আশ্বিনের ১০০ রান, ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। সাকিরের করা দলীয় ৭৮ ওভারের তৃতীয় বলটি লেগে ঘুরিয়ে দিয়েই ১০০ রান পূর্ণ করেন আশ্বিন। টেস্টে তার ষষ্ঠ শতক এটি। ২০২১ সালে চেন্নাইয়ে ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আজ আবার করলেন শতরান। দিনশেষে ১৪৪ রান ৬ উইকেট হারানো ভারতের রান ৩৩৯, হারাতে হয়নি আর কোনও উইকেট।
রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে সপ্তম উইকেটে আশ্বিনের ১৯৫ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ। ভারতের বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে রেকর্ডতো বটেই, চেন্নাইয়ের এই মাঠেরও সপ্তম উইকেটে রেকর্ড রান। দিনশেষ আশ্বিন ১০২ রানে আর জাদেজা ৮৬ রানে অপরাজিত।
প্রথম সেশন দুটি যদি বাংলাদেশের হয় তৃতীয় সেশনটি ভারতের। তৃতীয় সেশনে পুরোদস্তুর ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন আশ্বিন আর জাদেজা।দুজন এই সেশনে ১৬৩ রান তুলেছেন বিনা উইকেটে।
সরাসরি : অশ্বিনের পর জাদেজারও ফিফটি, ঘুরে দাড়িয়েছে ভারত
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৭১ ওভারে ২৯৫/৬
হাসান মাহমুদের ৬৮ ওভারের প্রথম বলটি লেগে ঘুরিয়ে দিয়েই ভৌ দৌড় দেয় জাদেজা ব্যক্তিগত ৫০ রানের মাইলফলক পূর্ণ হয় তার।সাথে ভারত প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে শক্ত অবস্থানে ৬৮ ওভার শেষে দলীয় স্কোর ২৭৫ রান ইউকেট সেই ৬ টিই যা ১৪৪ রানে শেষ পতন হয়েছিল।
ভারতের ডেসিং রুমের চেহারা বদলে দিয়েছে অশ্বিন, জাদেজা
১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় ভীষণ্ন ছিলো ভারতের ডেসিং রুম।
সেখানে পাল্টা প্রতিরোধ করে ওরা দুজন শত রানের পার্টনারশীপ, দলীয় সংগ্রহ ২৬৯ রান ৬৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে।
আনন্দ ফিরে আসা স্বাভাবিক
অশ্বিন ৭২ জাদেজা ৪৮ রান।
অশ্বিনের লড়াকু ৫০
নাহিদ রানার লেগ স্ট্যাম্পের উঁচু হওয়া বল লেগে ঘুরিয়ে দিয়ে ব্যক্তিগত ৫০ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অশ্বিন,জাদেজা পার্টনারশীপ দাঁড়ায় ৯২,দলীয় সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৬০ ওবার শেষে ২৩৮ রান
সেশনটি ভারতের হতে চলেছে।
তৃতীয় সেশনে বোলিংয়ে সাকিব
তৃতীয় সেশনে ব্যবধান গড়ে দিচ্ছে দুই বোলার অশ্বিন, জাদেজা।
সাকিবকে দুই ওভারে ৪, ৬ সহ ২১ রানে বরন করে নেয় ব্যাটার হয়ে যাওয়া হয়ে যাওয়া অশ্বিন এবং জাদেজা। কখনো নাহিদ রানা, কখনো সাকিব পরিবর্তন ঘটিয়েও তু সফলতা আসছে না!
চা বিরতির পর মাঠে এসেই আক্রমণাতক খেলতে থাকে দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার অশ্বিন এবং জাদেজা, ভারতের দলীয় রান ২০০ পার হয়। দুজন ৭১ বলে ৭০ রানের পার্টনারশীপ গড়ে তোলে জাদেজা ২৭ আর অশ্বিন ৪০ রানে ব্যাট করছে।
৬ ইউকেট হারিয়ে চাপে থেকে চা বিরতিতে ভারত
ক্রিজে অশ্বিন ৭ এবং জাদেজা ২১ রানে।
রাহুলের নতুন সঙ্গী জাদেজা
এবার মেহেদী মিরাজের প্রথম শিকার লোকেশ রাহুল, অনেক বির্তক সৃষ্টি করে ফর্মে থাকা সরফরাজ খানের পরিবর্তে একাদশে ডুকেন তিনি।কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি, ৪৩ তম ওভারের তৃতীয় বলে শর্ট লেগে জাকির হাসানের হাতে ধরা পরেন তিনি।
ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।
জয়সোয়ালকে ফিরিয়ে স্বস্তি বাংলাদেশের
একে একে ৪ উইকেটের পতন হলেও অবিচল থেকে খেলে যাচ্ছিলেন জয়সোয়াল! বার কয়েক বোলিং পরিবর্তন করেও আউট করা যাচ্ছিলোনা তাকে। এবার নাহিদ রানার ১৪৮ কিলোমিটার গতির বলটি খেলতে গিয়ে স্বাচ্ছন্দ ছিলেন না তিনি, ব্যাটের কানায় লেগে ১১৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটি শেষ হয়। ৪২ ওভারে ৫ উইকেটে ভারতের ১৪৪ স্কোর।
হাসানের আবার আঘাত, ভারতের চতুর্থ উইকেটের পতন
মধ্যবিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই আরেক উইকেটের পতন দেখলো ভারত। এবারও সেই হাসান মাহমুদ। রিশাভ পান্তকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন লিটন দাস।
ভারতের ৪টি উইকেটই নিলেন হাসান। তার বোলিং ফিগার ৯ এভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
পান্ত ও জয়সওয়ালে ভারতের প্রতিরোধের চেষ্টা
দিনের শুরুতে ৩ উইকেট হারাবার পর জুটি গড়লেন রিশাভ পান্ত ও ইয়াশাসবি জয়সওয়াল। তবু প্রথম ভারতে বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশন বাংলাদেশেরই।
মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ২৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৮ রান। জয়সওয়াল অপরাজিত ৬২ বলে ৩৭ রানে আর পান্ত ৪৪ বলে ৩৩ রানে আছেন ক্রিজে।
তবে চেন্নাইয়ের চিদাম্বর স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পর দুই দিকে সুইংয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত লাইন-লেংথে পশরা মেলে ধরেন তরুণ টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। ষষ্ঠ ওভারে রোহিতকে ফেরান তিনি। পরের ওভারে আউট করেন গিলকে। তারপরের অর্থাৎ তার তৃতীয় ওভারে শিকার করেন কোহলিকে।
ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে পাঁচ ওভারের স্পেলে তখন ২ মেডেনসহ মাত্র ৬ রানে ৩ উইকেট তরুণ হাসানের।
এরপর অবশ্য আর আনন্দের উপলক্ষ পায়নি বাংলাদেশ। পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেন জয়সওয়াল ও পান্ত। ওভারপ্রতি প্রায় ৪ রান করে নেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সাদমান সুযোগ হারানোয় ভারতীয় জুটির পঞ্চাশ
তবে বিরতির আগের ওভারে ফিরতে পারতেন পান্ত। কিন্তু স্লিপে 'আধা সুযোগ ' নিতে পারেননি সাদমান ইসলাম।
তাসকিন আহমেদের ক্রস সিম ডেলিভারি সামনে খেলার চেষ্টায় রিশাভ পান্তের ব্যাটের কানায় লাগে। স্লিপে উঠে ক্যাচ। তবে তা ধরতে পারেননি সাদমান ইসলাম। তার হাতের নিচ দিয়ে বল চলে যায় সীমানায়।
আর এতেই রিশাভ পান্ত ও ইয়াশাসবি জয়সওয়ালের জুটির পোরোয় পঞ্চাশ রান।
১৯তম ওভারে স্পিন আনলেন শান্ত
তিন পেসারকে দিয়ে টানা ১৮ ওভার করানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মধ্যাহ্ন বিরতির বাকি ১৫ মিনিটের কম সময়।
১৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৭ রান। জয়সওয়াল ৪৬ বলে ২৮ ও রিশাভ পান্ত ৩০ বলে ২১ রানে অপরাজিত। এই জুটির সংগ্রহ ৩৩ রান।
হাসান মাহমুদের শুরুর আঘাত, তিন উইকেট নেই ভারতের
দশম ওভারে ৩ উইকেটে ৩৪ রান করেছে ভারত। রোহিত শর্মা, শুবমান গিল এবং ভিরাট কোহলিকে ধরতে হয়েছে প্যাভিলিয়নের পথ। তিনটি উইকেটই নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
৬ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৪ রানে ছিলো ভারত। রোহিত শর্মা ১০ বলে ৬ রান করে ক্যাচের শিকার হন নাজমুল শান্তর হাতে। বোলার হাসান মাহমুদ।
আর শুবমান গিলকে শূণ্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান হাসান। এবার উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচের শিকার। শুবমান রানের থাকাই খুলতে পারেননি।
পরের ওভারেই ভিরাট কোহলিকেও উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন হাসান মাহমুদ। ৬ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় কোহলিকে।
প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের দাপট
টসের সময় নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, উইকেটের আর্দ্রতা কাজে লাগাতে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন তিনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করেছেন হাসান মাহমুদ। প্রথম ঘণ্টায় ৩ উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার।
অন্য প্রান্তে তাসকিন অবশ্য কিছুটা এলোমেলো বোলিং করেছেন। ৫ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ফেলেন তিনি। ১১তম ওভারে তাই নাহিদ রানাকে আক্রমণে আনেন শান্ত। প্রথম বলটিই ১৪৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে করেন নাহিদ।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
চেন্নাইয়ের চিদাম্বর স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেষ্টে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দীর্ঘ ২১ ম্যাচ পর এই মাঠে টসজয়ী দলের এমন সিদ্ধান্ত। ১৯৮২ সালে সর্বশেষ টসজয়ী দল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি জয়ী দ্বিতীয় টেস্টের একাদশই রেখে দিয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ
জাকির হাসান,সাদমান ইসলাম,নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক)মুমিনুল হক,সাকিব আল হাসান,মুশফিকুর রহিম,মেহেদী হাসান মিরাজ,লিটন কুমার দাশ,তাসকিন আহমেদ,নাহিদ রানা,হাসান মাহমুদ।
ভারতীয় একাদশ
রোহিত শর্মা,যশস্বী জয়সোয়াল, শুবমান গিল, ভিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, রিষাভ পান্ত, রবিচন্দ্রন আশ্বিন, আকাশ দীপ, যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ।
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আশ্বিনের ১০০ রান, ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। সাকিরের করা দলীয় ৭৮ ওভারের তৃতীয় বলটি লেগে ঘুরিয়ে দিয়েই ১০০ রান পূর্ণ করেন আশ্বিন। টেস্টে তার ষষ্ঠ শতক এটি। ২০২১ সালে চেন্নাইয়ে ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আজ আবার করলেন শতরান। দিনশেষে ১৪৪ রান ৬ উইকেট হারানো ভারতের রান ৩৩৯, হারাতে হয়নি আর কোনও উইকেট।
রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে সপ্তম উইকেটে আশ্বিনের ১৯৫ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ। ভারতের বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে রেকর্ডতো বটেই, চেন্নাইয়ের এই মাঠেরও সপ্তম উইকেটে রেকর্ড রান। দিনশেষ আশ্বিন ১০২ রানে আর জাদেজা ৮৬ রানে অপরাজিত।
প্রথম সেশন দুটি যদি বাংলাদেশের হয় তৃতীয় সেশনটি ভারতের। তৃতীয় সেশনে পুরোদস্তুর ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন আশ্বিন আর জাদেজা।দুজন এই সেশনে ১৬৩ রান তুলেছেন বিনা উইকেটে।
সরাসরি : অশ্বিনের পর জাদেজারও ফিফটি, ঘুরে দাড়িয়েছে ভারত
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৭১ ওভারে ২৯৫/৬
হাসান মাহমুদের ৬৮ ওভারের প্রথম বলটি লেগে ঘুরিয়ে দিয়েই ভৌ দৌড় দেয় জাদেজা ব্যক্তিগত ৫০ রানের মাইলফলক পূর্ণ হয় তার।সাথে ভারত প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে শক্ত অবস্থানে ৬৮ ওভার শেষে দলীয় স্কোর ২৭৫ রান ইউকেট সেই ৬ টিই যা ১৪৪ রানে শেষ পতন হয়েছিল।
ভারতের ডেসিং রুমের চেহারা বদলে দিয়েছে অশ্বিন, জাদেজা
১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় ভীষণ্ন ছিলো ভারতের ডেসিং রুম।
সেখানে পাল্টা প্রতিরোধ করে ওরা দুজন শত রানের পার্টনারশীপ, দলীয় সংগ্রহ ২৬৯ রান ৬৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে।
আনন্দ ফিরে আসা স্বাভাবিক
অশ্বিন ৭২ জাদেজা ৪৮ রান।
অশ্বিনের লড়াকু ৫০
নাহিদ রানার লেগ স্ট্যাম্পের উঁচু হওয়া বল লেগে ঘুরিয়ে দিয়ে ব্যক্তিগত ৫০ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অশ্বিন,জাদেজা পার্টনারশীপ দাঁড়ায় ৯২,দলীয় সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৬০ ওবার শেষে ২৩৮ রান
সেশনটি ভারতের হতে চলেছে।
তৃতীয় সেশনে বোলিংয়ে সাকিব
তৃতীয় সেশনে ব্যবধান গড়ে দিচ্ছে দুই বোলার অশ্বিন, জাদেজা।
সাকিবকে দুই ওভারে ৪, ৬ সহ ২১ রানে বরন করে নেয় ব্যাটার হয়ে যাওয়া হয়ে যাওয়া অশ্বিন এবং জাদেজা। কখনো নাহিদ রানা, কখনো সাকিব পরিবর্তন ঘটিয়েও তু সফলতা আসছে না!
চা বিরতির পর মাঠে এসেই আক্রমণাতক খেলতে থাকে দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার অশ্বিন এবং জাদেজা, ভারতের দলীয় রান ২০০ পার হয়। দুজন ৭১ বলে ৭০ রানের পার্টনারশীপ গড়ে তোলে জাদেজা ২৭ আর অশ্বিন ৪০ রানে ব্যাট করছে।
৬ ইউকেট হারিয়ে চাপে থেকে চা বিরতিতে ভারত
ক্রিজে অশ্বিন ৭ এবং জাদেজা ২১ রানে।
রাহুলের নতুন সঙ্গী জাদেজা
এবার মেহেদী মিরাজের প্রথম শিকার লোকেশ রাহুল, অনেক বির্তক সৃষ্টি করে ফর্মে থাকা সরফরাজ খানের পরিবর্তে একাদশে ডুকেন তিনি।কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি, ৪৩ তম ওভারের তৃতীয় বলে শর্ট লেগে জাকির হাসানের হাতে ধরা পরেন তিনি।
ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।
জয়সোয়ালকে ফিরিয়ে স্বস্তি বাংলাদেশের
একে একে ৪ উইকেটের পতন হলেও অবিচল থেকে খেলে যাচ্ছিলেন জয়সোয়াল! বার কয়েক বোলিং পরিবর্তন করেও আউট করা যাচ্ছিলোনা তাকে। এবার নাহিদ রানার ১৪৮ কিলোমিটার গতির বলটি খেলতে গিয়ে স্বাচ্ছন্দ ছিলেন না তিনি, ব্যাটের কানায় লেগে ১১৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটি শেষ হয়। ৪২ ওভারে ৫ উইকেটে ভারতের ১৪৪ স্কোর।
হাসানের আবার আঘাত, ভারতের চতুর্থ উইকেটের পতন
মধ্যবিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই আরেক উইকেটের পতন দেখলো ভারত। এবারও সেই হাসান মাহমুদ। রিশাভ পান্তকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন লিটন দাস।
ভারতের ৪টি উইকেটই নিলেন হাসান। তার বোলিং ফিগার ৯ এভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
পান্ত ও জয়সওয়ালে ভারতের প্রতিরোধের চেষ্টা
দিনের শুরুতে ৩ উইকেট হারাবার পর জুটি গড়লেন রিশাভ পান্ত ও ইয়াশাসবি জয়সওয়াল। তবু প্রথম ভারতে বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশন বাংলাদেশেরই।
মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ২৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৮ রান। জয়সওয়াল অপরাজিত ৬২ বলে ৩৭ রানে আর পান্ত ৪৪ বলে ৩৩ রানে আছেন ক্রিজে।
তবে চেন্নাইয়ের চিদাম্বর স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পর দুই দিকে সুইংয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত লাইন-লেংথে পশরা মেলে ধরেন তরুণ টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। ষষ্ঠ ওভারে রোহিতকে ফেরান তিনি। পরের ওভারে আউট করেন গিলকে। তারপরের অর্থাৎ তার তৃতীয় ওভারে শিকার করেন কোহলিকে।
ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে পাঁচ ওভারের স্পেলে তখন ২ মেডেনসহ মাত্র ৬ রানে ৩ উইকেট তরুণ হাসানের।
এরপর অবশ্য আর আনন্দের উপলক্ষ পায়নি বাংলাদেশ। পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেন জয়সওয়াল ও পান্ত। ওভারপ্রতি প্রায় ৪ রান করে নেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সাদমান সুযোগ হারানোয় ভারতীয় জুটির পঞ্চাশ
তবে বিরতির আগের ওভারে ফিরতে পারতেন পান্ত। কিন্তু স্লিপে 'আধা সুযোগ ' নিতে পারেননি সাদমান ইসলাম।
তাসকিন আহমেদের ক্রস সিম ডেলিভারি সামনে খেলার চেষ্টায় রিশাভ পান্তের ব্যাটের কানায় লাগে। স্লিপে উঠে ক্যাচ। তবে তা ধরতে পারেননি সাদমান ইসলাম। তার হাতের নিচ দিয়ে বল চলে যায় সীমানায়।
আর এতেই রিশাভ পান্ত ও ইয়াশাসবি জয়সওয়ালের জুটির পোরোয় পঞ্চাশ রান।
১৯তম ওভারে স্পিন আনলেন শান্ত
তিন পেসারকে দিয়ে টানা ১৮ ওভার করানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মধ্যাহ্ন বিরতির বাকি ১৫ মিনিটের কম সময়।
১৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৭ রান। জয়সওয়াল ৪৬ বলে ২৮ ও রিশাভ পান্ত ৩০ বলে ২১ রানে অপরাজিত। এই জুটির সংগ্রহ ৩৩ রান।
হাসান মাহমুদের শুরুর আঘাত, তিন উইকেট নেই ভারতের
দশম ওভারে ৩ উইকেটে ৩৪ রান করেছে ভারত। রোহিত শর্মা, শুবমান গিল এবং ভিরাট কোহলিকে ধরতে হয়েছে প্যাভিলিয়নের পথ। তিনটি উইকেটই নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
৬ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৪ রানে ছিলো ভারত। রোহিত শর্মা ১০ বলে ৬ রান করে ক্যাচের শিকার হন নাজমুল শান্তর হাতে। বোলার হাসান মাহমুদ।
আর শুবমান গিলকে শূণ্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান হাসান। এবার উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচের শিকার। শুবমান রানের থাকাই খুলতে পারেননি।
পরের ওভারেই ভিরাট কোহলিকেও উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন হাসান মাহমুদ। ৬ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় কোহলিকে।
প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের দাপট
টসের সময় নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, উইকেটের আর্দ্রতা কাজে লাগাতে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন তিনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করেছেন হাসান মাহমুদ। প্রথম ঘণ্টায় ৩ উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার।
অন্য প্রান্তে তাসকিন অবশ্য কিছুটা এলোমেলো বোলিং করেছেন। ৫ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ফেলেন তিনি। ১১তম ওভারে তাই নাহিদ রানাকে আক্রমণে আনেন শান্ত। প্রথম বলটিই ১৪৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে করেন নাহিদ।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
চেন্নাইয়ের চিদাম্বর স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেষ্টে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দীর্ঘ ২১ ম্যাচ পর এই মাঠে টসজয়ী দলের এমন সিদ্ধান্ত। ১৯৮২ সালে সর্বশেষ টসজয়ী দল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি জয়ী দ্বিতীয় টেস্টের একাদশই রেখে দিয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ
জাকির হাসান,সাদমান ইসলাম,নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক)মুমিনুল হক,সাকিব আল হাসান,মুশফিকুর রহিম,মেহেদী হাসান মিরাজ,লিটন কুমার দাশ,তাসকিন আহমেদ,নাহিদ রানা,হাসান মাহমুদ।
ভারতীয় একাদশ
রোহিত শর্মা,যশস্বী জয়সোয়াল, শুবমান গিল, ভিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, রিষাভ পান্ত, রবিচন্দ্রন আশ্বিন, আকাশ দীপ, যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ।