শেষ ১২ ম্যাচে নয় হার দেখলো ইউরোপের সাম্প্রতিক সময়ের সফলতম ক্লাবটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ ৮ ম্যাচে ষষ্ঠ হার সিটিজেনদের। গতকাল রাতে ভিলা পার্কে ২-১ গোলে অ্যাষ্টন ভিলার কাছে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
শুনতে, বলতে অবিশ্বাস্য লাগছে, বর্তমানে সিটির খেলার শেষে সবাই ফলাফল দেখার আগেই জিগ্যেস করে আজ সিটি কতো গোলে হারলো। হার যেন নিয়ম আর নিয়তি বানিয়ে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। গত ৪ টি প্রিমিয়ার লিগে যাদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো।জিতেছে ২০২৩ সালে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফিও। সেই সিটিই আজ বিস্ময়করভাবে বদলে গেছে। সবকিছুর কারন জানা যায় না।
গতকালকের খেলা শেষে সিটির কোচের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন কারন কি, এই হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়ার? পেপ গুয়ার্দিওলা উল্টো সাংবাদিকদেরই সহায়তা চাইলেন। বললেন কারণ তার জানা নেই। ‘আপনারা কারন পেলে জানাবেন।’
নিজেদের মাঠে শুরুতেই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা। সিটির গোল রক্ষক স্টেফান ওর্তেগা অতিমানবীয় বাঁধা হয়ে না দাঁড়ালে ৬ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল হজম করতে হতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ততোক্ষণে অবশ্য সিটি তাদের অর্ধে বল নিয়ে নিজেদের গোছানোর চেষ্টায় ছিলো। ছোট ছোট পাসে বল নিয়ে আক্রমণে উঠবার চেষ্টাও করেছে।
কিন্তু সব বদলে যায় ম্যাচের ১৬ মিনিটের সময়। সিটিজেনদের চমকে দিয়ে ভিলার মিডফিল্ডার ইউরি টিলেমানসের দূর্দান্ত পাস থেকে মরগান রর্জাস একাই সিটির বক্সে ঢুকে পড়েন। নিজে চাইলেই গোল করতে পারতেন কিন্তু তিনি বল বাড়িয়ে দেন সতীর্থ দুরানকে। ফাঁকায় ওয়ানটাচে বল জালে জড়ালে ১-০ তে এগিয়ে যায় ভিলা।
প্রথমার্ধে কয়েকবার ভিলার ডিফেন্স লাইন অতিক্রম করেও গোল করতে পারেনি সিটি। এসময় নিজেদেরকে ফিরে পাবার চেষ্টা ছিলো তাদের।
বিরতির পর কয়েকবার সিটিকে বিপদে ফেলেছিল অ্যাস্টন ভিলা। কিন্তু গোল মুখ থেকে গোল রক্ষক ওর্তেগা ফিরিয়ে দিলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ভিলা।
তখন খেলায় ধীরগতি দেখা দেয় সিটির। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি গোলও অবশ্য করেছিল ভিলা। কিন্তু সামান্যর জন্য অফসাইডে কাটা পরে গোলটি।
ম্যাচের ৬৫ মিনিটে আর ভুল করেনি ভিলা দলের সম্মিলিত আক্রমণে বল নিয়ে সিটির বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়ে। জন ম্যাকগিলের অ্যাসিস্ট থেকে বল পেয়ে গোল করেন রজার্স। দুই গোলে ভিলা এগিয়ে যায়।
ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে সিটির ফিল ফোডেন সান্ত্বনার একটি গোল করেন। তাতে শুধু ব্যবধানই কমেছে, ঠেকানো যায়নি পরাজয়।
এই পরাজয়ের ফলে, এই মৌসুমে লিগ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে কাগজে কলমে টিকে থাকলেও বাস্তবতা পুরো ভিন্ন ম্যানচেস্টার সিটির। শীর্ষে থাকা লিভারপুল দুই ম্যাচ কম খেলে সিটির চেয়ে এগিয়ে ৯ পয়েন্ট। লিভারপুলের ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট, চেলসি ১৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। ম্যানচেস্টার সিটি ১৭ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে।
রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
শেষ ১২ ম্যাচে নয় হার দেখলো ইউরোপের সাম্প্রতিক সময়ের সফলতম ক্লাবটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ ৮ ম্যাচে ষষ্ঠ হার সিটিজেনদের। গতকাল রাতে ভিলা পার্কে ২-১ গোলে অ্যাষ্টন ভিলার কাছে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
শুনতে, বলতে অবিশ্বাস্য লাগছে, বর্তমানে সিটির খেলার শেষে সবাই ফলাফল দেখার আগেই জিগ্যেস করে আজ সিটি কতো গোলে হারলো। হার যেন নিয়ম আর নিয়তি বানিয়ে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। গত ৪ টি প্রিমিয়ার লিগে যাদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো।জিতেছে ২০২৩ সালে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফিও। সেই সিটিই আজ বিস্ময়করভাবে বদলে গেছে। সবকিছুর কারন জানা যায় না।
গতকালকের খেলা শেষে সিটির কোচের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন কারন কি, এই হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়ার? পেপ গুয়ার্দিওলা উল্টো সাংবাদিকদেরই সহায়তা চাইলেন। বললেন কারণ তার জানা নেই। ‘আপনারা কারন পেলে জানাবেন।’
নিজেদের মাঠে শুরুতেই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা। সিটির গোল রক্ষক স্টেফান ওর্তেগা অতিমানবীয় বাঁধা হয়ে না দাঁড়ালে ৬ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল হজম করতে হতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ততোক্ষণে অবশ্য সিটি তাদের অর্ধে বল নিয়ে নিজেদের গোছানোর চেষ্টায় ছিলো। ছোট ছোট পাসে বল নিয়ে আক্রমণে উঠবার চেষ্টাও করেছে।
কিন্তু সব বদলে যায় ম্যাচের ১৬ মিনিটের সময়। সিটিজেনদের চমকে দিয়ে ভিলার মিডফিল্ডার ইউরি টিলেমানসের দূর্দান্ত পাস থেকে মরগান রর্জাস একাই সিটির বক্সে ঢুকে পড়েন। নিজে চাইলেই গোল করতে পারতেন কিন্তু তিনি বল বাড়িয়ে দেন সতীর্থ দুরানকে। ফাঁকায় ওয়ানটাচে বল জালে জড়ালে ১-০ তে এগিয়ে যায় ভিলা।
প্রথমার্ধে কয়েকবার ভিলার ডিফেন্স লাইন অতিক্রম করেও গোল করতে পারেনি সিটি। এসময় নিজেদেরকে ফিরে পাবার চেষ্টা ছিলো তাদের।
বিরতির পর কয়েকবার সিটিকে বিপদে ফেলেছিল অ্যাস্টন ভিলা। কিন্তু গোল মুখ থেকে গোল রক্ষক ওর্তেগা ফিরিয়ে দিলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ভিলা।
তখন খেলায় ধীরগতি দেখা দেয় সিটির। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি গোলও অবশ্য করেছিল ভিলা। কিন্তু সামান্যর জন্য অফসাইডে কাটা পরে গোলটি।
ম্যাচের ৬৫ মিনিটে আর ভুল করেনি ভিলা দলের সম্মিলিত আক্রমণে বল নিয়ে সিটির বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়ে। জন ম্যাকগিলের অ্যাসিস্ট থেকে বল পেয়ে গোল করেন রজার্স। দুই গোলে ভিলা এগিয়ে যায়।
ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে সিটির ফিল ফোডেন সান্ত্বনার একটি গোল করেন। তাতে শুধু ব্যবধানই কমেছে, ঠেকানো যায়নি পরাজয়।
এই পরাজয়ের ফলে, এই মৌসুমে লিগ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে কাগজে কলমে টিকে থাকলেও বাস্তবতা পুরো ভিন্ন ম্যানচেস্টার সিটির। শীর্ষে থাকা লিভারপুল দুই ম্যাচ কম খেলে সিটির চেয়ে এগিয়ে ৯ পয়েন্ট। লিভারপুলের ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট, চেলসি ১৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। ম্যানচেস্টার সিটি ১৭ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে।