসিম ৪-০-২৭-১, আমির ৩-০-১৩-২, আবরার ৪-০-১৫-২, ইফতিখার ১-০-৭-০, শাদাব ৩-০-১৫-২)
পাকিস্তান: ১২.১ ওভারে ৯২/৩ (সাইম ৪, বাবর ১৪, রিজওয়ান ৪৫*, উসমান ৭, ইরফান ১৮*; লিস্টার ২-০-১০-১, ডাফি ২-০-৭-০, সিয়ার্স ৩-০-৩০-০, ব্রেসওয়েল ২-০-১৯-১, সোধি ৩-০-১৮-১, ম্যাককনকি ০.১-০-৪-০)
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শাহিন শাহ আফ্রিদি
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১-০ তে এগিয়ে