চলতি বিপিএলে বরিশালের দলে দেশের চার স্পিনারের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ তাইজুল ইসলাম। অথচ গোটা মৌসুমে এখনও পর্যন্ত তিনি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র একটি! এতে অবশ্য তার অভিযোগÑআক্ষেপ নেই তেমন। বরং দলের বাস্তবতা তিনি অনুভব করতে পারছেন।
বরিশালের মূল স্পিনার হিসেবে এবার খেলছেন তানভির ইসলাম। গত তিন বিপিএলে কুমিল্লা দলের হয়ে তার উইকেট ছিল ১৬, ১৭ ও ১৩টি। এবার বরিশালের ১১ ম্যাচের ১০টিই খেলেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার, উইকেট নিয়েছেন ১০টি।
জাতীয় দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন বরিশালের হয়ে প্রথমবার খেলে এবার উইকেট নিয়েছেন ৮ ম্যাচে ৬টি। পাশাপাশি অবদান রেখেছেন তিনি ব্যাটিংয়ে।
স্রেফ একটি ম্যাচে সুযোগ পাওয়া তাইজুল তিন ওভারে ২১ রান দিয়ে উইকেট পাননি। আরেক অভিজ্ঞ স্পিনার নাঈম হাসান তো একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি।
শুক্রবার ৩১শে জানুয়ারি মিরপুরে দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেন, তাদের দলের বাস্তবতা অনুভব করেই ম্যাচ খেলার আশা করেননি নিজেই।
‘আমি ম্যাচ খেলিনি। না খেলাটাই স্বাভাবিক। দলে রিশাদ বা তানভির, ওরা এখন বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছে টি-২০ সংস্করণে। এখানে প্রশ্নই আসে না যে, আমি অনেক ম্যাচ খেলবো। এটাই স্বাভাবিক ও মেনে নিতে হবে। আমাদের দল ভালো খেলছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
চার স্পিনারের মধ্যে একশর বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল তাইজুলেরই। তবে তিনি আবারও বলেন, দলের প্রয়োজনই সবকিছুর আগে।
‘অভিজ্ঞতার কিছু নেই। আগেও খেলেছি, বিপিএল নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা আমার আছে। পরিস্থিতি বুঝতে হবে যে, আমাদের দলটা কেমন বা দলে কেমন ক্রিকেটার আছে।’
‘এর ফরম্যাটে আমাদের জাতীয় দলে যে দুজন খেলে, তানভির আর রিশাদ, ওরা খেলছে এখানে। ওদেরকে এখানে খেলাবেন না, তা তো হয় না। তারা যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করছে। তারা যদি একবারে পারফর্ম না করতো, তাহলে আমার সুযোগ আসতো।’
শুধু তাইজুল-নাঈমরাই নন, জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তও নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না বরিশালের হয়ে। শুরুতে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে খেলে একটি ম্যাচ ছাড়া তিনি ভালো কিছু আর করতে পারেননি। এরপর আর একাদশেই জায়গা মিলছে না। তাইজুল আবারও তুলে ধরলেন তাদের দলের শক্তির গভীরতার দিকটি।
‘আমাদের দলটা তো দেখতে হবে। অন্য দলগুলো দেখেন, আমাদেরটা দেখেন যে, আমাদের দলের বেঞ্চে কারা বসে আছে। তাদেরকে দিয়ে অন্য দলের চেয়ে হয়তো ভালো দল করা যাবে, আমার কাছে মনে হয়।’
এমন দল নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই প্রাথমিক পর্বে শীর্ষে আছে বরিশাল। এই পর্বের শেষ ম্যাচে গত শনিবার তারা হেরে গেলেও শীর্ষে থেকেই খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। তবে তাইজুল স্পষ্ট করেই বললেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া অন্য কোনো ফল ভাবছেন না তারা।
‘আমাদের চোখ এক দিকেই, ট্রফির দিকে। এটা করার জন্য আমাদের জন্য যেটা ভালো হবে, সেটাই করবো এবং আমরা কাপ নেয়ার চিন্তা করবো।’
‘কম্বিনেশনের কারণে একাদশে সুযোগ হচ্ছে না শান্তর’
চলতি বিপিএলে বরিশালের ১১ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৫টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্ত। সব মিলিয়ে মাত্র ৫৬ রান করেছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি বলতে পারি, তাকে ততটা খেলাতে পারিনি। দেখবেন আমাদের কম্বিনেশন সেট করা খুব কঠিন। প্রথম দুই থেকে চার ম্যাচে আমাদের কম্বিনেশন নির্ধারণ করা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পারফরমেন্সের জন্য বসে নেই শান্ত। রংপুরের বিপক্ষে ৪০এর বেশি রানের ভালো ইনিংস ছিল তার। কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ হচ্ছে না তার।’
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে, শুধু বিপিএল খেলছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। যা তাদের প্রস্তুতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
বরিশালের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে উইকেটরক্ষক হিসেবে খেলেছেন শান্ত। তামিম জানান, একটি বড় বাজেটের দলে এক পজিশনে অনেক অপশন থাকে। ব্যাটার হিসাবে শান্তকে কোথায় খেলানো যায়, সেটি এখনও বুঝতে পারেননি বলে স্বীকার করেন তামিম।
তামিম বলেন, ‘আমিও বুঝতে পারছি না, কোথায় তাকে ব্যাট করাতে হবে। বাঁ-হাতি বা ডান-হাতি সমন্বয় করা একটি সমস্যা। আমি চাই না, টপ-অর্ডারে তিনজনের সবাই বাঁ-হাতি হোক। আসলে অনেক কিছু আছে। আমি আবারও বলতে চাই, দলের প্রতি তার মনোভাব অসাধারণ কারণ সে এটাকে সহজভাবে নিয়েছে।’
গেল কয়েক ম্যাচে তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেছেন তাওহিদ হৃদয়। যদিও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন হৃদয়। তবে ম্যাচ প্রভাবিত করার মতো ইনিংস খেলেছেন তিনি।
নিয়মিত রান করেছেন তামিমও। তিন নম্বরে ভালো করেছেন ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানও। তাই তামিমের মতে, টপ অর্ডারে জায়গা হচ্ছে না শান্তর।
একাদশে সুযোগ না পেলেও অনুশীলন সেশন মিস করেননি শান্ত। তামিম জানিয়েছেন, সবার সঙ্গেই ভালো সময় কাটাচ্ছেন। ‘আমিও এটা নিশ্চিত করতে চাই, দলের প্রতি তার মনোভাব দারুণ। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটারও সে। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিযোগিতায় খেলতে পারছেন না তিনি। তবে দলের সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রিকেটারদের প্রতি তার মনোভাব বেশ ভালো।’
প্লে-অফ এবং প্রথম কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিত হবার পর, লীগে পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে তামিমের। তবে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করা হবে-নাকি সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নামবেন- নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তামিম।
তিনি বলেন, ‘এটা অনেক কিছুর ওপড়নির্ভর করে। এটা নিয়ে এখনও কথা বলিনি। এর দু’টি দিক আছে। প্রথম কোয়ালিফাইয়ারের আগে আপনি কোনো পরিবর্তন করতে চান কি না, সেক্ষেত্রে আপনাকে টিম কম্বিনেশন ভাঙতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে এটা আমাদের জন্য ভালো হবে কি না। কিন্তু যদি ইনজুরির উদ্বেগ থাকে, সে ক্ষেত্রে দু’একটি পরিবর্তন আসতে পারে। তবে আমরা এখনও সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি।’
শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের পেসার এডাম মিলনেকে দলে যুক্ত করেছে বরিশাল। দু-একটি ম্যাচ খেলতে বরিশালে যোগ দিবেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ডেভিড মিলারও। কাইল মায়ার্সও ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দারুণ ছন্দে থাকা দলে কোনো পরিবর্তন আনতে চান না বরিশাল অধিনায়ক।
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
চলতি বিপিএলে বরিশালের দলে দেশের চার স্পিনারের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ তাইজুল ইসলাম। অথচ গোটা মৌসুমে এখনও পর্যন্ত তিনি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র একটি! এতে অবশ্য তার অভিযোগÑআক্ষেপ নেই তেমন। বরং দলের বাস্তবতা তিনি অনুভব করতে পারছেন।
বরিশালের মূল স্পিনার হিসেবে এবার খেলছেন তানভির ইসলাম। গত তিন বিপিএলে কুমিল্লা দলের হয়ে তার উইকেট ছিল ১৬, ১৭ ও ১৩টি। এবার বরিশালের ১১ ম্যাচের ১০টিই খেলেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার, উইকেট নিয়েছেন ১০টি।
জাতীয় দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন বরিশালের হয়ে প্রথমবার খেলে এবার উইকেট নিয়েছেন ৮ ম্যাচে ৬টি। পাশাপাশি অবদান রেখেছেন তিনি ব্যাটিংয়ে।
স্রেফ একটি ম্যাচে সুযোগ পাওয়া তাইজুল তিন ওভারে ২১ রান দিয়ে উইকেট পাননি। আরেক অভিজ্ঞ স্পিনার নাঈম হাসান তো একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি।
শুক্রবার ৩১শে জানুয়ারি মিরপুরে দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেন, তাদের দলের বাস্তবতা অনুভব করেই ম্যাচ খেলার আশা করেননি নিজেই।
‘আমি ম্যাচ খেলিনি। না খেলাটাই স্বাভাবিক। দলে রিশাদ বা তানভির, ওরা এখন বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছে টি-২০ সংস্করণে। এখানে প্রশ্নই আসে না যে, আমি অনেক ম্যাচ খেলবো। এটাই স্বাভাবিক ও মেনে নিতে হবে। আমাদের দল ভালো খেলছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
চার স্পিনারের মধ্যে একশর বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল তাইজুলেরই। তবে তিনি আবারও বলেন, দলের প্রয়োজনই সবকিছুর আগে।
‘অভিজ্ঞতার কিছু নেই। আগেও খেলেছি, বিপিএল নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা আমার আছে। পরিস্থিতি বুঝতে হবে যে, আমাদের দলটা কেমন বা দলে কেমন ক্রিকেটার আছে।’
‘এর ফরম্যাটে আমাদের জাতীয় দলে যে দুজন খেলে, তানভির আর রিশাদ, ওরা খেলছে এখানে। ওদেরকে এখানে খেলাবেন না, তা তো হয় না। তারা যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করছে। তারা যদি একবারে পারফর্ম না করতো, তাহলে আমার সুযোগ আসতো।’
শুধু তাইজুল-নাঈমরাই নন, জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তও নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না বরিশালের হয়ে। শুরুতে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে খেলে একটি ম্যাচ ছাড়া তিনি ভালো কিছু আর করতে পারেননি। এরপর আর একাদশেই জায়গা মিলছে না। তাইজুল আবারও তুলে ধরলেন তাদের দলের শক্তির গভীরতার দিকটি।
‘আমাদের দলটা তো দেখতে হবে। অন্য দলগুলো দেখেন, আমাদেরটা দেখেন যে, আমাদের দলের বেঞ্চে কারা বসে আছে। তাদেরকে দিয়ে অন্য দলের চেয়ে হয়তো ভালো দল করা যাবে, আমার কাছে মনে হয়।’
এমন দল নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই প্রাথমিক পর্বে শীর্ষে আছে বরিশাল। এই পর্বের শেষ ম্যাচে গত শনিবার তারা হেরে গেলেও শীর্ষে থেকেই খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। তবে তাইজুল স্পষ্ট করেই বললেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া অন্য কোনো ফল ভাবছেন না তারা।
‘আমাদের চোখ এক দিকেই, ট্রফির দিকে। এটা করার জন্য আমাদের জন্য যেটা ভালো হবে, সেটাই করবো এবং আমরা কাপ নেয়ার চিন্তা করবো।’
‘কম্বিনেশনের কারণে একাদশে সুযোগ হচ্ছে না শান্তর’
চলতি বিপিএলে বরিশালের ১১ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৫টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্ত। সব মিলিয়ে মাত্র ৫৬ রান করেছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি বলতে পারি, তাকে ততটা খেলাতে পারিনি। দেখবেন আমাদের কম্বিনেশন সেট করা খুব কঠিন। প্রথম দুই থেকে চার ম্যাচে আমাদের কম্বিনেশন নির্ধারণ করা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পারফরমেন্সের জন্য বসে নেই শান্ত। রংপুরের বিপক্ষে ৪০এর বেশি রানের ভালো ইনিংস ছিল তার। কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ হচ্ছে না তার।’
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে, শুধু বিপিএল খেলছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। যা তাদের প্রস্তুতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
বরিশালের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে উইকেটরক্ষক হিসেবে খেলেছেন শান্ত। তামিম জানান, একটি বড় বাজেটের দলে এক পজিশনে অনেক অপশন থাকে। ব্যাটার হিসাবে শান্তকে কোথায় খেলানো যায়, সেটি এখনও বুঝতে পারেননি বলে স্বীকার করেন তামিম।
তামিম বলেন, ‘আমিও বুঝতে পারছি না, কোথায় তাকে ব্যাট করাতে হবে। বাঁ-হাতি বা ডান-হাতি সমন্বয় করা একটি সমস্যা। আমি চাই না, টপ-অর্ডারে তিনজনের সবাই বাঁ-হাতি হোক। আসলে অনেক কিছু আছে। আমি আবারও বলতে চাই, দলের প্রতি তার মনোভাব অসাধারণ কারণ সে এটাকে সহজভাবে নিয়েছে।’
গেল কয়েক ম্যাচে তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেছেন তাওহিদ হৃদয়। যদিও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন হৃদয়। তবে ম্যাচ প্রভাবিত করার মতো ইনিংস খেলেছেন তিনি।
নিয়মিত রান করেছেন তামিমও। তিন নম্বরে ভালো করেছেন ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানও। তাই তামিমের মতে, টপ অর্ডারে জায়গা হচ্ছে না শান্তর।
একাদশে সুযোগ না পেলেও অনুশীলন সেশন মিস করেননি শান্ত। তামিম জানিয়েছেন, সবার সঙ্গেই ভালো সময় কাটাচ্ছেন। ‘আমিও এটা নিশ্চিত করতে চাই, দলের প্রতি তার মনোভাব দারুণ। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটারও সে। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিযোগিতায় খেলতে পারছেন না তিনি। তবে দলের সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রিকেটারদের প্রতি তার মনোভাব বেশ ভালো।’
প্লে-অফ এবং প্রথম কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিত হবার পর, লীগে পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে তামিমের। তবে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করা হবে-নাকি সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নামবেন- নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তামিম।
তিনি বলেন, ‘এটা অনেক কিছুর ওপড়নির্ভর করে। এটা নিয়ে এখনও কথা বলিনি। এর দু’টি দিক আছে। প্রথম কোয়ালিফাইয়ারের আগে আপনি কোনো পরিবর্তন করতে চান কি না, সেক্ষেত্রে আপনাকে টিম কম্বিনেশন ভাঙতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে এটা আমাদের জন্য ভালো হবে কি না। কিন্তু যদি ইনজুরির উদ্বেগ থাকে, সে ক্ষেত্রে দু’একটি পরিবর্তন আসতে পারে। তবে আমরা এখনও সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি।’
শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের পেসার এডাম মিলনেকে দলে যুক্ত করেছে বরিশাল। দু-একটি ম্যাচ খেলতে বরিশালে যোগ দিবেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ডেভিড মিলারও। কাইল মায়ার্সও ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দারুণ ছন্দে থাকা দলে কোনো পরিবর্তন আনতে চান না বরিশাল অধিনায়ক।