কোপার সেমিফাইনালে অঘটন
১৫ বারের কোপাজয়ী উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাদের। গতকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। কর্নার থেকে বল তোলেন রদ্রিগেজ। সেই বলে হেড করেন লারমা। বল জালে জড়িয়ে যায়। এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। শেষ বাঁশি পর্যন্ত সেই গোল শোধ করা সম্ভব হয়নি উরুগুয়ের পক্ষে।
২৩ বছরে প্রথমে বার কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়া। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে তারা দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনে খেলেছিল। প্রথমার্ধের শেষ বেলায় লাল কার্ড দেখেছিলেন ড্যানিয়েল মুনোজ।
উরুগুয়ে শেষ বার কোপা জিতেছিল ২০১১ সালে। সেই বছর ফাইনালে গোল করেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে গতকাল ৬৬ মিনিটের মাথায় নামানো হয় তাকে। কিন্তু গোল আসেনি।
ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল উরুগুয়ে। মনে করা হয়েছিল কোপার ফাইনালে উঠবে তারাই। কিন্তু কলম্বিয়ার বিরুদ্ধেই হেরে গেল তারা। এর ফলে কলম্বিয়ার হলুদ জার্সিধারিদের খেলতে হবে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে। লিওনেল মেসির দল আগেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। আগামী সোমবার ভোরে হবে সেই ম্যাচ।
ফুটবলারদের সঙ্গে দর্শকদের মারামারি
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলারেরা। সেই সময় কলম্বিয়ার সমর্থকেরা তাদের লক্ষ্য করে বোতল, টুপিসহ নানা জিনিস ছুড়তে থাকেন। উরুগুয়ের খেলোয়াড় নুনেজ সেই সময় গ্যালারিতে উঠে যান। এক সমর্থককে ঘুষি মারেন। নুনেজের সঙ্গে গ্যালারিতে ওঠেন হোসে মারিয়া গিমিনেজ এবং রোনাল্ড আরাউজো। তারা যদিও কোনো সমর্থকের গায়ে হাত তোলেননি। নুনেজ যখন সমর্থকদের সঙ্গে রীতিমতো হাতাহাতি করছেন, সেই সময় তাদের থামানোর জন্য এগিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। তারাই ফুটবলারদের গ্যালারি থেকে বার করে নিয়ে যান।
গ্যালারিতে কলম্বিয়ার সমর্থক বেশি ছিল। অভিযোগ, তারা শুধু ফুটবলারদের আক্রমণ করেই থেমে থাকেননি, কটূক্তি করেন পরিবারের লোকজনকেও। ম্যাচ শেষে উরুগুয়ের অধিনায়ক গিমিনেজ বলেন, ‘খুব খারাপ একটা অবস্থা তৈরি হয়েছিল। কোনো পুলিশকর্মী ছিলেন না। আধ ঘণ্টা পর তারা আসেন। এটা হতাশাজনক। আমরা নিজেরাই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আশা করব আগামী ম্যাচে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।’
ফুটবলারের সঙ্গে বিপক্ষ দলের সমর্থকদের মারামারি, হাতাহাতি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এ রকম ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কারণ সেখানে ফুটবলারদের জন্য নিরাপত্তার আলাদা ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই অপ্রীতিকর ঘটনাই দেখা গেল গতকাল। কোপা আমেরিকার মতো বড় প্রতিযোগিতার মঞ্চে। দেরিতে পুলিশ আসার অভিযোগ করেছেন ফুটবলারেরা।
ম্যাচ শুরুর আগে উত্তর ক্যারোলিনা শহরের রাস্তায় রাস্তায় হলুদ জার্সিধারী উচ্ছসিত কলম্বিয়ান সমর্থকদের আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে। ম্যাচ শেষে এই উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকগুন। ৭৪,৮০০ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন শার্লট স্টেডিয়ামটি যেন বোগোটার হোম গ্রাউন্ডে পরিণত হয়। ভেন্যুর চারদিক থেকে তখন উরুগুইয়ান সমর্থকরাও মাঠে প্রবেশের জন্য জোড় চেষ্টা চালায়।
কোপার সেমিফাইনালে অঘটন
শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
১৫ বারের কোপাজয়ী উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাদের। গতকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। কর্নার থেকে বল তোলেন রদ্রিগেজ। সেই বলে হেড করেন লারমা। বল জালে জড়িয়ে যায়। এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। শেষ বাঁশি পর্যন্ত সেই গোল শোধ করা সম্ভব হয়নি উরুগুয়ের পক্ষে।
২৩ বছরে প্রথমে বার কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়া। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে তারা দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনে খেলেছিল। প্রথমার্ধের শেষ বেলায় লাল কার্ড দেখেছিলেন ড্যানিয়েল মুনোজ।
উরুগুয়ে শেষ বার কোপা জিতেছিল ২০১১ সালে। সেই বছর ফাইনালে গোল করেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে গতকাল ৬৬ মিনিটের মাথায় নামানো হয় তাকে। কিন্তু গোল আসেনি।
ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল উরুগুয়ে। মনে করা হয়েছিল কোপার ফাইনালে উঠবে তারাই। কিন্তু কলম্বিয়ার বিরুদ্ধেই হেরে গেল তারা। এর ফলে কলম্বিয়ার হলুদ জার্সিধারিদের খেলতে হবে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে। লিওনেল মেসির দল আগেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। আগামী সোমবার ভোরে হবে সেই ম্যাচ।
ফুটবলারদের সঙ্গে দর্শকদের মারামারি
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলারেরা। সেই সময় কলম্বিয়ার সমর্থকেরা তাদের লক্ষ্য করে বোতল, টুপিসহ নানা জিনিস ছুড়তে থাকেন। উরুগুয়ের খেলোয়াড় নুনেজ সেই সময় গ্যালারিতে উঠে যান। এক সমর্থককে ঘুষি মারেন। নুনেজের সঙ্গে গ্যালারিতে ওঠেন হোসে মারিয়া গিমিনেজ এবং রোনাল্ড আরাউজো। তারা যদিও কোনো সমর্থকের গায়ে হাত তোলেননি। নুনেজ যখন সমর্থকদের সঙ্গে রীতিমতো হাতাহাতি করছেন, সেই সময় তাদের থামানোর জন্য এগিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। তারাই ফুটবলারদের গ্যালারি থেকে বার করে নিয়ে যান।
গ্যালারিতে কলম্বিয়ার সমর্থক বেশি ছিল। অভিযোগ, তারা শুধু ফুটবলারদের আক্রমণ করেই থেমে থাকেননি, কটূক্তি করেন পরিবারের লোকজনকেও। ম্যাচ শেষে উরুগুয়ের অধিনায়ক গিমিনেজ বলেন, ‘খুব খারাপ একটা অবস্থা তৈরি হয়েছিল। কোনো পুলিশকর্মী ছিলেন না। আধ ঘণ্টা পর তারা আসেন। এটা হতাশাজনক। আমরা নিজেরাই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আশা করব আগামী ম্যাচে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।’
ফুটবলারের সঙ্গে বিপক্ষ দলের সমর্থকদের মারামারি, হাতাহাতি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এ রকম ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কারণ সেখানে ফুটবলারদের জন্য নিরাপত্তার আলাদা ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই অপ্রীতিকর ঘটনাই দেখা গেল গতকাল। কোপা আমেরিকার মতো বড় প্রতিযোগিতার মঞ্চে। দেরিতে পুলিশ আসার অভিযোগ করেছেন ফুটবলারেরা।
ম্যাচ শুরুর আগে উত্তর ক্যারোলিনা শহরের রাস্তায় রাস্তায় হলুদ জার্সিধারী উচ্ছসিত কলম্বিয়ান সমর্থকদের আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে। ম্যাচ শেষে এই উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকগুন। ৭৪,৮০০ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন শার্লট স্টেডিয়ামটি যেন বোগোটার হোম গ্রাউন্ডে পরিণত হয়। ভেন্যুর চারদিক থেকে তখন উরুগুইয়ান সমর্থকরাও মাঠে প্রবেশের জন্য জোড় চেষ্টা চালায়।