alt

খেলা

ইউরো ফাইনালে ইতিহাস গড়ার সুযোগ ‘নতুন’ ইংরেজদের

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক : শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

ফুটবলে ইংল্যান্ড মানেই একের পর এক প্রতিযোগিতা থেকে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফেরা। কখনও পেনাল্টি ফস্কানো, কখনও টাইব্রেকারে হার, কখনও আবার অখ্যাত কোনো দেশের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়া। এটাই ইংল্যান্ডের সমর্থকদের কাছে পরিচিত দৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। ১৯৬৬ সালের পর কোনো বড় ট্রফি জিততে না পারা দেশের কাছে খেতাব জয় শুধুই স্বপ্ন হয়ে থেকে যেত।

রোববার ইউরো কাপে স্পেনের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে নামার আগে যদিও সমর্থকেরা ট্রফি জয়ের আশায় বুক বাঁধবেন। কারণ শেষ কয়েক বছরে ইংল্যান্ড বদলে গিয়েছে। গ্যারেথ সাউথগেটের প্রশিক্ষণে ইংল্যান্ড এখন নক আউটে কেঁপে যায় না, টাইব্রেকারে জিততে জানে। আগামীকাল রাতে যে ইংরেজ দল খেলতে নামবে, তাদের সেই হার না মানা মনোভাব সত্যিই অপরিচিত।

এ বারের ইউরো কাপে ইংল্যান্ড কখনও ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছে, কখনও পেনাল্টিতে গোল করে জিতেছে, কখনও শেষ মিনিটের গোলে জিতেছে। আগে সাধারণত এগুলি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হত। কিন্তু এ বারের ইউরো কাপে ইংল্যান্ডের জার্সিধারী ফুটবলারেরাই এই সব কা- ঘটিয়েছেন।

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে নিজেদের মাঠে পশ্চিম জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। সিনিয়র ফুটবলে সেটাই ইংল্যান্ডের একমাত্র ট্রফি। এ বারের ইউরো কাপে বদলে যাওয়া ইংরেজ দল সম্পর্কে কোচ সাউথগেট বলেছেন, ‘আমরা শুধু একটা প্রতিযোগিতা নিয়ে ভাবিনি। শুধু একমুখী পড়াশোনা করিনি। এই দলটা আলাদা।’

২০১৬ সালে দায়িত্ব দেয়া হয় সাউথগেটকে। আইসল্যান্ডের কাছে হেরে ইউরো থেকে বিদায় নেয়ার পর পরই কোচ করা হয়েছিল তাকে। সাউথগেটের প্রশিক্ষণে বদলাতে থাকে ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলে। ২০২১ সালে ইউরো কাপের ফাইনালে ওঠে। শেষ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। এ বারের ইউরো কাপে আবার ফাইনালে হ্যারি কেনেরা। গত ৭০ বছরে এক বার কোনো প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। গত আট বছরে সেখানে দ্বিতীয় ফাইনাল খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সাউথগেটের ছেলেরা।

ইংল্যান্ড জিতলেও হ্যারি কেনদের খেলা মন জিততে ব্যর্থ। বার বার বড় প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়া সমর্থকেরা বুঝতেই পারছেন না ফিল ফডেন, জুড বেলিংহ্যামদের ‘কুৎসিত’ ফুটবল দেখে কীভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা উচিত। তারা অভ্যস্ত ছিলেন বীরের মতো খেলে হেরে যাওয়া দেখতে, কিন্তু এখন দেখছেন কোনো মতে জিতে যাওয়া। ইংরেজ দল এখন অনেক বেশি যান্ত্রিক। তারা যেকোনো ভাবে জিততে জানেন।

ইংল্যান্ড ফুটবলের এই বদল এক দিনে হয়নি। পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। গোটা বিশ্বের সেরা কোচদের নিয়ে আসা হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে। ম্যান সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি এবং ম্যান ইউতে ইংরেজ ফুটবলারেরা তাদের হাতে তৈরি হচ্ছেন। ফুটবলের সেরা মস্তিষ্কের তীক্ষè নজর থাকছে ইংল্যান্ডের প্রতিভাবান ফুটবলারদের দিকে। স্পেনের পেপ গার্দিওলা থেকে জার্মানির ক্লপের মতো কোচেরা বেশ কয়েক বছর ধরেই ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবলের অংশ। সেটার ফল পাচ্ছে ইংল্যান্ড।

ইউরোপের অন্য দেশগুলির সঙ্গে ইংল্যান্ডের ফুটবলের ফারাকটা ধীরে ধীরে মুছে গিয়েছে এই কারণে। গার্দিওলার প্রশিক্ষণে তৈরি হওয়া ফুটবলারের সংখ্যা এখন স্পেনের থেকে বেশি রয়েছে ইংল্যান্ড দলে। সেরা উদাহরণ অবশ্যই ফডেন। ইংরেজ মিডফিল্ডারের তুলনা হতে পারে বার্সেলোনার অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা ফুটবলারদের সঙ্গে। ম্যান সিটির কোচ গার্দিওলা। তার প্রশিক্ষণেই তৈরি হয়েছেন ফডেন।

সাউথগেট এটাই চেয়েছিলেন। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান। আমাদের দেশের তরুণ প্রতিভারা গার্দিওলা, ক্লপ, কন্তে, ওয়েঙ্গার, মোরিনহোর মতো কোচেদের প্রশিক্ষণে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ক্লাবে প্রতি দিন, প্রতি মুহূর্তে এই কোচদের সামনে খেলছে তরুণ ফুটবলারেরা। সেই কারণেই এমন সব ফুটবলার তৈরি হচ্ছে দেশে।’

ইংল্যান্ড বুঝেছিল সিনিয়র ফুটবলে ট্রফি জিততে হলে, কাজটা শুরু করতে হবে জুনিয়র ফুটবল থেকেই। ১৯৬৬ সালের পর সিনিয়র দল কোনো ট্রফি জিততে না পারলেও ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। গত বছর অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো কাপ জিতেছিল তারা। সেটাও আবার স্পেনকে হারিয়ে। গত বছর অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো কাপ জেতা ইংরেজ দলে ছিলেন অ্যান্থনি গর্ডন এবং কোল পামার। ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন ফিল ফডেন, মার্ক গুয়েহি এবং কনর গালাঘের। ফডেন সেই প্রতিযোগিতায় সোনার বল জিতেছিলেন। এজরি কোনসা ছিলেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলে। এই ছ’জন ফুটবলারই রোববারের সিনিয়র ইংল্যান্ড দলে রয়েছেন।

কোচ সাউথগেটের মতে, এটাই নতুন ইংল্যান্ড। যে দল লড়তে জানে, যে দল নিজের জাত চেনাতে জানে।

ছবি

ভারী বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ, তিন ঘণ্টা পর ভিন্ন মাঠে শান্তির হ্যাটট্রিক

ছবি

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-২০ সিরিজের অঘোষিত ফাইনাল বুধবার

ইয়ংমেন্স ক্লাবের ওপর ফিফার দলবদলে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

উচ্ছ্বসিত স্টোকস; লড়াকু হারে খুশি গিল

‘চ্যাম্পিয়ন্স লীগের চেয়ে বড় হয়ে উঠবে ক্লাব বিশ্বকাপ’

বৃষ্টিতে ভেন্যু বদলে দুই মাঠে এক ম্যাচ, বাংলাদেশের দাপুটে জয়

ছবি

টেস্টে সর্বনিম্ন ২৭ রানে অলআউট উইন্ডিজ

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন চেলসি

ছবি

প্রথম উইম্বলডন জিতলেন ইতালির সিনার

ছবি

সিরাজের জরিমানা

ছবি

যতদিন উপভোগ করবো, খেলে যাবো: সাকিব

ছবি

জাতীয় ব্যাডমিন্টন উদ্বেধান করলেন বিসিবি সভাপতি

ছবি

সালাউদ্দিনের আমলের ২০ কোটি টাকার হিসাব চেয়ে বাফুফেকে চিঠি

কোচদের সঙ্গে বিসিবি সভাপতির বৈঠক

ছবি

বাংলাদেশের সামনে আজ ভুটান

সাকিবের সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারব: বুলবুল

ছবি

সিরিজ জেতার সুযোগ: শামীম

ছবি

লিটনের ঝলকে বড় জয়, সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ

ছবি

পিএসজিকে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন চেলসি, জোড়া গোল পালমারের

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

মার্কিন লীগে টানা ৫ ম্যাচে মেসির জোড়া গোল

ছবি

সাফ ট্রফির পথে আরও এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ

ছবি

অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকিতে বাংলাদেশের মেয়েদের ব্রোঞ্জ

ছবি

প্রথমবার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন শিয়াটেক

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের টিকেট অনলাইনে বিক্রি

ছবি

ক্লাব বিশ্বকাপ ‘বড় সাফল্য’: ফিফা সভাপতি

জাতীয় ব্যাডমিন্টন শুরু সোমবার

ছবি

অলিম্পিক স্বর্ণ পদক লক্ষ্য সাবার

ছবি

প্রবাসী নারী বক্সার জিনাতের স্বর্ণজয়

রাজশাহী মহানগর ও পুঠিয়া সেমিতে

ছবি

অবশেষে সাদা বলের ক্রিকেটে রান পেয়েছেন লিটন দাস

ছবি

টানা ৫ ম্যাচে জোড়া গোলে অপ্রতিরোধ্য মেসি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

উইম্বলডনের ফাইনালে ৬-০, ৬-০ জয়ে ইতিহাস গড়লেন শিয়াওতেক, অ্যানিসিমোভাকে দিলেন কেবল প্রশংসা

ছবি

রবিবার বাংলাদেশের সামনে হিমালয় কন্যারা

tab

খেলা

ইউরো ফাইনালে ইতিহাস গড়ার সুযোগ ‘নতুন’ ইংরেজদের

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

ফুটবলে ইংল্যান্ড মানেই একের পর এক প্রতিযোগিতা থেকে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফেরা। কখনও পেনাল্টি ফস্কানো, কখনও টাইব্রেকারে হার, কখনও আবার অখ্যাত কোনো দেশের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়া। এটাই ইংল্যান্ডের সমর্থকদের কাছে পরিচিত দৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। ১৯৬৬ সালের পর কোনো বড় ট্রফি জিততে না পারা দেশের কাছে খেতাব জয় শুধুই স্বপ্ন হয়ে থেকে যেত।

রোববার ইউরো কাপে স্পেনের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে নামার আগে যদিও সমর্থকেরা ট্রফি জয়ের আশায় বুক বাঁধবেন। কারণ শেষ কয়েক বছরে ইংল্যান্ড বদলে গিয়েছে। গ্যারেথ সাউথগেটের প্রশিক্ষণে ইংল্যান্ড এখন নক আউটে কেঁপে যায় না, টাইব্রেকারে জিততে জানে। আগামীকাল রাতে যে ইংরেজ দল খেলতে নামবে, তাদের সেই হার না মানা মনোভাব সত্যিই অপরিচিত।

এ বারের ইউরো কাপে ইংল্যান্ড কখনও ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছে, কখনও পেনাল্টিতে গোল করে জিতেছে, কখনও শেষ মিনিটের গোলে জিতেছে। আগে সাধারণত এগুলি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হত। কিন্তু এ বারের ইউরো কাপে ইংল্যান্ডের জার্সিধারী ফুটবলারেরাই এই সব কা- ঘটিয়েছেন।

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে নিজেদের মাঠে পশ্চিম জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। সিনিয়র ফুটবলে সেটাই ইংল্যান্ডের একমাত্র ট্রফি। এ বারের ইউরো কাপে বদলে যাওয়া ইংরেজ দল সম্পর্কে কোচ সাউথগেট বলেছেন, ‘আমরা শুধু একটা প্রতিযোগিতা নিয়ে ভাবিনি। শুধু একমুখী পড়াশোনা করিনি। এই দলটা আলাদা।’

২০১৬ সালে দায়িত্ব দেয়া হয় সাউথগেটকে। আইসল্যান্ডের কাছে হেরে ইউরো থেকে বিদায় নেয়ার পর পরই কোচ করা হয়েছিল তাকে। সাউথগেটের প্রশিক্ষণে বদলাতে থাকে ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলে। ২০২১ সালে ইউরো কাপের ফাইনালে ওঠে। শেষ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। এ বারের ইউরো কাপে আবার ফাইনালে হ্যারি কেনেরা। গত ৭০ বছরে এক বার কোনো প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। গত আট বছরে সেখানে দ্বিতীয় ফাইনাল খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সাউথগেটের ছেলেরা।

ইংল্যান্ড জিতলেও হ্যারি কেনদের খেলা মন জিততে ব্যর্থ। বার বার বড় প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়া সমর্থকেরা বুঝতেই পারছেন না ফিল ফডেন, জুড বেলিংহ্যামদের ‘কুৎসিত’ ফুটবল দেখে কীভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা উচিত। তারা অভ্যস্ত ছিলেন বীরের মতো খেলে হেরে যাওয়া দেখতে, কিন্তু এখন দেখছেন কোনো মতে জিতে যাওয়া। ইংরেজ দল এখন অনেক বেশি যান্ত্রিক। তারা যেকোনো ভাবে জিততে জানেন।

ইংল্যান্ড ফুটবলের এই বদল এক দিনে হয়নি। পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। গোটা বিশ্বের সেরা কোচদের নিয়ে আসা হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে। ম্যান সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি এবং ম্যান ইউতে ইংরেজ ফুটবলারেরা তাদের হাতে তৈরি হচ্ছেন। ফুটবলের সেরা মস্তিষ্কের তীক্ষè নজর থাকছে ইংল্যান্ডের প্রতিভাবান ফুটবলারদের দিকে। স্পেনের পেপ গার্দিওলা থেকে জার্মানির ক্লপের মতো কোচেরা বেশ কয়েক বছর ধরেই ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবলের অংশ। সেটার ফল পাচ্ছে ইংল্যান্ড।

ইউরোপের অন্য দেশগুলির সঙ্গে ইংল্যান্ডের ফুটবলের ফারাকটা ধীরে ধীরে মুছে গিয়েছে এই কারণে। গার্দিওলার প্রশিক্ষণে তৈরি হওয়া ফুটবলারের সংখ্যা এখন স্পেনের থেকে বেশি রয়েছে ইংল্যান্ড দলে। সেরা উদাহরণ অবশ্যই ফডেন। ইংরেজ মিডফিল্ডারের তুলনা হতে পারে বার্সেলোনার অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা ফুটবলারদের সঙ্গে। ম্যান সিটির কোচ গার্দিওলা। তার প্রশিক্ষণেই তৈরি হয়েছেন ফডেন।

সাউথগেট এটাই চেয়েছিলেন। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান। আমাদের দেশের তরুণ প্রতিভারা গার্দিওলা, ক্লপ, কন্তে, ওয়েঙ্গার, মোরিনহোর মতো কোচেদের প্রশিক্ষণে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ক্লাবে প্রতি দিন, প্রতি মুহূর্তে এই কোচদের সামনে খেলছে তরুণ ফুটবলারেরা। সেই কারণেই এমন সব ফুটবলার তৈরি হচ্ছে দেশে।’

ইংল্যান্ড বুঝেছিল সিনিয়র ফুটবলে ট্রফি জিততে হলে, কাজটা শুরু করতে হবে জুনিয়র ফুটবল থেকেই। ১৯৬৬ সালের পর সিনিয়র দল কোনো ট্রফি জিততে না পারলেও ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। গত বছর অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো কাপ জিতেছিল তারা। সেটাও আবার স্পেনকে হারিয়ে। গত বছর অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো কাপ জেতা ইংরেজ দলে ছিলেন অ্যান্থনি গর্ডন এবং কোল পামার। ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন ফিল ফডেন, মার্ক গুয়েহি এবং কনর গালাঘের। ফডেন সেই প্রতিযোগিতায় সোনার বল জিতেছিলেন। এজরি কোনসা ছিলেন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলে। এই ছ’জন ফুটবলারই রোববারের সিনিয়র ইংল্যান্ড দলে রয়েছেন।

কোচ সাউথগেটের মতে, এটাই নতুন ইংল্যান্ড। যে দল লড়তে জানে, যে দল নিজের জাত চেনাতে জানে।

back to top