প্রায় দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে চমৎকার বোলিং উপহার দিলেন
ম্যাথু কুনেমান ও ন্যাথান লায়নের স্পিনারের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। গলে প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের গুঁড়িয়ে রেকর্ড গড়া জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের জয় ইনিংস ও ২৪২ রানে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল ২০১২ সালে মেলবোর্নে, ইনিংস ও ২০১ রানে।
এশিয়ার কোন মাঠে এটি অস্ট্রেলিয়ার জয়ের রেকর্ড। ১৯৯৮ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিপক্ষে ইনিংস ও ২১৯ রানে জিতেছিল তারা।
সাদা পোশাকে এর চেয়ে বড় হার নেই শ্রীলঙ্কার। আগেরটি ছিল ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে, ইনিংস ও ২৩৯ রানে।
অস্ট্রেলিয়াকে বিশাল এই জয়ের ভিতটা গড়ে দেন ব্যাটাররা। উসমান খাজার ডাবল সেঞ্চুরি, স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৬৫৪ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক করা খাজা জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
পরে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন স্পিনাররা। শ্রীলঙ্কার ২০ উইকেটের ১৭টি স্পিনারদের শিকার।
প্রথম ইনিংসে পাঁচটিসহ মোট ৯ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার কুনেমান। অফ স্পিনার লায়নের প্রাপ্তি মোট ৭ উইকেট। আরেক অফ স্পিনার টড মার্ফি নেন এক উইকেট। বাকি তিন উইকেট পেসার মিচেল স্টার্কের।
গল টেস্টে প্রথম ইনিংসেই ছিটকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে স্রেফ ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। শেষ ৫ উইকেট হারায় কেবল ৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা যেতে পারে ২৪৭ পর্যন্ত।
শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দিনের সপ্তম ওভারে কুসাল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন কুনেমান। এরপর আর বেশিক্ষণ টেকেনি লঙ্কানরা। পরের ওভারেই বিদায় নেন ইনিংসে একমাত্র ফিফটি করা দিনেশ চান্দিমাল। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ৯ চারে ৭২ রান করা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
পরের তিন ওভারে বাকি তিন উইকেটও হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। যার মধ্যে দুই শিকার ধরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন ২০২৩ সালের মার্চের পর টেস্টে ফেরা কুনেমান।
প্রথম ইনিংস শেষে ৪৮৯ রানে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া ফলো-অন করায় প্রতিপক্ষকে। এবারও শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। ৬ রানে হারায় তারা দুই ওপেনারকে। এক ঘণ্টার একটু বেশি সময়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৫ রানে ৭ উইকেট পড়ে লঙ্কানদের।
তৃতীয় ওভারে ওশাদা ফার্নান্দোকে দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে এলবিডব্লিউ করে দেন স্টার্ক। পরের ওভারে মার্ফির বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন দিমুথ কারুনারাতেœ।
পরের পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই পান ভালো শুরু, এদের সবাই খেলেন ত্রিশ ছাড়ানো ইনিংস। কিন্তু কেউই যেতে পারেননি পঞ্চাশ পর্যন্ত।
চান্দিমালকে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটির (৬৯ রান) প্রতিরোধ ভাঙেন লায়ন। পরে বিদায় করেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জলো ম্যাথিউসকে।
তার উইকেটের মাঝে টি-২০ ঘরানার ব্যাটিং করা কামিন্দু মেন্ডিসের উইকেট নেন কুনেমান। পরে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন তিনি।
কুসাল মেন্ডিসকে স্টাম্পড করার পর প্রবাথ জয়সুরিয়াকে বোল্ড করে দেন লায়ন। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উইকেট নেয়া কুনেমান সারেন বাকিটা। নিশান পেইরিসকে বোল্ড করার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা জেফ্রি ভ্যান্ডারসেকে ফিরিয়ে দলকে জয়ের উল্লাসে ভাসান তিনি।
একই মাঠে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু আগামী বৃহস্পতিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস :
৬৫৪/৬ ডিক্লে. ( খাজা ২৩২, স্মিথ* ১৪১, ইংলিশ ১০২; ভ্যান্ডারসি ৩/১৮২, জয়সুরিয়া ৩/১৯৩)।
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ১৬৫ (আগের দিন ১৩৬/৫) (চান্দিমাল ৭২, মেন্ডিস ২১, জয়সুরিয়া ০, ভ্যান্ডারসে ৪, পেইরিস ৫, আসিথা ০*; স্টার্ক ২/১৩, কুনেমান ৫/৬৩, লায়ন ৩/৫৭)।
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস : (ফলো অন) ২৪৭ (ওশাদা ৬, কারুনারাতেœ ০, চান্দিমাল ৩১, ম্যাথিউস ৪১, কামিন্দু ৩২, ধনঞ্জায়া ৩৯, মেন্ডিস ৩৪, ভ্যান্ডারসে ৫৩; স্টার্ক ১/১৪, মার্ফি ১/৫৭, কুনেমান ৪/৮৬, লায়ন ৪/৭৮)।
ম্যাচসেরা : উসমান খাজা।
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রায় দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে চমৎকার বোলিং উপহার দিলেন
ম্যাথু কুনেমান ও ন্যাথান লায়নের স্পিনারের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। গলে প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের গুঁড়িয়ে রেকর্ড গড়া জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের জয় ইনিংস ও ২৪২ রানে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল ২০১২ সালে মেলবোর্নে, ইনিংস ও ২০১ রানে।
এশিয়ার কোন মাঠে এটি অস্ট্রেলিয়ার জয়ের রেকর্ড। ১৯৯৮ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিপক্ষে ইনিংস ও ২১৯ রানে জিতেছিল তারা।
সাদা পোশাকে এর চেয়ে বড় হার নেই শ্রীলঙ্কার। আগেরটি ছিল ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে, ইনিংস ও ২৩৯ রানে।
অস্ট্রেলিয়াকে বিশাল এই জয়ের ভিতটা গড়ে দেন ব্যাটাররা। উসমান খাজার ডাবল সেঞ্চুরি, স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৬৫৪ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক করা খাজা জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
পরে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন স্পিনাররা। শ্রীলঙ্কার ২০ উইকেটের ১৭টি স্পিনারদের শিকার।
প্রথম ইনিংসে পাঁচটিসহ মোট ৯ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার কুনেমান। অফ স্পিনার লায়নের প্রাপ্তি মোট ৭ উইকেট। আরেক অফ স্পিনার টড মার্ফি নেন এক উইকেট। বাকি তিন উইকেট পেসার মিচেল স্টার্কের।
গল টেস্টে প্রথম ইনিংসেই ছিটকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে স্রেফ ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। শেষ ৫ উইকেট হারায় কেবল ৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা যেতে পারে ২৪৭ পর্যন্ত।
শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দিনের সপ্তম ওভারে কুসাল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন কুনেমান। এরপর আর বেশিক্ষণ টেকেনি লঙ্কানরা। পরের ওভারেই বিদায় নেন ইনিংসে একমাত্র ফিফটি করা দিনেশ চান্দিমাল। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ৯ চারে ৭২ রান করা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
পরের তিন ওভারে বাকি তিন উইকেটও হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। যার মধ্যে দুই শিকার ধরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন ২০২৩ সালের মার্চের পর টেস্টে ফেরা কুনেমান।
প্রথম ইনিংস শেষে ৪৮৯ রানে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া ফলো-অন করায় প্রতিপক্ষকে। এবারও শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। ৬ রানে হারায় তারা দুই ওপেনারকে। এক ঘণ্টার একটু বেশি সময়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৫ রানে ৭ উইকেট পড়ে লঙ্কানদের।
তৃতীয় ওভারে ওশাদা ফার্নান্দোকে দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে এলবিডব্লিউ করে দেন স্টার্ক। পরের ওভারে মার্ফির বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন দিমুথ কারুনারাতেœ।
পরের পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই পান ভালো শুরু, এদের সবাই খেলেন ত্রিশ ছাড়ানো ইনিংস। কিন্তু কেউই যেতে পারেননি পঞ্চাশ পর্যন্ত।
চান্দিমালকে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটির (৬৯ রান) প্রতিরোধ ভাঙেন লায়ন। পরে বিদায় করেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জলো ম্যাথিউসকে।
তার উইকেটের মাঝে টি-২০ ঘরানার ব্যাটিং করা কামিন্দু মেন্ডিসের উইকেট নেন কুনেমান। পরে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন তিনি।
কুসাল মেন্ডিসকে স্টাম্পড করার পর প্রবাথ জয়সুরিয়াকে বোল্ড করে দেন লায়ন। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উইকেট নেয়া কুনেমান সারেন বাকিটা। নিশান পেইরিসকে বোল্ড করার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা জেফ্রি ভ্যান্ডারসেকে ফিরিয়ে দলকে জয়ের উল্লাসে ভাসান তিনি।
একই মাঠে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু আগামী বৃহস্পতিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস :
৬৫৪/৬ ডিক্লে. ( খাজা ২৩২, স্মিথ* ১৪১, ইংলিশ ১০২; ভ্যান্ডারসি ৩/১৮২, জয়সুরিয়া ৩/১৯৩)।
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ১৬৫ (আগের দিন ১৩৬/৫) (চান্দিমাল ৭২, মেন্ডিস ২১, জয়সুরিয়া ০, ভ্যান্ডারসে ৪, পেইরিস ৫, আসিথা ০*; স্টার্ক ২/১৩, কুনেমান ৫/৬৩, লায়ন ৩/৫৭)।
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস : (ফলো অন) ২৪৭ (ওশাদা ৬, কারুনারাতেœ ০, চান্দিমাল ৩১, ম্যাথিউস ৪১, কামিন্দু ৩২, ধনঞ্জায়া ৩৯, মেন্ডিস ৩৪, ভ্যান্ডারসে ৫৩; স্টার্ক ১/১৪, মার্ফি ১/৫৭, কুনেমান ৪/৮৬, লায়ন ৪/৭৮)।
ম্যাচসেরা : উসমান খাজা।