বাংলাদেশের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর থাকছেন না। হয়তোবা ভারত সফরেই আর তাকে দলের সঙ্গে দেখা যাবে না’- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবরে সয়লাব। বলে রাখা ভালো, বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ হাথুরুর ব্যাপারে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন না। হাথুরুর বিষয়ে ফারুকের উৎসাহ খুব কম।
মূলত এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ‘বিসিবি সভাপতি যখন চান না, তখন আর হেড কোচ থাকবেন না হাথুরু। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে টিম বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় সাফল্যের পরও বলা হচ্ছে হাথুরু উপাখ্যান শেষ। ভারতের বিপক্ষে এ লঙ্কানকে আর কোচিং করাতে দেখা যাবে না।
সত্যিই কি তাই? খোঁজ নিয়ে অবশ্য এ খবরের সত্যতা মেলেনি। বরং ভেতরের খবর, ভারত সফরেও হাথুরুসিংহেই হেড কোচের ভূমিকায় থাকবেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান থেকে ছুটিতে যাওয়ার কথা থাকলেও, হাথুরু নাজমুল হোসেন শান্তদের সঙ্গে বুধবার রাতেই ঢাকায় ফিরে এসেছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় দলের বহরের সঙ্গে ভারত সফরেও যাবেন তিনি।
বোর্ডপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই হাথুরুর ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণ পোষণ করে আসছেন ফারুক আহমেদ। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ফারুক বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না হাথুরু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য খুব কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।’ তার কি এখনো মনে হয়, হাথুরু বাংলাদেশ দলের জন্য তেমন কার্যকর নন?
বোর্ড সভাপতি হওয়ার পর এমন প্রশ্ন করা হলে ফারুক আহমেদ, জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তিনি কি এখনো ওই অবস্থানেই আছেন? তবে সেটা পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় আনার কথাও বলেন তিনি।
বিসিবি সভাপতির শেষের কথাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেভাবে ছড়ায়নি। তাই বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের টেস্ট সিরিজ চলাকালীনও প্রতিনিয়ত লেখা হয়েছে, হাথুরু উপাখ্যান শেষ। পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজই শেষ। আর বাংলাদেশের হেড কোচ থাকবেন না এ লঙ্কান।
এদিকে বিসিবি প্রধানের বক্তব্য শোনার পর হাথুরুসিংহেও রাওয়ালপিন্ডিতে বসে জানিয়ে দেন, ‘তার কোচ থাকা না থাকা নিয়ে তিনি বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে আগ্রহী এবং সেটা তিনি বাংলাদেশে এসেই আলাপ আলোচনা করতে চান।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সাফল্যর পর পরই ভারতের সঙ্গে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মাত্র ২ সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে হেড কোচকে বরখাস্ত করলেও নতুন কোচের দেখা মিলবে না। মেলার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়।
হাথুরুসিংহের কোচিংয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ১০ ও ৬ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে কখনো পাকিস্তানকে হারানোর রেকর্ড ছিল না, সেখানে এবার পাকিস্তানিদের ২ ম্যাচের সিরিজে ‘ধবলধোলাই’ করে টাইগাররা নিজেদের সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেছে।
হেড কোচ হিসেবে এ সাফল্যে অবদান ও কৃতিত্ব আছে হাথুরুরও। তাই তাকে এখনই বাদ দেওয়াটা কেমন দেখায়! এ বাদ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। জানা গেছে, এ কারণেই মূলত ভারত সফরের আগে কোচ বদলের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন বিসিবি প্রধান ফারুক।
তবে তিনি বিষয়টিকে মাথা থেকে পুরোপুরি বাদ দেননি। ভারত সফরের পর অবস্থা বুঝে এবং কোনো ভারো মানের হেড কোচ পাওয়া সাপেক্ষে হয়তো পরবর্তীতে হাথুরুকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন বিসিবি সভাপতি।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সোনালি সাফল্যে মোড়ানো টেস্ট সিরিজ শেষ না হতেই ভারতের সঙ্গে প্রথমে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং এরপরপরই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইতে প্রথম টেস্ট। আর বাংলাদেশ দল ভারত যাবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
এরই মধ্যে টিম বাংলাদেশ ফিরে এসেছে দেশে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে লাল বলে অনুশীলন শুরু হবে টেস্ট দলের। বুধবার শেরে বাংলায় সাদা বলে অনুশীলন শুরু করেছেন মাত্র পাকিস্তান ফেরত ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ১২ ক্রিকেটার।
বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর থাকছেন না। হয়তোবা ভারত সফরেই আর তাকে দলের সঙ্গে দেখা যাবে না’- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবরে সয়লাব। বলে রাখা ভালো, বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ হাথুরুর ব্যাপারে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন না। হাথুরুর বিষয়ে ফারুকের উৎসাহ খুব কম।
মূলত এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ‘বিসিবি সভাপতি যখন চান না, তখন আর হেড কোচ থাকবেন না হাথুরু। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে টিম বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় সাফল্যের পরও বলা হচ্ছে হাথুরু উপাখ্যান শেষ। ভারতের বিপক্ষে এ লঙ্কানকে আর কোচিং করাতে দেখা যাবে না।
সত্যিই কি তাই? খোঁজ নিয়ে অবশ্য এ খবরের সত্যতা মেলেনি। বরং ভেতরের খবর, ভারত সফরেও হাথুরুসিংহেই হেড কোচের ভূমিকায় থাকবেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান থেকে ছুটিতে যাওয়ার কথা থাকলেও, হাথুরু নাজমুল হোসেন শান্তদের সঙ্গে বুধবার রাতেই ঢাকায় ফিরে এসেছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় দলের বহরের সঙ্গে ভারত সফরেও যাবেন তিনি।
বোর্ডপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই হাথুরুর ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণ পোষণ করে আসছেন ফারুক আহমেদ। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ফারুক বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না হাথুরু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য খুব কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।’ তার কি এখনো মনে হয়, হাথুরু বাংলাদেশ দলের জন্য তেমন কার্যকর নন?
বোর্ড সভাপতি হওয়ার পর এমন প্রশ্ন করা হলে ফারুক আহমেদ, জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তিনি কি এখনো ওই অবস্থানেই আছেন? তবে সেটা পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় আনার কথাও বলেন তিনি।
বিসিবি সভাপতির শেষের কথাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেভাবে ছড়ায়নি। তাই বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের টেস্ট সিরিজ চলাকালীনও প্রতিনিয়ত লেখা হয়েছে, হাথুরু উপাখ্যান শেষ। পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজই শেষ। আর বাংলাদেশের হেড কোচ থাকবেন না এ লঙ্কান।
এদিকে বিসিবি প্রধানের বক্তব্য শোনার পর হাথুরুসিংহেও রাওয়ালপিন্ডিতে বসে জানিয়ে দেন, ‘তার কোচ থাকা না থাকা নিয়ে তিনি বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে আগ্রহী এবং সেটা তিনি বাংলাদেশে এসেই আলাপ আলোচনা করতে চান।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সাফল্যর পর পরই ভারতের সঙ্গে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মাত্র ২ সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে হেড কোচকে বরখাস্ত করলেও নতুন কোচের দেখা মিলবে না। মেলার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়।
হাথুরুসিংহের কোচিংয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ১০ ও ৬ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে কখনো পাকিস্তানকে হারানোর রেকর্ড ছিল না, সেখানে এবার পাকিস্তানিদের ২ ম্যাচের সিরিজে ‘ধবলধোলাই’ করে টাইগাররা নিজেদের সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেছে।
হেড কোচ হিসেবে এ সাফল্যে অবদান ও কৃতিত্ব আছে হাথুরুরও। তাই তাকে এখনই বাদ দেওয়াটা কেমন দেখায়! এ বাদ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। জানা গেছে, এ কারণেই মূলত ভারত সফরের আগে কোচ বদলের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন বিসিবি প্রধান ফারুক।
তবে তিনি বিষয়টিকে মাথা থেকে পুরোপুরি বাদ দেননি। ভারত সফরের পর অবস্থা বুঝে এবং কোনো ভারো মানের হেড কোচ পাওয়া সাপেক্ষে হয়তো পরবর্তীতে হাথুরুকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন বিসিবি সভাপতি।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সোনালি সাফল্যে মোড়ানো টেস্ট সিরিজ শেষ না হতেই ভারতের সঙ্গে প্রথমে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং এরপরপরই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইতে প্রথম টেস্ট। আর বাংলাদেশ দল ভারত যাবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
এরই মধ্যে টিম বাংলাদেশ ফিরে এসেছে দেশে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে লাল বলে অনুশীলন শুরু হবে টেস্ট দলের। বুধবার শেরে বাংলায় সাদা বলে অনুশীলন শুরু করেছেন মাত্র পাকিস্তান ফেরত ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ১২ ক্রিকেটার।