বাংলাদেশ দলে খুব বেশি হার্ড হিটার ব্যাটার নেই বললেই চলে। তার ওপর দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান বির্তকিতভাবে দলে নেই। খেলবেন না জানিয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল খানও।তাই অভিজ্ঞতার হিসেবে লিটন কুমার দাসের দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে কিছুটা সম্ভাবনা ছিলো।
পাওয়ার প্লেতে লিটন কুমার দাস ব্যতিক্রম। কিন্তু সেই লিটনই অবশেষে বাদ পরলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে নির্বাচক প্যানেলকে। সেখানে এ নিয়ে ব্যাখা দিলেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
লিটনের বাদ পরা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের রান খরাকে। দল মজবুত স্কোর পেলেও লিটন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ছিলেন ধারাবাহিক ব্যর্থ। তিন ওয়ানডেতে তার স্কোর ছিলো ২, ৪ ও ০, যা সবচেয়ে বেশি বিবেচনায় রেখেছেন তারা। তাছাড়া বিপিএলেও লিটন রান পাচ্ছেন না। এমনকি ঢাকা ক্যাপিটালসের নিয়মিত স্কোয়াড থেকেও বাদ পড়েছেন এক ম্যাচে।
গাজী আশরাফ হোসেন আরো ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘প্রতিপক্ষের ভিডিও অ্যানালিষ্টের সামনেও নাকি তার ব্যাটিং রহস্য ফাঁস হয়ে গেছে। তার আউট হবার স্টাইল একই রকমের অধিকাংশ সময়। সাদা বলে পাওয়ার প্লেতে তেমন কিছু করতে না পারা। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে না পারা। তারপরও তার ক্লাস বিবেচনায় বারবার সুযোগ দেয়ার পরও কাজে লাগাতে না পারা। আমরা যে তার প্রতি বিশ্বাস রাখবো সে জায়গাটা নড়বড়ে বলা চলে।’
তাছাড়া সৌম্য সরকার এবং তানজিদ হাসান তামিমের উদ্বোধনী জুটির ‘সাফল্য’। যারা বিগত কয়েক সিরিজে ভালো করেছেন সেখানে আর পরিবর্তন এতো বড় টুর্নামেন্টে নির্বাচকরা সে রিস্ক আর নিচ্ছেন না।
লিটনের শেষ ৭ ইনিংসের পরিসংখ্যান আরও খারাপ। নেই দু অংকের কোন স্কোর। তাছাড়া ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ফিফটির পর থেকে টানা ১৪ ইনিংসে ফিফটির দেখা নেই। তবে তার প্রতিভা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই নির্বাচকদের। গাজী আশরাফ বলেন, ‘দলে না থাকলে সেই সময়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা তাকে সময় দিয়ে সেখান থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালাবে। তাকে অফফর্ম থেকে বের করে আনতে আরো চেষ্টা চলবে।’
ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে সফল লিটন কুমার দাশ ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে তার অনবদ্য ১১৭ বলে ১২১ রান আজও স্মরণীয় সবার কাছে। তাছাড়া ২০২৩ বিশ্বকাপেও তিনি ভারতের বিপক্ষে ৬৬ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। এবারও ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে বাংলাদেশের ম্যাচ আছে ২০ ফেব্রুয়ারী দুবাইয়ে। ভারতের বিপক্ষে এতোটা সফল হবার পরও তাকে সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে বিবেচনা করা হয়নি।
তাছাড়া পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের সাথে ম্যাচ আছে। সেই উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। এমন উইকেটে প্রথম দিকের ব্যাটারদেরই রান করতে হয়। নইলে বড় স্কোর সম্ভব হয়না। যেখানে বড় স্কোর করেও জিততে কষ্ট হয়।সেখানে লিটন কুমার দাশ শুরুতে ভালো স্কোর না করতে পারলে দল বিপদে পড়ার আশংকা থেকেই বাদ দেয়া হলো লিটনকে।
রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ দলে খুব বেশি হার্ড হিটার ব্যাটার নেই বললেই চলে। তার ওপর দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান বির্তকিতভাবে দলে নেই। খেলবেন না জানিয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল খানও।তাই অভিজ্ঞতার হিসেবে লিটন কুমার দাসের দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে কিছুটা সম্ভাবনা ছিলো।
পাওয়ার প্লেতে লিটন কুমার দাস ব্যতিক্রম। কিন্তু সেই লিটনই অবশেষে বাদ পরলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে নির্বাচক প্যানেলকে। সেখানে এ নিয়ে ব্যাখা দিলেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
লিটনের বাদ পরা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের রান খরাকে। দল মজবুত স্কোর পেলেও লিটন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ছিলেন ধারাবাহিক ব্যর্থ। তিন ওয়ানডেতে তার স্কোর ছিলো ২, ৪ ও ০, যা সবচেয়ে বেশি বিবেচনায় রেখেছেন তারা। তাছাড়া বিপিএলেও লিটন রান পাচ্ছেন না। এমনকি ঢাকা ক্যাপিটালসের নিয়মিত স্কোয়াড থেকেও বাদ পড়েছেন এক ম্যাচে।
গাজী আশরাফ হোসেন আরো ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘প্রতিপক্ষের ভিডিও অ্যানালিষ্টের সামনেও নাকি তার ব্যাটিং রহস্য ফাঁস হয়ে গেছে। তার আউট হবার স্টাইল একই রকমের অধিকাংশ সময়। সাদা বলে পাওয়ার প্লেতে তেমন কিছু করতে না পারা। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে না পারা। তারপরও তার ক্লাস বিবেচনায় বারবার সুযোগ দেয়ার পরও কাজে লাগাতে না পারা। আমরা যে তার প্রতি বিশ্বাস রাখবো সে জায়গাটা নড়বড়ে বলা চলে।’
তাছাড়া সৌম্য সরকার এবং তানজিদ হাসান তামিমের উদ্বোধনী জুটির ‘সাফল্য’। যারা বিগত কয়েক সিরিজে ভালো করেছেন সেখানে আর পরিবর্তন এতো বড় টুর্নামেন্টে নির্বাচকরা সে রিস্ক আর নিচ্ছেন না।
লিটনের শেষ ৭ ইনিংসের পরিসংখ্যান আরও খারাপ। নেই দু অংকের কোন স্কোর। তাছাড়া ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ফিফটির পর থেকে টানা ১৪ ইনিংসে ফিফটির দেখা নেই। তবে তার প্রতিভা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই নির্বাচকদের। গাজী আশরাফ বলেন, ‘দলে না থাকলে সেই সময়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা তাকে সময় দিয়ে সেখান থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালাবে। তাকে অফফর্ম থেকে বের করে আনতে আরো চেষ্টা চলবে।’
ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে সফল লিটন কুমার দাশ ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে তার অনবদ্য ১১৭ বলে ১২১ রান আজও স্মরণীয় সবার কাছে। তাছাড়া ২০২৩ বিশ্বকাপেও তিনি ভারতের বিপক্ষে ৬৬ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। এবারও ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে বাংলাদেশের ম্যাচ আছে ২০ ফেব্রুয়ারী দুবাইয়ে। ভারতের বিপক্ষে এতোটা সফল হবার পরও তাকে সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে বিবেচনা করা হয়নি।
তাছাড়া পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের সাথে ম্যাচ আছে। সেই উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। এমন উইকেটে প্রথম দিকের ব্যাটারদেরই রান করতে হয়। নইলে বড় স্কোর সম্ভব হয়না। যেখানে বড় স্কোর করেও জিততে কষ্ট হয়।সেখানে লিটন কুমার দাশ শুরুতে ভালো স্কোর না করতে পারলে দল বিপদে পড়ার আশংকা থেকেই বাদ দেয়া হলো লিটনকে।