হুমকির মুখে ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া
জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের অন্যতম মাতসুশিমা সুমাইয়া গুরুতর এক অভিযোগ তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন।
সুমাইয়াসহ বেশ কয়েকজন ফুটবলার এখনো কোচ পিটারের অধীনে অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন না। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে। কেউ তাদের পক্ষে, কেউ বা বিপক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে সুমাইয়া জানান, ফুটবল খেলতে গিয়ে তিনি এখন ভয়াবহ মানসিক চাপের মধ্যে আছেন।
সুমাইয়া লেখেন,
"বাবা-মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লড়াই করে ফুটবলার হয়েছি। দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু এখন সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছে।"
সুমাইয়া আরও জানান, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করেও তিনি ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা ধরে রেখেছেন এবং জাতীয় দলে খেলতে পেরেছেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, তার এই আত্মত্যাগের মূল্যায়ন হয়নি।
কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিন পৃষ্ঠার একটি বিবৃতি পাঠ করেছিলেন বিদ্রোহী ফুটবলাররা, যার ইংরেজি কপি লিখেছিলেন সুমাইয়া। এরপর থেকেই তিনি নানাভাবে হুমকি পাচ্ছেন বলে জানান।
"আমি আমার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গিয়েও ফুটবল খেলেছি। ভেবেছিলাম দেশ আমার পাশে থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ক্রীড়াবিদদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ভাবে না। গত কয়েক দিনে আমি অসংখ্য প্রাণনাশ ও ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি। এসব কথা আমাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমি জানি না, এই মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠতে কত সময় লাগবে। কিন্তু কেউ যেন তার স্বপ্ন অনুসরণ করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির শিকার না হয়।"
এদিকে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
হুমকির মুখে ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের অন্যতম মাতসুশিমা সুমাইয়া গুরুতর এক অভিযোগ তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন।
সুমাইয়াসহ বেশ কয়েকজন ফুটবলার এখনো কোচ পিটারের অধীনে অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন না। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে। কেউ তাদের পক্ষে, কেউ বা বিপক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে সুমাইয়া জানান, ফুটবল খেলতে গিয়ে তিনি এখন ভয়াবহ মানসিক চাপের মধ্যে আছেন।
সুমাইয়া লেখেন,
"বাবা-মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লড়াই করে ফুটবলার হয়েছি। দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু এখন সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছে।"
সুমাইয়া আরও জানান, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করেও তিনি ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা ধরে রেখেছেন এবং জাতীয় দলে খেলতে পেরেছেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, তার এই আত্মত্যাগের মূল্যায়ন হয়নি।
কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিন পৃষ্ঠার একটি বিবৃতি পাঠ করেছিলেন বিদ্রোহী ফুটবলাররা, যার ইংরেজি কপি লিখেছিলেন সুমাইয়া। এরপর থেকেই তিনি নানাভাবে হুমকি পাচ্ছেন বলে জানান।
"আমি আমার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গিয়েও ফুটবল খেলেছি। ভেবেছিলাম দেশ আমার পাশে থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ক্রীড়াবিদদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ভাবে না। গত কয়েক দিনে আমি অসংখ্য প্রাণনাশ ও ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি। এসব কথা আমাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমি জানি না, এই মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠতে কত সময় লাগবে। কিন্তু কেউ যেন তার স্বপ্ন অনুসরণ করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির শিকার না হয়।"
এদিকে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।