আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ আর উত্তেজনা-বিতর্কের কমতি থাকল না। গ্যালারিতে উপস্থিত ভক্ত-সমর্থকরা উপভোগ করতে পারলেন রোমাঞ্চকর এক লড়াই। সেখানে আশা জাগালেও শেষমেশ ঢাকা মোহামেডানকে পুড়তে হলো আক্ষেপে। ঘটনাবহুল ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতে নিল বসুন্ধরা কিংস। এতে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ‘ট্রেবল’ জয়ের আনন্দেও মাতল বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্লাবটি।
বুধবার ময়মনসিংহ স্টেডিয়ামে কিংস ২-১ গোলে হারায় গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মোহামেডানকে। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জয়ের একমাত্র কৃতিটি ছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের।
রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য । ৯মিনিটে মোহামেডান, ১৩ ও ১৫ মিনিটে বসুন্ধরা, ২৪ মিনিটে মোহামেডান, ২৬ ও ৩৮ মিনিটে বসুন্ধরা, ৪২ ও ৪৩ মিনিটে মোহামেডান এবং ইনজুরি টাইমে বসুন্ধরা গোল করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।
বিরতির পর মোহামেডান আক্রমণ আরও জোরদার করে। একে একে ব্যর্থতার পর ৬৩ মিনিটে ম্যাচে লিড পায় । কিংসের সোহেলকে কাটিয়ে বা প্রান্ত থেকে বাম পায়ের কোনাকোনি শটে জাল কাঁপান ইমানুয়েল সানডে (১-০)। ৮৬ মিনিটে দারুণ এক গোলে সমতা আনে বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষের মিনহাজ রাকিবকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে আরও দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বা পায়ের দারুণ শটে গোল করে কিংসকে ম্যাচে ফেরান মিগেল দামাসেনো (১-১)। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ সমতায় থাকাতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ।
অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোল পায় কিংস। মিগেলের কর্নারে সুজন ফ্লাইট মিস করে পড়ে যান। দিয়াবাতেও পারেননি ভারসাম্য রাখতে। পেছনে ছিলেন বোবুরবেক। পাশে থাকা বদলি জাহিদ হোসেন আলতো শটে জাল কাঁপিয়েছেন। তবে গোলের আগে ফাউল হয়েছে দাবি করে প্রতিবাদ জানায় মোহামেডান। কিছুক্ষণ পর আলফাজের নির্দেশে মাঠ ছেড়ে চলেও যায় তারা। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে খেলা বন্ধ ছিল বেশ কয়েক মিনিট। সেই উত্তেজনা ছড়ায় গ্যালারিতেও। তবে সাদা-কালোরা প্রতিবাদের পর একপর্যায়ে মাঠে ফিরেছে। তবে শেষ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের শট অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁষে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি সাদা-কালোদের। গতবার শিরোপা জিতলেও এবার সেটি হারাতে হলো কিংসের কাছে।
এক নজরে ফেডারেশন কাপ
চ্যম্পিয়ন- বসুন্ধরা কিংস
রানার্সআপ- ঢাকা মোহামেডান
ফেয়ার প্লে ট্রফি- আবাহনী লিমিটেড
ফাইনাল সেরা- মিগুয়েল দামাসেরো (কিংস)
টুর্নামেন্ট সেরা- রবিনহো রবসন (কিংস)
সেরা গোলকিপার- মেহেদি হাসান শ্রাবন (কিংস)
সেরা গোলদাতা- ওয়াশিংটন বান্দ্রাও (৫ গোল-আবাহনী)
বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ আর উত্তেজনা-বিতর্কের কমতি থাকল না। গ্যালারিতে উপস্থিত ভক্ত-সমর্থকরা উপভোগ করতে পারলেন রোমাঞ্চকর এক লড়াই। সেখানে আশা জাগালেও শেষমেশ ঢাকা মোহামেডানকে পুড়তে হলো আক্ষেপে। ঘটনাবহুল ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতে নিল বসুন্ধরা কিংস। এতে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ‘ট্রেবল’ জয়ের আনন্দেও মাতল বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্লাবটি।
বুধবার ময়মনসিংহ স্টেডিয়ামে কিংস ২-১ গোলে হারায় গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মোহামেডানকে। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জয়ের একমাত্র কৃতিটি ছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের।
রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য । ৯মিনিটে মোহামেডান, ১৩ ও ১৫ মিনিটে বসুন্ধরা, ২৪ মিনিটে মোহামেডান, ২৬ ও ৩৮ মিনিটে বসুন্ধরা, ৪২ ও ৪৩ মিনিটে মোহামেডান এবং ইনজুরি টাইমে বসুন্ধরা গোল করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।
বিরতির পর মোহামেডান আক্রমণ আরও জোরদার করে। একে একে ব্যর্থতার পর ৬৩ মিনিটে ম্যাচে লিড পায় । কিংসের সোহেলকে কাটিয়ে বা প্রান্ত থেকে বাম পায়ের কোনাকোনি শটে জাল কাঁপান ইমানুয়েল সানডে (১-০)। ৮৬ মিনিটে দারুণ এক গোলে সমতা আনে বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষের মিনহাজ রাকিবকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে আরও দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বা পায়ের দারুণ শটে গোল করে কিংসকে ম্যাচে ফেরান মিগেল দামাসেনো (১-১)। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ সমতায় থাকাতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ।
অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোল পায় কিংস। মিগেলের কর্নারে সুজন ফ্লাইট মিস করে পড়ে যান। দিয়াবাতেও পারেননি ভারসাম্য রাখতে। পেছনে ছিলেন বোবুরবেক। পাশে থাকা বদলি জাহিদ হোসেন আলতো শটে জাল কাঁপিয়েছেন। তবে গোলের আগে ফাউল হয়েছে দাবি করে প্রতিবাদ জানায় মোহামেডান। কিছুক্ষণ পর আলফাজের নির্দেশে মাঠ ছেড়ে চলেও যায় তারা। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে খেলা বন্ধ ছিল বেশ কয়েক মিনিট। সেই উত্তেজনা ছড়ায় গ্যালারিতেও। তবে সাদা-কালোরা প্রতিবাদের পর একপর্যায়ে মাঠে ফিরেছে। তবে শেষ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের শট অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁষে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি সাদা-কালোদের। গতবার শিরোপা জিতলেও এবার সেটি হারাতে হলো কিংসের কাছে।
এক নজরে ফেডারেশন কাপ
চ্যম্পিয়ন- বসুন্ধরা কিংস
রানার্সআপ- ঢাকা মোহামেডান
ফেয়ার প্লে ট্রফি- আবাহনী লিমিটেড
ফাইনাল সেরা- মিগুয়েল দামাসেরো (কিংস)
টুর্নামেন্ট সেরা- রবিনহো রবসন (কিংস)
সেরা গোলকিপার- মেহেদি হাসান শ্রাবন (কিংস)
সেরা গোলদাতা- ওয়াশিংটন বান্দ্রাও (৫ গোল-আবাহনী)