রাজশাহীর বিদায়
শেষ দল হিসেবে বিপিএল একাদশ আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত করলো খুলনা টাইগার্স। শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ লীগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দুরন্ত বোলিংয়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কোচিত ইনিংসের ওপর ভর করে খুলনা ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালসকে। ৫৫ বলে ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মিরাজ।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট আছে খুলনার। ১২ ম্যাচে খুলনার সমান ১২ পয়েন্ট আছে দুর্বার রাজশাহীর। রান রেটে রাজশাহীর চেয়ে এগিয়ে থাকায় চতুর্থস্থানে উঠলো খুলনা। খুলনার রান রেট ০.১৮৪ এবং রাজশাহীর রান রেট -১.০৩০। খুলনার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স ও চট্টগ্রাম কিংস। ১২ ম্যাচে ৩ জয় ও ৯ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে থেকে বিপিএল শেষ করলো ঢাকা।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৩ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।
১৬ বলে ২৯ রান করেন ঢাকার দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। ১টি করে চার-ছক্কায় ১০ রান করা লিটনকে শিকার করে খুলনাকে প্রথম উইকেট উপহার দেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় উইকেটে হাবিবুর সোহানের সঙ্গে ১৬ বলে ২৪ এবং তৃতীয় উইকেটে ফারমানুল্লাহকে নিয়ে ৪১ বলে ২৮ রান যোগ করেন তানজিদ। ২৮ বলে এবারের আসরে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তানজিদ।
১৩তম ওভারের শেষ বলে উইলিয়াম বোসিস্তোর বলে আউট হন তানজিদ। ১টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে এবারের আসরে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন তানজিদ। তিনি ১২ ম্যাচে ১টি শতক ও ৪টি অর্ধশতকে ৪৮৫ রান করেন।
এরপর দ্রুত ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। এতে ৯৪ রানে সপ্তম উইকেট পতন হয় ঢাকার।
অষ্টম উইকেটে ১৫ বলে ২৬ রানের জুটি গড়ে ঢাকার সম্মানজনক স্কোরের পথ তৈরি করেন সাব্বির ও মেহেদি রানা। ২ চার ও ১ ছক্কায় সাব্বির ১৭ বলে ২০ এবং রানা ১টি করে চার-ছক্কায় ১১ বলে ১৩ রান করেন।
হাসান মাহমুদ ৫ রানে এবং বোসিস্তো ১০ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
১২৪ রানের টার্গেটে তৃতীয় ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারায় খুলনা। আগের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ নাইম ও তিন নম্বরে নামা আফিফ শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেন। দুই উইকেটই নেন মোস্তাফিজ।
শুরুতে চাপে পড়লেও পাল্টা আক্রমনে ঢাকার বোলারদের ওপর চড়াও হন অধিনায়ক মিরাজ। ৩টি করে চার-ছক্কায় মিরাজের ২৫ বলে ৩৯ রানের ওপর ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৫৩ রান পায় খুলনা।
তৃতীয় উইকেটে অ্যালেক্স রসকে নিয়ে ৪৩ বলে ৬৮ রান যোগ করেন মিরাজ। ছক্কা মেরে ৩৩ বলে টি-২০তে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মিরাজ।
দলীয় ৮২ রানে রস আউট হলে বোসিস্তোকে নিয়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান মিরাজ। দলের জয় থেকে ৪ রান দূরে থাকতে আউট হন বোসিস্তো।
এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজকে নিয়ে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন মিরাজ। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। রস ২২, বোসিস্তো ১৮ ও নাওয়াজ অপরাজিত ৬ রান করেন।
ঢাকার হয়ে একাই কিছুটা চেষ্টা করেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট। চলতি আসরে এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে ২ উইকেটের বেশি পেলেন বাঁহাতি পেসার। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচে তার শিকার ১৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ক্যাপিটালস ১২৩/৯ (তানজিদ ৫৮, লিটন ১০, হাবিবুর ৩, শাফি ৭, সাব্বির ২০, পেরেরা ০, রিয়াজ ৫, রহমতউল্লাহ ০, মেহেদি ১৩, আবু জায়েদ ১*, মোস্তাফিজ ১*; নাসুম ১/২০, হাসান ২/৫, মিরাজ ১/৩০, মুশফিক ১/৩১, বসিস্টো ২/১০, জিয়াউর ১/১০, নাওয়াজ ১/১৫)।
খুলনা টাইগার্স ১৬.৫ ওভারে ১২৮/৪ (মিরাজ ৭৪*; নাঈম ০, আফিফ ০, রস ২২, বসিস্টো ১৮, নাওয়াজ ৬*; মোস্তাফিজ ৩/১৬, রহমতউল্লাহ ২/২৪)।
ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান মিরাজ।
রাজশাহীর বিদায়
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শেষ দল হিসেবে বিপিএল একাদশ আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত করলো খুলনা টাইগার্স। শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ লীগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দুরন্ত বোলিংয়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কোচিত ইনিংসের ওপর ভর করে খুলনা ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালসকে। ৫৫ বলে ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মিরাজ।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট আছে খুলনার। ১২ ম্যাচে খুলনার সমান ১২ পয়েন্ট আছে দুর্বার রাজশাহীর। রান রেটে রাজশাহীর চেয়ে এগিয়ে থাকায় চতুর্থস্থানে উঠলো খুলনা। খুলনার রান রেট ০.১৮৪ এবং রাজশাহীর রান রেট -১.০৩০। খুলনার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স ও চট্টগ্রাম কিংস। ১২ ম্যাচে ৩ জয় ও ৯ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে থেকে বিপিএল শেষ করলো ঢাকা।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৩ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।
১৬ বলে ২৯ রান করেন ঢাকার দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। ১টি করে চার-ছক্কায় ১০ রান করা লিটনকে শিকার করে খুলনাকে প্রথম উইকেট উপহার দেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় উইকেটে হাবিবুর সোহানের সঙ্গে ১৬ বলে ২৪ এবং তৃতীয় উইকেটে ফারমানুল্লাহকে নিয়ে ৪১ বলে ২৮ রান যোগ করেন তানজিদ। ২৮ বলে এবারের আসরে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তানজিদ।
১৩তম ওভারের শেষ বলে উইলিয়াম বোসিস্তোর বলে আউট হন তানজিদ। ১টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে এবারের আসরে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন তানজিদ। তিনি ১২ ম্যাচে ১টি শতক ও ৪টি অর্ধশতকে ৪৮৫ রান করেন।
এরপর দ্রুত ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। এতে ৯৪ রানে সপ্তম উইকেট পতন হয় ঢাকার।
অষ্টম উইকেটে ১৫ বলে ২৬ রানের জুটি গড়ে ঢাকার সম্মানজনক স্কোরের পথ তৈরি করেন সাব্বির ও মেহেদি রানা। ২ চার ও ১ ছক্কায় সাব্বির ১৭ বলে ২০ এবং রানা ১টি করে চার-ছক্কায় ১১ বলে ১৩ রান করেন।
হাসান মাহমুদ ৫ রানে এবং বোসিস্তো ১০ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
১২৪ রানের টার্গেটে তৃতীয় ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারায় খুলনা। আগের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ নাইম ও তিন নম্বরে নামা আফিফ শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেন। দুই উইকেটই নেন মোস্তাফিজ।
শুরুতে চাপে পড়লেও পাল্টা আক্রমনে ঢাকার বোলারদের ওপর চড়াও হন অধিনায়ক মিরাজ। ৩টি করে চার-ছক্কায় মিরাজের ২৫ বলে ৩৯ রানের ওপর ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৫৩ রান পায় খুলনা।
তৃতীয় উইকেটে অ্যালেক্স রসকে নিয়ে ৪৩ বলে ৬৮ রান যোগ করেন মিরাজ। ছক্কা মেরে ৩৩ বলে টি-২০তে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মিরাজ।
দলীয় ৮২ রানে রস আউট হলে বোসিস্তোকে নিয়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান মিরাজ। দলের জয় থেকে ৪ রান দূরে থাকতে আউট হন বোসিস্তো।
এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজকে নিয়ে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন মিরাজ। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। রস ২২, বোসিস্তো ১৮ ও নাওয়াজ অপরাজিত ৬ রান করেন।
ঢাকার হয়ে একাই কিছুটা চেষ্টা করেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট। চলতি আসরে এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে ২ উইকেটের বেশি পেলেন বাঁহাতি পেসার। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচে তার শিকার ১৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ক্যাপিটালস ১২৩/৯ (তানজিদ ৫৮, লিটন ১০, হাবিবুর ৩, শাফি ৭, সাব্বির ২০, পেরেরা ০, রিয়াজ ৫, রহমতউল্লাহ ০, মেহেদি ১৩, আবু জায়েদ ১*, মোস্তাফিজ ১*; নাসুম ১/২০, হাসান ২/৫, মিরাজ ১/৩০, মুশফিক ১/৩১, বসিস্টো ২/১০, জিয়াউর ১/১০, নাওয়াজ ১/১৫)।
খুলনা টাইগার্স ১৬.৫ ওভারে ১২৮/৪ (মিরাজ ৭৪*; নাঈম ০, আফিফ ০, রস ২২, বসিস্টো ১৮, নাওয়াজ ৬*; মোস্তাফিজ ৩/১৬, রহমতউল্লাহ ২/২৪)।
ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান মিরাজ।